হরিনাম দীক্ষার শাস্ত্রীয় জ্ঞান ও শিক্ষা - ২

হরিনাম দীক্ষার শাস্ত্রীয় জ্ঞান ও শিক্ষা - ২


১। সদ্‌গুরুর যোগ্যতা কি কি?
উত্তরঃ শ্রীগুরুদেব পরম্পরা ধারায় থাকবেন, কৃষ্ণতত্ত্ববেক্তা হবেন, শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে আচার ও প্রচার করেন ও হরিনাম পরায়ণ হবেন।



২। সদ্‌গুরুর নিকট থেকে হরিনাম দীক্ষার পর কার নিকট থেকে পরবর্তী মন্ত্রগুলি গ্রহণ করা হবে?
উত্তরঃ যে সদ্‌গুরুর কাছ থেকে হরিনাম দীক্ষা গ্রহণ করা হয়, সেই গুরুদেবের কাছ থেকে পরবর্তী মন্ত্রগুলি গ্রহণ করতে হবে।

৩। গুরুদেবকে ভগবানের মত পূজা করা হয় কেন? গুরুদেব কি ভগবান?
উত্তরঃ গুরুদেব হচ্ছেন ভগবানের প্রতিনিধি এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়জন, তাই ভগবানের মতো পূজা করা হয়, গুরুদেব ভগবান নন, তিনি হচ্ছেন ভগবানের প্রতিনিধি।

৪। ভগবানের সঙ্গে এবং শিষ্যদের সম্পর্ক হিসাবে গুরুদেব নিজেকে কিভাবে দেখেন?
উত্তরঃ ভগবানের সঙ্গে শিষ্যের সম্পর্ক হিসাবে গুরুদেব হচ্ছেন নিত্য সংযোজনকারী।

৫। গুরুদেব পরম সত্য কথা বলেন-- আপনি কি তা বিশ্বাস করেন? এটা কি করে সম্ভব যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ৫০০০ বছর পূর্বে যা বলেছেন, আজকের গুরুরাও সেই একই কথা বলছেন?
উত্তরঃ হ্যাঁ। গুরুদেব পরম্পরা ধারায় আছেন এবং তিনি যা বলছেন তা গীতা ও ভাগবত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বলেন।

৬। কোন্ পরিস্থিতিতে গুরুত্যাগ করা যেতে পারে?
উত্তরঃ গুরুদেব যদি পাপকার্যে লিপ্ত হয়ে পড়েন বৈষ্ণব নিন্দুক হন ও ভগবদ্ বিদ্বেষী হয়ে পড়েন, তাহলে সেই গুরুদেবকে ত্যাগ করা উচিত।

৭।‌ একজন শিষ্যের যোগ্যতা ও দায়িত্ব কি কি?
উত্তরঃ শিষ্যের যোগ্যতা ও দায়িত্ব হচ্ছে গুরুদেবের শ্রীপাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করে তাঁর আদেশ ও উপদেশ অনুসারে কৃষ্ণসেবা করা।

৮। ইসকনে শ্রীল প্রভুপাদের অনুপম পদ কি? বলা হয়েছে- দীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে আমরা গুরুপরম্পরার সঙ্গে যুক্ত হই। শ্রীল প্রভুপাদের ধারায় সেবা করতে আপনি কি দৃঢ়নিষ্ঠ। কেন?
উত্তরঃ শ্রীল প্রভুপাদ হচ্ছেন ইসকন এর প্রতিষ্ঠাতা আচার্য শ্রীল প্রভুপাদের প্রতিষ্ঠিত ইসকন দ্বারা সমস্ত পৃথিবীতে মহাপ্রভুর শিক্ষা অনুযায়ী প্রচার কার্য চলছে এবং বহু মানুষ পারমার্থিক পথে এগিয়ে চলেছে, তাই আমি সেবা করতে অত্যন্ত দৃঢ়নিষ্ঠ।

৯। শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান বলে গ্রহণ করছেন কেন?
উত্তরঃ সমস্ত বৈদিক শাস্ত্রে শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান বলে প্রতিপন্ন করা হয়েছে।যেমন--
শ্রীমদ্ভাগবতে--
এতে চাংশ কলাঃ পুংসঃ কৃষ্ণস্তু ভগবান স্বয়ং।
ইন্দ্রারি ব্যাকুলং লোকং মৃড়য়ন্তি যুগে যুগে ॥
এবং ব্রহ্মসংহিতায়--
ঈশ্বরঃ পরমঃ কৃষ্ণঃ সচ্চিদানন্দ বিগ্রহঃ।
অনাদিরাদিগোবিন্দ সর্ব্বকারণ কারণম্ ॥
তাছাড়া পূর্ববর্ত্তী মহাজনগণ শ্রীকৃষ্ণকে পরমেশ্বর ভগবান ব'লে স্বীকার করে আসছেন। তাই আমিও শ্রীকৃষ্ণকে ভগবান বলে স্বীকার করি।

Post a Comment

0 Comments