শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে
মাছ-মাংস নিষিদ্ধ। এই কথা কোন্ শাস্ত্রে আছে?
অথবা তথাকথিত শ্রাদ্ধবাসরে মাছ-মাংস খাওয়ার যে সামাজিক প্রথা সমাজে প্রচলিত আছে, তার যৌক্তিকতা কি?
উত্তরঃ
শ্রীমদ্ভাগবতে শ্রীনারদ মুনির উক্তিতে বলা হয়েছে—
ন দদ্যাদামিষং শ্রাদ্ধে ন চাদ্যাদ্ ধর্মতত্ত্ববিৎ।
মুনন্নৈঃ স্যাৎ পরা প্রীতির্যথা ন পশুহিংসয়া॥
"ধর্মতত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে কখনও মাছ, মাংস, ডিম নিবেদন করবেন না এবং তিনি যদি ক্ষত্রিয়ও হন, তা হলে স্বয়ং আমিষ আহার করবেন না। যখন ঘি দিয়ে তৈরি উপযুক্ত খাদ্য সাধুদের নিবেদন করা হয়, তখন পিতৃপুরুষ এবং ভগবান শ্রীহরি অত্যন্ত প্রীত হন। যজ্ঞের নামে প্রাণীহিংসা করা হলে ভগবান, কিংবা পিতৃপুরুষের কখনও সন্তোষ সাধিত হয় না।"
( সূত্রঃ শ্রীমদ্ভাগবত, ৭/১৫/৭ )
ন দদ্যাদামিষং শ্রাদ্ধে ন চাদ্যাদ্ ধর্মতত্ত্ববিৎ।
মুনন্নৈঃ স্যাৎ পরা প্রীতির্যথা ন পশুহিংসয়া॥
"ধর্মতত্ত্বজ্ঞ ব্যক্তি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে কখনও মাছ, মাংস, ডিম নিবেদন করবেন না এবং তিনি যদি ক্ষত্রিয়ও হন, তা হলে স্বয়ং আমিষ আহার করবেন না। যখন ঘি দিয়ে তৈরি উপযুক্ত খাদ্য সাধুদের নিবেদন করা হয়, তখন পিতৃপুরুষ এবং ভগবান শ্রীহরি অত্যন্ত প্রীত হন। যজ্ঞের নামে প্রাণীহিংসা করা হলে ভগবান, কিংবা পিতৃপুরুষের কখনও সন্তোষ সাধিত হয় না।"
( সূত্রঃ শ্রীমদ্ভাগবত, ৭/১৫/৭ )
শ্রাদ্ধবাসরে
মাছ-মাংস খাওয়া গর্হিত কর্ম বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে। শ্রীপদ্মপুরাণে বলা
হয়েছে—
যাে ন দদ্যাদ্ হরের্ভুক্তং পিতৃণাং শ্রাদ্ধকর্মণি।
অশ্নন্তি পিতরস্তস্য বিন্মূত্রং সততং দ্বিজাঃ॥
"হে দ্বিজগণ! যে ব্যক্তি পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধকার্যে ভগবান শ্রীহরির মহাপ্রসাদ প্রদান করে না, তার পিতৃপুরুষেরা সর্বদা মলমূত্র ভােগ করে থাকে।"
যাে ন দদ্যাদ্ হরের্ভুক্তং পিতৃণাং শ্রাদ্ধকর্মণি।
অশ্নন্তি পিতরস্তস্য বিন্মূত্রং সততং দ্বিজাঃ॥
"হে দ্বিজগণ! যে ব্যক্তি পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধকার্যে ভগবান শ্রীহরির মহাপ্রসাদ প্রদান করে না, তার পিতৃপুরুষেরা সর্বদা মলমূত্র ভােগ করে থাকে।"
যেখানে
এরকম অবস্থা,
সেই ক্ষেত্রে শ্রাদ্ধে
মাছ-মাংসের রান্না চড়িয়ে নিবেদন এবং মাছ-মাংসময় ভােজ উৎসব কী পরিমাণে ভয়ঙ্কর
পরিণতি আনতে পারে—তা
শ্রাদ্ধ কর্মানুষ্ঠানকারীগণ নিশ্চয়ই চিন্তাভাবনা করতে পারেন।
0 Comments