*সুন্দর গল্পে*
*উপদেশ লাভ*
•━━━ ✽ • ✽ ━━━•
*বৈষ্ণব সেবা দিলে কি হয়?*
≪═════◄••❀••►═════≫
🌟🍃তুঙ্গভদ্রা নদীর ধারে একজন লোক ছিলেন তার নাম ছিল কটাল। এই কটাল তেমন ভাল মানুষ ছিলনা। দুনিয়ায় এমন কোন পাপ কাজ ছিলনা। যা সে করিনাই,প্রচুর পাপি ছিল। লিখতে লিখতে যমরাজের খাতার পৃষ্ঠায় আর বাকি ছিল না।
💠☘️ একদিন রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি ঐ দিন কটাল আর ঘর থেকে বের হতে পারিনাই ঘরে শুয়েই ছিল। তখন এক বৈষ্ণব ঝড় বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কটালের ঘরের দরজার কাছে এসে আশ্রয় নেন। কটাল বুঝতে পেরে ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান একজন ব্যক্তি দাড়িয়ে আছে।
🔰🍃 তখনোও কটালের ভিতরে ঐ ধরনের কোন জ্ঞান ছিলনা। যে কে সাধু কে বৈষ্ণব কে সাধারন মানুষ কটালের মনে হঠাং কিসের একটা দয়া মায়া শৃষ্টি হল।
🔶🍃 তখন কটাল কি করল?
ঐ লোকটাকে ডেকে ঘরে এনে চিয়ারের উপরে বসিয়ে রাখল। তারপর কটাল আবার ঘুমিয়ে গেল। যখন ঝড় বৃষ্টি থেমে গেল বৈষ্ণব আবার চলে গেলেন।
♦️🍃তার কিছু দিন পর ঐ কটালের মৃত্যু হল। মৃত্যুর পর যখন যমালয়ে গেলেন। যমরাজ চিত্রগুপ্তের কাছে শুনছে দেখত এই ব্যক্তির লিষ্টিতে কি লেখা আছে। চিত্রগুপ্ত খুজে দেখে সব যায়গায় লাল আর লাল কথাও কোন ফাকা নাই হঠাৎ দেখতে পায় একেবারে শেষের পৃষ্টায় একটু লেখা আছে নিল কালি দিয়ে। চিত্রগুপ্ত তখন যমরাজকে বলে এইত পেয়েছি একটা নীল দাগ।
🌀🍃 যমরাজ তখন ঐ কটাল কে বলছে তুমি একবার মানব জন্ম পাবে আর বাকি সব নরক। তা তুমি আগে কোনটা নেবে মানব জন্ম নেবে না নরক ভোগ করবে? কারন তুমি একবার নরকে গেলে কবে যে মানব রুপ পাবে সেটা আমিও বলতে পারছি না। তখন কটাল যমরাজের কাছে জিজ্ঞেস করলেন যে আমি এমন কি কর্ম করেছি যে একবার মানব জন্ম পাচ্ছি??
💦🍃যমরাজ তখন বললেন এক ঝড় বৃষ্টির রাতে তোমার ঘরের স্মুখে একজন বৈষ্ণব দাড়িয়েছিল তুমি ঐ বৈষ্ণবকে ডেকে নিয়ে তোমার ঘরের ভিতরে চেয়ারে বসিয়ে রেখছিলে তার জন্য তুমি একবার মানব জন্ম পাবে। আমি তাহাকে খাইতেও দেইনি? আরে না খাওয়া তো দুরের কথা পাখার একটা হাওয়াও করনি। তাহলে সুযোগ যখন পেয়েছি আগে মানব জন্ম নেব কিন্তু আমার একটা আবদার আছে।
💠🍃যমরাজ বললেন, কি??
🌀🍃কটাল বলল, _"আমাকে এই আর্শীবাদ করুন আমি জন্ম নেওয়ার পরেই আমার ভিতরে আত্ত্বজ্ঞান প্রকাশ পায় যাতে আমি বৈষ্ণব দেখে কোন নিন্দা মন্দো না করি এবং বৈষ্ণবকে সন্মারের সহি ভক্তি ভরে সেবা করতে পারি।_
💠🍃যমরাজ তখন কটাল কে তথাস্তু দিয়ে দিলেন। এই দেখেন যমরাজ ছিল 8 জন মহাজনের ভিতরের একজন তার কথার অনেক মূল্য আছে। আর যেহেতু এখানে কটাল বিষ্ণু ভক্ত বৈষ্ণবের সেবা দিতে চাইছে এখানে কোন প্রকার বাধা দিতে পারে না। কৃষ্ণ বলছেন যদি কেউ ঘরে বসে মনে মনে আমার নাম শরণ করে আমি ততক্ষনাৎ তার হৃদয়ে বসবাস করি।
🔰🍃 আবার দেখেন কেউ যদি একবার মৃত্যুর সময় বিষ্ণু দুতের চরণে নমস্কার যানাতে পারে তার আয়ূ ততক্ষনাৎ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই সুযোগ কে পাবে একমাত্র পেয়েছিল অজামিন।
♦️🍃পৃথিবিতে একবারই বিষ্ণুদুত আর যমদুতে সাথে মার পিট হয় অজামিলকে নিয়ে এবার এদিকে কটাল যেখানে জন্ম নিলেন সেখানে নিদৃিষ্ট বয়সে বৈষ্ণব সেবা দেওয়া শুরু করলেন শুধু একটার পর একটা বৈষ্ণব সেবা দিয়েই গেলেন এদিকে কটাল যত বার বৈষ্ণব সেবা দেয় ওদিকে তত বার তার পাপ ডিলিট হতেই থাকে। ডিলিট হতে হতে একদিন দেখা গেল তার সব পাপক্ষয় হয়ে গেল।
🔷🍃 এর পর তার পুণ্যফল শুরু হয়ে গেল। শেষে এত পুণ্যের ফল হল কটালের মৃত্যুর সময় বিষ্ণুলোক থেকে বিষ্ণুদুতেরা রথ এনে কটালকে সম্মানের শহীদ রথে বসিয়ে বিষ্ণুলোকে নিয়ে গেলেন।। এই হল সংক্ষেপে বৈষ্ণব সেবার ফল পৃথিবির শ্রেষ্ট সেবা বৈষ্ণ সেবা এইটা সবাই মাথায় রাখবেন। পৃথিবির শ্রেষ্ট নাম কৃষ্ণ নাম। পৃথিবির শ্রেষ্ট সঙ্গ সাধু সঙ্গ। পৃথিবির শ্রেষ্ট মন্ত্র হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র।
*উপদেশ লাভ*
•━━━ ✽ • ✽ ━━━•
*বৈষ্ণব সেবা দিলে কি হয়?*
≪═════◄••❀••►═════≫
🌟🍃তুঙ্গভদ্রা নদীর ধারে একজন লোক ছিলেন তার নাম ছিল কটাল। এই কটাল তেমন ভাল মানুষ ছিলনা। দুনিয়ায় এমন কোন পাপ কাজ ছিলনা। যা সে করিনাই,প্রচুর পাপি ছিল। লিখতে লিখতে যমরাজের খাতার পৃষ্ঠায় আর বাকি ছিল না।
💠☘️ একদিন রাতে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি ঐ দিন কটাল আর ঘর থেকে বের হতে পারিনাই ঘরে শুয়েই ছিল। তখন এক বৈষ্ণব ঝড় বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে কটালের ঘরের দরজার কাছে এসে আশ্রয় নেন। কটাল বুঝতে পেরে ঘরের দরজা খুলে দেখতে পান একজন ব্যক্তি দাড়িয়ে আছে।
🔰🍃 তখনোও কটালের ভিতরে ঐ ধরনের কোন জ্ঞান ছিলনা। যে কে সাধু কে বৈষ্ণব কে সাধারন মানুষ কটালের মনে হঠাং কিসের একটা দয়া মায়া শৃষ্টি হল।
🔶🍃 তখন কটাল কি করল?
ঐ লোকটাকে ডেকে ঘরে এনে চিয়ারের উপরে বসিয়ে রাখল। তারপর কটাল আবার ঘুমিয়ে গেল। যখন ঝড় বৃষ্টি থেমে গেল বৈষ্ণব আবার চলে গেলেন।
♦️🍃তার কিছু দিন পর ঐ কটালের মৃত্যু হল। মৃত্যুর পর যখন যমালয়ে গেলেন। যমরাজ চিত্রগুপ্তের কাছে শুনছে দেখত এই ব্যক্তির লিষ্টিতে কি লেখা আছে। চিত্রগুপ্ত খুজে দেখে সব যায়গায় লাল আর লাল কথাও কোন ফাকা নাই হঠাৎ দেখতে পায় একেবারে শেষের পৃষ্টায় একটু লেখা আছে নিল কালি দিয়ে। চিত্রগুপ্ত তখন যমরাজকে বলে এইত পেয়েছি একটা নীল দাগ।
🌀🍃 যমরাজ তখন ঐ কটাল কে বলছে তুমি একবার মানব জন্ম পাবে আর বাকি সব নরক। তা তুমি আগে কোনটা নেবে মানব জন্ম নেবে না নরক ভোগ করবে? কারন তুমি একবার নরকে গেলে কবে যে মানব রুপ পাবে সেটা আমিও বলতে পারছি না। তখন কটাল যমরাজের কাছে জিজ্ঞেস করলেন যে আমি এমন কি কর্ম করেছি যে একবার মানব জন্ম পাচ্ছি??
💦🍃যমরাজ তখন বললেন এক ঝড় বৃষ্টির রাতে তোমার ঘরের স্মুখে একজন বৈষ্ণব দাড়িয়েছিল তুমি ঐ বৈষ্ণবকে ডেকে নিয়ে তোমার ঘরের ভিতরে চেয়ারে বসিয়ে রেখছিলে তার জন্য তুমি একবার মানব জন্ম পাবে। আমি তাহাকে খাইতেও দেইনি? আরে না খাওয়া তো দুরের কথা পাখার একটা হাওয়াও করনি। তাহলে সুযোগ যখন পেয়েছি আগে মানব জন্ম নেব কিন্তু আমার একটা আবদার আছে।
💠🍃যমরাজ বললেন, কি??
🌀🍃কটাল বলল, _"আমাকে এই আর্শীবাদ করুন আমি জন্ম নেওয়ার পরেই আমার ভিতরে আত্ত্বজ্ঞান প্রকাশ পায় যাতে আমি বৈষ্ণব দেখে কোন নিন্দা মন্দো না করি এবং বৈষ্ণবকে সন্মারের সহি ভক্তি ভরে সেবা করতে পারি।_
💠🍃যমরাজ তখন কটাল কে তথাস্তু দিয়ে দিলেন। এই দেখেন যমরাজ ছিল 8 জন মহাজনের ভিতরের একজন তার কথার অনেক মূল্য আছে। আর যেহেতু এখানে কটাল বিষ্ণু ভক্ত বৈষ্ণবের সেবা দিতে চাইছে এখানে কোন প্রকার বাধা দিতে পারে না। কৃষ্ণ বলছেন যদি কেউ ঘরে বসে মনে মনে আমার নাম শরণ করে আমি ততক্ষনাৎ তার হৃদয়ে বসবাস করি।
🔰🍃 আবার দেখেন কেউ যদি একবার মৃত্যুর সময় বিষ্ণু দুতের চরণে নমস্কার যানাতে পারে তার আয়ূ ততক্ষনাৎ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই সুযোগ কে পাবে একমাত্র পেয়েছিল অজামিন।
♦️🍃পৃথিবিতে একবারই বিষ্ণুদুত আর যমদুতে সাথে মার পিট হয় অজামিলকে নিয়ে এবার এদিকে কটাল যেখানে জন্ম নিলেন সেখানে নিদৃিষ্ট বয়সে বৈষ্ণব সেবা দেওয়া শুরু করলেন শুধু একটার পর একটা বৈষ্ণব সেবা দিয়েই গেলেন এদিকে কটাল যত বার বৈষ্ণব সেবা দেয় ওদিকে তত বার তার পাপ ডিলিট হতেই থাকে। ডিলিট হতে হতে একদিন দেখা গেল তার সব পাপক্ষয় হয়ে গেল।
🔷🍃 এর পর তার পুণ্যফল শুরু হয়ে গেল। শেষে এত পুণ্যের ফল হল কটালের মৃত্যুর সময় বিষ্ণুলোক থেকে বিষ্ণুদুতেরা রথ এনে কটালকে সম্মানের শহীদ রথে বসিয়ে বিষ্ণুলোকে নিয়ে গেলেন।। এই হল সংক্ষেপে বৈষ্ণব সেবার ফল পৃথিবির শ্রেষ্ট সেবা বৈষ্ণ সেবা এইটা সবাই মাথায় রাখবেন। পৃথিবির শ্রেষ্ট নাম কৃষ্ণ নাম। পৃথিবির শ্রেষ্ট সঙ্গ সাধু সঙ্গ। পৃথিবির শ্রেষ্ট মন্ত্র হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র।
0 Comments