#গল্পে উপদেশ #বাপ_ঠাকুরদার_কুয়ো

#গল্পে উপদেশ
একজন লোক কোন গ্রামে বাস করত। সে রোজ বলত,"পিতা স্বর্গ পিতা ধর্ম "।লোকটার পিতামহ একটি কুয়ো খুঁড়ে গিয়েছিলেন। সেই কুয়োটির জল খুব মিষ্টি ও নির্মল ছিল। তিন পুরুষ পর অর্থাৎ সেই লোকটির সময়ে সেই দেড়শ বছরের পুরোনো কুয়োর জল নষ্ট হয়ে গেছে। নানা নোংরা,পাঁক ও মরা ব্যাঙ পঁচে যাওয়াতে জল দুর্গন্ধ হয়ে গেছে। নানা রোগজীবানু ছড়াচ্ছে। সেই দূষিত জল পান করে লোকটির ছেলে, নাতি ও স্ত্রী বহু রোগে ভুগে ভুগে মারা গেল। তার-নিজের ও নানা ব্যাধি শুরু হলো। প্রতিবেশীরা যখন তাকে বলত,˝কুয়োর জল বাদ দিয়ে গঙ্গার জল ব্যবহার কর”।তখন লোকটি বলত,“না, না, আমার বাপ-ঠাকুরদার কুয়ো,আমার বাপ-ঠাকুর দা এই কুয়োর জল পান করে জীবন কাটিয়েছে । আমি কেন তা পান করবো না? সেই কুয়োটি লোপ করবার জন্য যখন সরকারী লোকজন এসে উপস্থিত হলো, তখন লোকটি জোরে জোরে বলতে লাগল, “আমার বাপ-ঠাকুর্দার কুয়ো। এই বলতে বলতে সে এমন ভাব দেখালো যে,তার মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত কোনো ও রাজশক্তি সেই কুয়োর অস্তিত্ব লোপ করতে পারবে না।
#হিতোপদেশ#
কোনো কোনো ব্যাক্তিকে দেখা যায় তারা কুলগুরুর কাছে দীক্ষা গ্রহন করেছন। কুলগুরু আশ্রিত ব্যাক্তিকে যদি বলা হয়, -“আমার বাপ-ঠাকুরদার গুরু আমার ও গুরু।তিনি পরম্পরা সূত্রে ভালোই হোন,মন্দই হোন তবুও তিনি আমার গুরু ”।অতীতে কোনও ভালো গুন দেখে গোঁসাই -এর কাছ থেকে বাপ ঠাকুরদা মন্ত্র নিয়েছেন। পরবর্তীকালে যদিও তার ব্যতিক্রম ঘটেছে, তবুও সেই কুলগুরুর আশ্রিত হতে হবে -এইরকম একগুয়ে যুক্তি, বাপ-ঠাকুরদার কুয়োতে পঁচা জল পান করে রোগ বাড়ানোর মতোই।
#হরেকৃষ্ণ
তাই আমাদের দীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রথমে সৎ গুরু চিহ্নিত করে তার চরনে আশ্রয় গ্রহন করতে হবে ।

Post a Comment

0 Comments