পুরুষোত্তম মাসকে 'মলমাস' বা 'মলিনমাস' বলা হয়ে থাকে। সংস্কৃত ভাষায় এই মাসকে বলা হয় 'অধিক মাস'

পুরুষোত্তম মাসকে 'মলমাস' বা 'মলিনমাস' বলা হয়ে থাকে। সংস্কৃত ভাষায় এই মাসকে বলা হয় 'অধিক মাস'






 || পুরুষোত্তম মাসস্য দৈবতং পুরুষোত্তম

তস্মাৎ সম্পজয়োদ্ভতক্ত্যা শ্রদ্ধয়া পুরুষোত্তমম্ ||

                                                 

                     [#শ্রীবাল্মিকী_দৃঢ়ধন্ধা_সংবাদ]


অনুবাদ : হে দৃঢ়ধন্ধা! পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণই পুরুষোত্তম মাসের অধিদেবতা। অতএব এই মাসে প্রতিদিন ভক্তি-শ্রদ্ধাপূর্বক পুরুষোত্তম কৃষ্ণকে ষোড়শাপচারে পূজা করবে।


#পুরুষোত্তম_মাস : গৌরাব্দের বৈষ্ণব পঞ্জিকা আসলে চান্দ্র এবং সৌর বর্ষগণনা পদ্ধতির মিশ্রণ। কিন্তু সৌরমাস ও চান্দ্রমাসের দৈর্ঘ্য এক নয়। যেমন-- চন্দ্র পঞ্জিকা অনুযায়ী একটি বছরের ১২ মাস ৩৫৫ দিনের মধ্য দিয়ে অতিক্রান্ত হয়, কিন্তু সৌর পঞ্জিকা অনুসারে সেটি সম্পূর্ণ হয় ৩৬৫ দিনে। এখানে, ৩৬৫ থেকে ৩৫৫ → ১০ দিনের পার্থক্য। সুতরাং, প্রতি তিন বছরে একটি অতিরিক্ত মাস যুক্ত হয়, যার নাম পুরুষোত্তম মাস।


#অন্য_নাম : পুরুষোত্তম মাসকে 'মলমাস' বা 'মলিনমাস' বলা হয়ে থাকে। সংস্কৃত ভাষায় এই মাসকে বলা হয় 'অধিক মাস'।


#পুরুষোত্তম_নামের_মহিমা : 'পুরুষোত্তম' পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম। পুরুষ অর্থাৎ ভোক্তা বা ভগবান এবং উত্তম মানে আধ্যাত্মিক বা শ্রেষ্ঠ। সুতরাং, পুরুষোত্তম মানে "আধ্যাত্মিক পরম ভগবান।" উল্লেখ্য যে, ভগবদ্গীতার ১৫তম অধ্যায়কে পুরুষোত্তম যোগ বলা হয়। 


#ভগবদ্গীতায় পুরুষোত্তম নামের বর্ণনায় বলা হয়েছে-- ১. যিনি সর্বশ্রেষ্ঠ পুরুষ, ২. যিনি সমস্ত মুক্ত ও বদ্ধ চিৎ-সত্তার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম।(ভঃগীঃ ৮/১, ১০/১৫, ১১/৩, ১৫/১৮, ১৯)


#সময়সূচি : পুরুষোত্তম মাসের সূচনা তিথি হল অমাবস্যা এবং সমাপ্তি তিথি হচ্ছে কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি। সেই হিসাবে, এ বছর পুুরুষোত্তম মাসের সময়সূচি আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ অক্টোবর, শুক্রবার পর্যন্ত।


⏰, #Upcoming : আগামী পুুরুষোত্তম মাস চলমান থাকবে ১৮ জুলাই, ২০২৩ থেকে ১৬ আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত।


#বোনাস : যে বছর পুুরুষোত্তম বা মলমাস থাকে, সেই বৎসর পদ্মিনী ও পরমা নামে আরও দুটি একাদশীর আবির্ভাব হয়। এটা অবশ্যই ভগবানের বিশেষ কৃপা, যার ফলশ্রুতিতে আমরা দুটো অতিরিক্ত হরিবাসর তিথি পেয়ে থাকি। স্মরণে রাখুন-- এ বছর পদ্মিনী একাদশী (২৭ সেপ্টেম্বর) এবং পরমা একাদশী (১৩ অক্টোবর)

আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর - ২০২০ থেকে ১৬ অক্টোবর - ২০২০ পর্যন্ত পুরুষোত্তম মাস!

🌸 #পুরুষোত্তম মাস  কী এবং কেন || 
             #চান্দ্রবছর কী ||       
এ মাসে কি কি করা উচিৎ ||
ব্রত পালনে কি #ফল পাওয়া যায় ||

 পুরুষোত্তম মাসে শ্রীল #জয়পতাকা স্বামী মহারাজের বার্তা 🌼

🌿 #পুরুষোত্তম মাস  কী এবং কেন❓

সৌর বছরকে সাধরণত ভাবে গনণা করা হয় ৩৬৫ দিনে, প্রক্ষান্তরে চন্দ্র বছর গণনা করা হয় ৩৫৫ দিনে। ফলে ৩৬৫ থেকে ৩৫৫ দশ দিনের পার্থক্য সৃষ্টি হয় সৌরদিবস ও চান্দ্র তিথির মধ‍্যে। তাহলে তিন বছরে এর পার্থক্য দাঁড়ায় ৩০ দিনে এবং ৩০ দিনে হয় একমাস। এ কারণে ভারতে বৈদিক যুগে প্রতি ৩ বছর অন্তর একটি বাড়তি মাস যুক্ত করে চাঁন্দ্র বছরের সাথে সৌর বছর সমন্বয় করা হয়। এটি ভগবৎপ্রণীত। একে অধিমাস বলে।
এ মাসে কোন কোন সকামকর্মীয় কাজ হয় না। যেমন বিবাহ, পূজা এবং অনন্য অনুষ্ঠানাদি।

🌿 চান্দ্রবছর কী❓

~চন্দ্র বারটি রাশি ও ২৭ টি নক্ষত্রকে অতিক্রম করতে সময় নেয় ২৭ দিন। এ ২৭ দিনে হয় এ চন্দ্র মাস। যদি এই এক চন্দ্র মাসকে ৩০ ভাগে ভাগ করা  যাই এ ৩০ ভাগের প্রত্যেক টিকে বলা হয় এক একটি তিথি।  অমাবস্যা পরবর্তী তিথি থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত ১৫টি তিথি ঘটিত ভাগটিকে আমরা বলে থাকি শুক্ল পক্ষ। পক্ষান্তরে পূর্ণিমার পরবর্তী তিথি থেকে আমাবস্যা পর্যন্ত ১৫ টি তিথি নিয়ে সংঘটিত ভাগ কৃষ্ণপক্ষ।
 তিথি গুলো সৌর দিনের চেয়ে কিছুটা ছোট তাই চান্দ্রমাস সৌরমাসের চেয়ে ছোট হয়ে থাকে। প্রায় সাড়ে ২৯ দিনে হয় এক চন্দ্রমাস। এরুপ বারটি চন্দ্রমাস নিয়ে তৈরী হয় একটি চান্দ্রবছর। সেই চান্দ্রবছরই হয় ৩৫৫ দিনে ৩৬০টি তিথিতে গনণা। এবং এ ৩৫৫ দিনের গনণা হওয়ার দরুণ এ যে পার্থক্যের সৃষ্টি হয়। সে পার্থক্য হয় ৩বছর ৩০ দিন এবং ৩০ দিন সে বাড়তি একমাসকে আমরা অধিমাস বলে অবিহিত করে থাকি।

🌿 একবার অসিত, দেবল, অঙ্গিরা  বামদেব প্রবৃত্তি ঋৃষি গণ, নৈমিষ অরণ্য ক্ষেত্রে সমবেত হয়েছিলেন ঠিক সেই সময়, সেই পথদিয়ে তীর্থ যাত্রা কালে সে খানে উপস্থিত হন মহর্ষি সুতপুরানি তাকে পরম সমাদরে অভ্যর্থনা যানিয়ে ঋষি গণ, তার কাছে মোক্ষ প্রাপ্তি বিষয়ে কথা শুনতে আগ্রহী হন। মহর্ষি সুত বলেন, একবার নারদ মহর্ষি নর-নারায়ণের আশ্রমে উপস্থিত হয়ে ঋষিকে বিনিত ভাবে বলেন। প্রভু পৃথিবীতে ক্রমবর্ধমান ভোগবিলাসী মানুষের  অন্ধকার যুগ এ কলিযুগে, মোক্ষ লাভের পথ।উত্তরে মহর্ষি বলেন এ কলিযুগের মানুষ এ জীবনে পুরুষোত্তম নারায়ণের পবিত্র লীলা কথা শ্রবণ করলে,  তার বন্ধনমোচন মোক্ষ প্রাপ্তি ঘটবে।
এ কথা শোনার পর সমবেত ঋষিগণ মহর্ষি সুতের কাছে, এ অধিমাসে ভগবানের লীলাকথা শুনতে লাগলেন।

🌿 ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অধিমাস প্রসংঙ্গে  বলেছেন যারা এমাসে সৎ কর্ম অনুষ্ঠান করবে তারা অচিরে দূঃখ কষ্ট হতে মুক্তি লাভ করবে।

সেই সংঙ্গে যারা কৃচ্ছসাধন করবে তারা ইন্দ্রিয়গণকে জয় করতে সক্ষম হবে। অন্য মাস গুলিতে সৎ কর্ম করলে স্বর্গ লাভ হয় কিন্তু ফল ভোগ শেষ হলে আবার পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করতে হয়। এ ভাবে জন্ম মৃত্যুর চক্র হতে মুক্ত হতে পারে না। কিন্তু প্রক্ষান্তরে এ মলমাসে সৎ কর্ম করলে মোক্ষ লাভ হয়। তথা পূনর্জন্ম হতে মুক্ত হয়।

তাই শাস্ত্রমতে অধিমাস হলো গুরুত্বপূর্ণ মাস।

🌿 বৈশাখ, মাঘ এবং কার্তিক মাস থেকেও এ মাস সহস্র সহস্র গুণে শ্রেষ্ঠ। এ মাসে সক্ষম ব‍্যক্তির হবিষ‍্যগ্রহণ ব্রত এবং সকলেরই শ্রীপুরুষোত্তম কৃষ্ণকে প্রদীপ নিবেদন ক‍রা কর্ত‍ব‍্য।

🌿 বৃহন্নারদীয় পুরাণে বর্ণিত হয়েছে,  যেহেতু অধিমাসে কোনো সকাম কর্ম হয়না তাই, কর্মকাণ্ডীয় লোকেরা পুরুষোত্তম মাসকে মলমাস বলে ঘৃণা করে।

 তো এই অধিমাসের অধিষ্ঠাতা নিজের অপমান এবং অন্য বারোটি মাসের আধিপত্য বিচার করে বৈকুণ্ঠপতি ভগবান শ্রীনারায়ণের সমীপে গিয়ে নিজের দুঃখের কথা নিবেদন করেন। বৈকুণ্ঠপতি নারায়ণ কৃপা করে অধিমাসকে সঙ্গে নিয়ে গোলোকবৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণের কাছে উপস্থিত হন।

অধিমাসের কথা শ্রবণ করে দয়ার্দ্রচিত্ত পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ঘোষণা করেন, “জগতে আমি পুরুষোত্তম নামে বিখ্যাত। এই অধিমাসও জগতে পুরুষোত্তম মাস নামে বিখ্যাত হলো। তাই এই অধিমাসকে কেউ আর মলমাস না বলে শাস্ত্রসম্মত ‘পুরুষোত্তম মাস’ বলে খ্যাত থাকবে। অন্য সকল মাস সকাম, কিন্তু এ মাস নিষ্কাম। তাই এ মাসে যে আমার সেবা করবে, সে সমস্ত বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে আমার কাছে ফিরে আসবে। আমার ভক্তরা কখনও কখনও জ্ঞানত বা অজান্তে কোনো অপরাধ করে থাকে, কিন্তু এই মাসে কখনও অপরাধ হবে না। এ মাসে ভক্তিমূলক যে কোনো সেবা যেই করুক না কেন, সে অধিক ফল প্রাপ্ত হবে। শুধু তা-ই নয়, অবশেষে আমার ধামে ফিরে আসবে।”

🌿 পুরাণে আরো বর্ণিত হয়েছে, পুরুষোত্তম মাস অত‍্যন্ত পবিত্র কিন্তু কোনো ব‍্যক্তি যদি একে মলমাস বলে অশ্রদ্ধা করে, তবে তার সর্বময় অমঙ্গল হয়। পূর্বজন্মে পুরুষোত্তম মাসকে অবজ্ঞা করার ফলেই দ্রৌপদী পরজন্মে নানা কষ্টের ভাগীদার হন। এবং বনবাসের সময় পুরুষোত্তম মাস পালনের দ্বারাই সেই পাপ থেকে মুক্ত হয়ে ভারতের সম্রাজ্ঞী হন। সেইসাথে ভগবানের পরম প্রীতি সাধন করেন।

পুরুষোত্তম মাসে ভগবানকে দামোদরের মতো ঘৃত প্রদীপ নিবেদন করতে হয় এবং চৌরাগ্রগণ‍্য পুরুষাষ্টকম্ কীর্তন করা হয়। এছাড়াও এ সময় ব্রতধারণ করা উচিত।


🌿 পুরুষোত্তম মাসে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী মহারাজের বার্তা 🚩


পবিত্র পুরুষোত্তম মাসের শুভেচ্ছা। "অধিক মাস" আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছিল। মানুষ তাকে খারাপ নামে ডাকতো, এজন্য সে কাঁদছিল। সে নারায়ণের কাছে গেলো এবং কি করণীয় জিজ্ঞাসা করলো। নারায়ণ তাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে পাঠালেন। "অধিক মাস" ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করলো। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
বললেন,"যে ব্যক্তি আমার শরণাগত হয় আমি তাকে বিশেষ কৃপা প্রদান করি। আজ থেকে আমার নামে তোমার নাম হবে"পুরুষোত্তম মাস"এবং তোমার মহিমা আমার ন্যায় হবে। মানুষ তোমাকে পূজা করবে। আমার পূজা করে মানুষ যে সৌভাগ্য লাভ করে, তোমার পূজা করে তদ্রুপ সৌভাগ্য প্রাপ্ত হবে। বছরের সকল মাসের মধ্যে কার্তিক বা দামোদর মাস অন্যান্য সাধারণ মাসের তুলনায় একশ গুণ  বেশী মহিমান্বিত। এই পুরুষোত্তম মাস তিন বছরে একবার আসে।


পুরুষোত্তম মাসে করণীয়


১. ব্রাহ্মমুহূর্তের পূর্বে গাত্রোত্থান করে স্নান ও মঙ্গল আরতিতে অংশগ্রহণ করা।

২. প্রতিদিন নির্ধারিত সংখ্যামালার অতিরিক্ত (২৪, ৩২, ৩৩, ৪৮, ৬৪ বা তদুর্ধ্ব) জপ করা উচিত এবং যত বেশি সম্ভব হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্তনে অংশগ্রহণ করা উচিত।

৩. প্রতিদিন চৌরাগ্রগণ্য পুরুষাষ্টকম, জগন্নাথাষ্টকম্, নন্দনন্দনাষ্টকম্, রাধা-কৃষ্ণ কৃপাকটাক্ষস্তোত্রম প্রভৃতি নিজাভীষ্ট স্তোত্রাবলি পাঠ ও পূর্বতন আচার্যকৃত ভজন কীর্তন করা উচিত।

৪. এ মাসে ৩৩ সংখ্যাটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাধা-কৃষ্ণের উদ্দেশ্যে ৩৩ বার দন্ডবৎ প্রণাম, ৩৩ সংখ্যক প্রদীপ দান, ৩৩ সংখ্যক ফল ও পুষ্প প্রদান প্রভৃতি যেকোনো সেবায় ৩৩ সংখ্যার ব্যবহার। 

📕, পুরাণে বর্ণিত আছে, এই মাসে কৌশিক মুনি ও তাঁর পুত্র মৈত্রেয় মুনি ব্রাহ্মণগণকে ৩৩ সংখ্যক আপূপ দান করেছিলেন। (আপূপ-- আতপ চাল, শর্করা ও ঘৃত দ্বারা তৈরি পিষ্টক বিশেষ)

৫. পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সন্তুষ্টির জন্য প্রতি সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রদান করা কর্তব্য। সামর্থ্য থাকলে ঘৃত প্রদীপ নতুবা তিল-তৈল প্রদীপ দেওয়া উচিত।

৬. প্রতিদিন শ্রীমদ্ভাগবত ও অন্যান্য সদ্গ্রন্থাদি অধ্যয়ন করা উচিত। (বিশেষ করে শ্রীমদ্ভাগবতের দশম স্কন্দে বর্ণিত ব্রহ্মস্তুতি ও শ্রীমদ্ভগবদ্গীতার পঞ্চদশ অধ্যায়)

৭. পুরুষোত্তম মাসে ভক্তিপূর্বক শ্রীমদ্ভাগবত গ্রন্থ শ্রবণ করা উচিত।

৮. ভক্তগণ শ্রীশালগ্রাম শিলার অর্চন করবেন।

৯. পুরুষোত্তম ব্রতী হবিষ্যান্ন ভোজন করবেন।

(গম, আতপ চাল, মুগডাল, যব, তিল, মটর, কাঙ্গলী তণ্ডুল, উড়ি তন্ডুল, বেতোশাক, হেলেঞ্চা শাক, আদা, কালশাক, মুলক, কন্দমূল, কাঁকুড়, কলা, সৈন্ধব ও সামুদ্রিক লবণ, দধি, ঘৃত, অনুদ্বৃত দুগ্ধসার, কাঁঠাল, আম, হরিতকি, পিপ্পল, জিরা, শুঁঠ, তেঁতুল, ক্রমুক, আতা, আমলকি, ইক্ষুজাত চিনি, মিশ্র অতৈলপক্ব ব্যঞ্জনাদি দ্রব্য--এ সমস্তই হবিষ্যান্ন। ছোলা ডাল, তিল তৈল, কাঁকরযুক্ত অন্ন, ভাবদুষ্ট-ক্রিয়াদুষ্ট-শব্দদুষ্ট দ্রব্যসকল পরিত্যাগ করা উচিত)

১০. পরান্ন ভোজন, পরদ্রোহ, পরদার গমন পরিত্যাগ করা উচিত।

১১. পুরুষোত্তম মাসে দেবতা, বেদ, গুরু, গো, ব্রতী, স্ত্রীলোক, রাজা ও মহাজনদের নিন্দা পরিত্যাগ করা উচিত।

১২. ব্রহ্মচর্য অর্থাৎ অমৈথুন, অধঃশয্যা, পত্রাবলীতে ভোজন পুরুষোত্তম মাসে প্রশস্ত।

|| পুুরুষোত্তম মাস পালন করলে আপনি এই জীবনেই সুখ ও শান্তিতে জীবন-যাপন করতে পারবেন এবং যখন এই জীবন সমাপ্ত হয়ে যাবে আপনি পারমার্থিক জগতে কৃষ্ণলোকে ফিরে যাবেন। তাছাড়া এ মাসের গুরুত্ব দামোদর মাসের চাইতে এক হাজার গুণ বেশি ক্ষমতাশালী ||

--#শ্রীল_জয়পতাকা_স্বামী, বসন্ত কুঞ্জ, দিল্লী

সর্বোপরি, যিনি এই পুুরুষোত্তম ব্রত পালন করেন, তার মাঝে সকল পবিত্র ধাম ও দেবতারা বাস করেন।

Post a Comment

0 Comments