বৈদিক শাস্ত্রের বর্ণনা অনুসারে পুৎ নামক একটি নরক রয়েছে , এবং সেই নরক থেকে যে উদ্ধার করে তাকে বলা হয় পুত্ৰ । তাই বিবাহের উদ্দেশ্য হচ্ছে পুত্ৰলাভ করা যে পিতাকে পুৎ নামক নরকে পতিত হলেও উদ্ধার করতে
পারবে । যদি কারোর পিতা অত্যন্ত পাপীও হয় এবং অন্যের অভিশাপে তার মৃত্যুও হয় তবুও তার পুত্র যদি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহান ভক্ত হয় তবে অবশ্যই তিনি তার ভক্তির সুকৃতি দ্বারা তার পিতাকে এই নরকের যন্ত্রনা থেকে মুক্ত করতে পারে ।
বৈদিক শাস্ত্রে নিৰ্দেশ দেওয়া হয়েছে যে , বিবাহে পত্নী গ্রহণের উদ্দেশ্য হচ্ছে, উপযুক্ত পুত্ৰসন্তান লাভ করা , যে তার পিতাকে নরকের অন্ধতম প্রদেশ থেকে উদ্ধার করতে পারবে ।
ভাগবতে বর্ননা আছে হিরণ্যকশিপুর পুত্র (প্রহ্লাদক) শ্রীবিষ্ণুভক্ত হওয়াতে তাকে নিজ হাতে হত্যা করতে অনেক চেষ্টা করেছিল।
ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজের বিশ্বাস রক্ষা করতে ভগবান নৃসিংহদেব স্থম্ভ থেকে আবির্ভূত হয়ে হিরণ্যকশিপুকে বধ করে। যখন ভগবান নরহরি প্ৰহ্লাদ মহারাজকে বর দিতে চেয়েছিলেন , তখন তার গভীর ভক্তি ও সহনশীলতার জন্য প্ৰহ্লাদ মহারাজ ভগবানের কাছ থেকে কোন বর গ্রহণ করতে চাননি।। তিনি মনে করেছিলেন যে এই প্ৰকার বর গ্রহণ ঐকান্তিক ভক্তের শোভা
পায় না ।
কোন পুরস্কার লাভের আশায় ভগবানের সেবা করাকে প্ৰহ্লাদ মহারাজ এক ধরনের ব্যবসা বলে নিন্দা করেছেন ।
যেহেতু প্ৰহাদ মহারাজ ছিলেন বৈষ্ণব , তাই তিনি নিজের স্বাৰ্থে কোন বর প্রার্থনা করেননি। কিন্তু তিনি তার পিতার প্রতি গভীর অনুকম্পা অনুভব করেছিলেন । যদিও তার পিতা তার উপর অকথ্য অত্যাচার করেছিল এবং ভগবান তাকে হত্যা না করলে , প্ৰহাদকে সে হত্যা করত তবুও প্ৰহ্লাদ মহারাজ তার পিতা হিরণ্যকশিপুর মঙ্গল কামনা করে ভগবানের কাছে প্ৰাৰ্থনা করেছিলেন । ভগবান তাঁর সেই প্ৰাৰ্থনা তৎক্ষণাৎ পূৰ্ণ করেছিলেন।
তাই আপনাদের পুত্রকে কৃষ্ণজ্ঞান দান করুণ, তাকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মহান ভক্ত হতে শিক্ষা দিন। তাহলে অবশ্যই আপনার এই বৈষ্ণব পুত্র শুধু আপনাকে নয় এ জগতের সকলকে নরক যন্ত্রণা থেকে ত্রান করে
সবাইকে ভগবানের ধামে নিয়ে যাবে
0 Comments