❣️" #জয়_নিতাই " কেন বলবো❓
অনুরোধ করছি পোষ্টটি একটু কষ্ট করে পড়বেন কারণ বিষয়টি অনেকেরই অজানা।
" জয় নিতাই "কেন বলবো? জয় গৌর বললেই তো সব কিছু বলা হয়।........... কিন্তু না সব কিছু বলা হয়না। কারণ চৈতন্য চরিতামৃতের..... "অনর্পিতচরীং চিরাৎ করুণয়াবতীর্ণঃ কলৌ"......শ্লোকটিতে আমরা জানতে পারি যে ভগবানের একটি গোপন সম্পদ আছে যেটি কোনো কালেই তিনি দান করেন নি ।
সেটি হচ্ছে প্রেমভক্তি যা রাইকিশোরীর ভাণ্ডারে গচ্ছিত ধন। গৌর লীলায় নিজে সেই ভক্তি ধনের রসআস্বাদন এবং কলিহত জীবের উদ্ধারের জন্য এবং সেটি আচণ্ডালে দান করার দ্বায়িত্ব দিলেন নিত্যানন্দকে।তাই নিতাইচাঁদের কৃপা ছারা প্রেমভক্তি লাভ অসম্ভব আর গৌর পাওয়ার গল্প অনেক দূরের।
🌹 তার প্রমান #শ্রীলবৃন্দাবন দাস ঠাকুরের চৈতন্য ভাগবতে....
"তোমার সে প্রেমভক্তি তুমি প্রেমময়
বিনে তুমি দিলে কারো ভক্তি নাহি হয়।
আপনা সম্বরি উঠ,নিজ জন চাহ
যাঁহারে তোমার ইচ্ছা তাঁহারে বিলাহ।
তীলার্দ্ধেক তোমারে যাহার দ্বেশ রহে
ভজিলেহ সে আমার প্রীয় কভু নহে"..
🌹"গৌড়ে রহি মোর ইচ্ছা সফল করিবা
তাহা সিদ্ধি করে হেন অন্য না দেখিয়ে
আমার দুস্কর কর্ম্ম তোমা হৈতে হয়ে"।..... (চৈ চঃ)
আমার যে অভিপ্রেত কার্য্য সম্পন্ন তুমি ছাড়া অন্যের দ্বারা দুস্কর, কেবল তোমার দ্বারাই সম্ভব।কারণ প্রভু জানতেন অবধুত নিতাই হেন দয়াল আর কেউ নেই যে মার খেয়েও নাম প্রচার করার ক্ষমতা রাখে।
এই ইঙ্গিতে চৈতন্যদেব যা প্রকাশ করতে চেয়েছেন যে,শ্রীসঙ্কর্ষণ হলেন মূল ভক্ততত্ত্ব।নবদ্বীপ- লীলায় সঙ্কর্ষণ শ্রীমন নিত্যানন্দই সঙ্কর্ষণ তাই নিত্যানন্দ কৃপাব্যাতীত ভক্তিলাভ সম্ভব নয়। তাই শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর বলেছেন, ...... " নিতাইয়ের করুণা হবে ব্রজে রাধা কৃষ্ণ পাবে "। নিতাই করুণা না হলে জতই গৌর গৌর করে, কৃষ্ণ কৃষ্ণ করে মর কোনো লাভ নেই।.........
🌿 "দুই ভাই একতনু সমান প্রকাশ
নিত্যানন্দ না মান, তোমা হইবে সর্বনাশ।
একেতে বিশ্বাস অন্যে না কর সম্মান
অর্ধকুক্কুটি ন্যায় তোমার প্রমান "(চৈ চঃ).....।
শ্রীচৈতন্য ও নিত্যানন্দ একতনু ও অভিন্ন কলেবর তাই উভয়ে মিলে পূর্ণ দেহ।নিত্যানন্দ না মানলে পূর্ণ ভগবানের অর্দ্ধেক দেহকে মানা হয় তাতে চৈতন্যের পূর্ণতার হানি হয়।কাজটা কোনও মান্য ব্যক্তির এক পায়ে লাঠি মেরে অন্য পায়ে প্রণাম করার সমান হয়ে গেল।
🌿তাহলে আমি চৈতন্য মানি কিন্তু নিতাই মানি না এটা ভণ্ডামি ছাড়া আবার কি? ভণ্ডের থেকে পাষণ্ড অনেক ভাল। অন্তত তাকে চিনে তার থেকে দূরে থাকা যায়।............
"রাঘব তোমারে আমার নিজ গোপ্য কই....
.আমার দ্বিতীয় নাই নিত্যানন্দ বই".....(.চৈ চঃ)
"সঙ্কর্ষণঃ কারণতোশায়ী গর্ভোদশায়ী চ পয়োদ্ধিশায়ী শেষশ্চ যস্যাকলাঃ স নিত্যানন্দাখ্যরামঃ শরণং মমাস্তু।। "(চৈ চঃ)
সঙ্কর্ষণ, কারণাব্ধিশায়ী নারায়ণ,গর্ভোদশায়ী নারায়ণ, ক্ষীরোদশায়ী নারায়ণ এবং অনন্ত ইহারা যাহার অংশকলা, সেই নিত্যানন্দ নামক বলরামকে শ্মরণ করি।
❣️নিত্যানন্দ এবং গৌরসুন্দরকে পৃথক চিন্তা করলে নাম অপরাধের ন্যায় মহা অপরাধে পড়তে হবে এটাই সত্য। শুধু তাই নয় নবদ্বীপ ধামের সেবা করতে হলে পঞ্চতত্ব সহ গৌরসুন্দরের পুজা না করলে মহাপ্রভু তা গ্রহন করেন না।
🌿আর নবদ্বীপ সেবা অধিকার না পেলে বৃন্দাবন ধামে রাধাগোবিন্দের সেবা লাভ করার কথা চিন্তা করা ভস্মে ঘি ঢালার সমান। এবিষয়ে অখণ্ড সংহিতাতায় একটা সাবধান বানী আছে ,..........
"যঃ এব রাধিকা কৃষ্ণ স এব গৌরবিগ্রহঃ
যচ্চ বৃন্দাবনং দেবী নবদ্বীপঞ্চ তৎ শুভম্
বৃন্দাবনে নবদ্বীপে ভেদবুদ্ধিশ্চ নরঃ
তথৈব রাধিকা কৃষ্ণে শ্রী গৌরাঙ্গ পরাত্মনি।
মৎ শুলপাত নির্ভিন্নদেহঃ সোহনি নরাধম
পচ্যতে নরকে ঘোরে যাবদাহত সংপ্লবম্।".........
🌿শিব পার্বতিকে বলছেন যিনি রাধাকৃষ্ণ তিনিই গৌরাঙ্গ সুন্দর। যাহা বৃন্দাবন তাহা নবদ্বীপ। কৃষ্ণ লীলায় যারা গোপরমনী, সখীমঞ্জরী তারাই গৌরাঙ্গপার্ষদ। এতে যে ভেদ বুদ্ধি করবে সেই নরাধম আমার শূলাঘাতে প্রাণ ত্যাগ করে অনন্ত কাল নরক যন্ত্রনা ভোগ করবে।
💐কারণ বৃন্দাবন ধামের পুণরুদ্ধার করেন স্বয়ং গৌরসুন্দর, আর তার কোটাল রাখেন ষড় গোস্বামীকে। সবশেষে সিধান্ত এই দাঁড়াই যে নিত্যানন্দের কৃপা ছাড়া গৌরাঙ্গের কৃপালাভ সম্ভব না। তাই গৌরভক্ত হতে গেলে জয় নিতাই বলতেই হবে।
🙏❣️ জয় নিতাই জয় গৌর সুন্দর❣️🙏
0 Comments