*"মঙ্গল আরতির গুরুত্ব''*

************************

শ্রীকৃষ্ণমন্দিরে মঙ্গল আরতিতে যাওয়ার জন্য এক ধার্মিক ব্যাক্তি ব্রাহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে তিলক করে ও জপমালায় 'হরেকৃষ্ণ' মহামন্ত্র জপ করতে করতে দ্রুত যাচ্ছে।

মাঝ পথে সে পা পিছলিয়ে পড়ে গেলো,তাঁর কাপড় নষ্ট হয়ে গেলো,সে বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার স্নান ও তিলক করে মন্দিরের দিকে রওয়ানা দিলো।

মাঝ পথে আবার সে পা পিছলে পড়ে গেলো,তার কাপড় ময়লা হয়ে গেলো,সে আবার বাসায় গেলো,স্নান ও তিলক করে মন্দিরের দিকে রওয়ানা দিলো।


তিনবারের পর মাঝ পথে আসতে প্রদীপ হাতে এক লোকের সাক্ষাত পেলো। 


লোকটিকে সে জিজ্ঞাস করলো,আপনি কে.? সে উত্তরে বললো, আমি আপনাকে দুবার পড়ে যেতে দেখলাম,তাই ভাবলাম মন্দিরে যাওয়ার জন্য আমি আপনার প্রদীপের ব্যবস্থা করে দেই। লোকটি প্রদীপ হাতে তাঁকে মন্দির পর্যন্ত এগিয়ে দিলো।


তাঁকে ধার্মিক ব্যাক্তিটি বললেন, চলুন মন্দিরে মঙ্গল আরতিতে যোগ দেই। কিন্তু প্রদীপ হাতে মন্দিরের সামনে লোকটি ঠায় দাড়িয়ে থাকলো। লোকটিকে মন্দিরে আসার জন্য বারংবার বলার পর এবং অনেক পীড়াপীড়ি করার পরও লোকটি তাঁর কথা শুনছে না। তখন ধার্মিক ব্যাক্তিটি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলো,আপনি মন্দিরে আসা পছন্দ করেন না, বলুন তো আপনি কে.?


লোকটি উত্তরে বললো,আমি কলির 'মুর্ত দুত'.!


তখন ধার্মিক ব্যাক্তিটি কলির চরকে বললো, তাহলে আপনি কেনো প্রদীপ হাতে আমাকে মন্দিরে আসতে সাহায্য করলেন।


তখন কলি তাঁর রুপ ধারন করে,হাত জোড় করে বললেন,'হে পুন্যবান সাধু.! তবে শুনুন, আমিই আপনাকে ১ম বার পা পিছলিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম যাতে মন্দিরে না গিয়ে আপনি বাড়ী ফিরে যান। কিন্তু আপনি যখন পা পিছলে পড়ে যাওয়ার পরও বাড়ীতে গিয়ে ফিরে আসলেন,তখন ভগবান আপনার সমস্ত পাপ khama করে দিলেন।

'হে দয়াবান সাধু.! দ্বিতীয়বার যখন আপনি পড়ে যাওয়ার পরও বাড়ীতে গিয়ে কাপড় বদলিয়ে আবার মন্দিরের দিকে রওয়ানা দিলেন, তখন ভগবান আপনার পরিবারের সবার পাপ ক্ষমা করে দিলেন।

'হে মহান বৈষ্ণব ঠাকুর.!


এরপর তৃতীয়বার যদি পড়ে গিয়ে আপনি বাড়ী ফিরে স্নানাদি করে কাপড় বদলিয়ে মন্দিরে আসেন,তখন আমি ভয় পাচ্ছিলাম,না জানি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কি এবার আপনার গ্রামবাসীদের সকল পাপ ক্ষমা করে দেন। 


তাই তাড়াতাড়ি আমি প্রদীপ হাতে আপনাকে মন্দিরে পৌছে দিয়ে গেলাম। যদি এইবার আপনি পড়ে গিয়ে ফিরে আসতেন,তাহলে এই গ্রামে কলিযুগে কলির কোন অস্তিত্বই থাকত না।


তাইকলিযুগের মানুষ যদি সকলেই হরিনামের পাশাপাশি মঙ্গল আরতিতেও যোগ দেয়।। (সংগৃহীত)


*প্রবচন:- শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ।*

Post a Comment

0 Comments