--------------------------গুরু গুণমহিমা----------------------

-------------দর্শনে সমস্ত দুঃখ কষ্ট দূর হয়ে যায়------------


যখন আমি মায়াপুরের Temple President এর দায়িত্ব পালন করছিলাম। ১২ বছর ধরে, মায়াপুর তো ছোট মন্দির না, মায়াপুর অনেক বড় মন্দির। হাজার হাজার ভক্ত থাকে অনেক প্রভুপাদের শিষ্য-শিষ্যরা থাকে, অনেক সন্ন্যাসীবৃন্দরা থাকে। তো সেরকম মন্দির পরিচালনা করা আর আমার তখন বয়স খুব কম, ওই বয়সে গুরুকুল থেকে এসেই ১-২ বছর প্রচার করে। ওই সেবাটা করা আমার জন্য খুব সহজ ছিল না। কী করে যে সেবাটা করেছি ১২ বছর ধরে আমি জানি না, কিন্তু একটা জিনিস আমি মাঝেমাঝেই করতাম। যেটা আমার জন্য অনেক সহজ হতো এই সেবাটা করা। এই হাজার হাজার ভক্তদেরকে দেখাশোনা করা, উৎসবাদি সবকিছু করা। আমি যখন খুব বিভ্রান্ত হয়ে পরতাম, সেবার ক্ষেত্রে যাঁরা ম্যানেজমেন্ট করেন তাঁরা জানে। কতো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। আর এটা কতো বড় একটা চ্যালেঞ্জ মন্দির চালানো, যখন আমার জন্য খুব দুষ্কর হতো আমি গুরুমহারাজের ঘরে চলে যেতাম। 


আমাকে দেখে গুরুমহারাজ বলতেন নাড়ুগোপাল কিছু বলবে, আমি বলতাম না, কিচ্ছু না, কেননা আমি গিয়ে প্রণাম করে শুধু বসে থাকতাম ওনি ওনার কাজ করতেন আমি বসে থাকতাম। মাঝে-মাঝে জিজ্ঞেস করতো আরে তুমি সব সেবা ছেড়ে এখানে বসে আছো কিছু বলবে, আমি বললাম না কিচ্ছু না। আপনাকে দেখলে আপনার এখানে বসে থাকলে ৫-১০ মিনিট...যত ক্রান্তি আর এই সেবটা করার যত প্রতিবন্ধকতা তাঁর সম্মুখীন হওয়ার শক্তিটা আমি পাই। আপনাকে বলার আমার কিছু নেই শুধু বসে থাকবো আর কিছু না, ওনি হাসতেন ঠিক আছে বসো। মাঝে-মাঝে আসতাম বসতাম, আর একটা জিনিস গুরুমহারাজ কৃপা করে করতেন মাঝে-মাঝে দুপুরে ওনার সাথে প্রসাদ পেতে ডাকতেন, বসে প্রসাদ পেতাম মাঝে-মাঝে আর জাস্ট বসে থাকতাম আর কিছু না। ওনি ওনার কাজ নিয়ে থাকতেন, ওনাকে দেখে দেখে জপ করতাম।

এটাই হচ্ছে ওনার আধ্যাত্মিক শক্তি।


~শ্রীপাদ নাড়ু গোপাল দাস


পতিতপাবন শ্রীল গুরুমহারাজ কি...জয়🙏🙏

Post a Comment

0 Comments