🛑#ভগবান_জগন্নাথের_লীলা🛑


             #পর্ব🔶১২🔶 


     ✅#জগন্নাথ_মহাপ্রসাদ_ইতিকথা✅


 👉👉জগন্নাথের মহাপ্রসাদ কেন আনন্দবাজারে বিক্রি হয়। অন্য কোনো মন্দিরে তো তা হয় না।


 নারদজী একবার বৈকুন্ঠে এমন সময় গেলেন সেসময় কৃষ্ণ ভোগ গ্রহন করছিলেন। নারদজী কৃষ্ণের প্রসাদ পেয়ে পুলকিত হয়ে গেলেন। এইরকম প্রসাদ তিনি কোন দিন পান নি। প্রসাদ পেয়ে নারদজী আনন্দে হরিধ্বনি করতে লাগলেন। এখন তিনি ভাবছেন এই

 আনন্দ কাকে দেয়া যায় ভাগ করে। 


 এই ভাবে তিনি এলেন কৈলাসে, এসময় মহাদেবের সামনে আনন্দে নৃত্য করতে লাগলেন। শিব বললেন, "নারদ তোমার এ অবস্থা তো আগে কখনো দেখেনি। জানি হরিগুণ গাও এবং তা গেয়ে আনন্দ পাও। কিন্তু আজ এ কি অবস্থা।"


 নারদ বললেন, "প্রভু, আমি এই মাত্র এলাম বৈকুন্ঠ থেকে। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ঠাকুর শয়ন করছেন আর মা লক্ষ্মী প্রসাদ পাচ্ছেন। তিনি হাত না ধুয়েই আমার সঙ্গে দেখা করতে এলেন।


 আমি মার হাত থেকে একটু প্রসাদ চেয়ে নিলাম। প্রসাদের যে কি মাহাত্ম্য! প্রসাদ হাতে নিয়ে আমার আনন্দ আর ধরে না।" 

        

️শিব "আমায় দাও" বলে নারদের হাত খানি চেটে পুটে খেলেন। আর নেই। সব শেষ। খেয়ে শিবেরও আনন্দ। শিব পরম বৈষ্ণব। মূলতঃ ভগবানই বিভিন্ন রূপে নিজ লীলা নিজে আস্বাদন করেন।


 শিব ও নারদ প্রসাদের মাহাত্ম্যে নৃত্য করছেন এমন সময় মা পার্বতী আসলেন।  এসে বললেন; "এ কি আজ তোমাদের কী হল!" 

        

  শিবকে দেখিয়ে বললেন, "উনি তো নিজের ভাবেই থাকেন, তুমি এসে জুটলে কোথা থেকে?" 


নারদ বললেন, "মা আজ স্বয়ং ঠাকুরের প্রসাদ মা লক্ষ্মীর হাত থেকে পেয়েছি। তাই খেয়ে আনন্দে নৃত্য করতে করতে এখানে এলাম। হাতে বাকি যা লেগে ছিল মহাদেব সব চেটে খেলেন। আর তার পরেই এই অবস্থা। " 

       

    পার্বতী বললেন, "আর আমার অংশ ? সেই বৈকুন্ঠ থেকে লক্ষ্মীর দেওয়া ঠাকুরের প্রসাদ আনলে শিবকে দিলে, আমায় দিলে না! একটুও নেই?" 

    

নারদ বললেন, " না মা, একটু নেই।"       

      পার্বতী রেগে গিয়ে বললেন, " এই মহাপ্রসাদ আমি আচন্ডালে খাওয়াব। পশু পক্ষীও খাবে। কোন ভেদ বিচার থাকবে না। কিন্তু কোথায় প্রচার কবরো?" 

       

  এই শ্রীক্ষেত্র পুরী ধামেই প্রচার করলেন। যেখানে এত জাতিভেদ আমাদের ভারতবর্ষে,কিন্তু প্রসাদের ক্ষেত্রে পুরীধাম একেবারেই ভেদশূন্য। 


 ️এখানে যে 'আনন্দবাজার' সেখানে একজন এসে খেয়ে যায়, ফেলে যায়, সেখান থেকে আবার কেউ খায়। কেউ হাত মুছল কেউ আবার মাথায় মুছল। সেখানে কত যে রান্না হয় তার ইয়ত্তা করা যায় না। রথ উৎসবে তো লক্ষ লক্ষ লোক আসে। সেখানে লোককে দেখা যায় না রান্না করে খেতে। সবাই জগন্নাথের প্রসাদ পায়।


️পার্বতী দেবী ধ্যান করতে লাগলেন তারপর বিষ্ণু প্রকটিত হলো কি চাও মাতা বললেন প্রসাদ চাই, আপনার প্রসাদ শুধু আমার জন্য নয় এই জগত জীবের জন্য বিষ্ণু বললেন তথাস্তু আমি কলি যুগে জগন্নাথ মহাপ্রসাদ রূপে আসছি।


️ সেখানে তুমি বিমলা রূপে আমার মন্দিরের পাশেই থাকবে আমার নিবেদিত প্রসাদ তোমাকে নিবেদন করার পর জগতবাসী পাবে। সেখানে  মানুষ,পশু,পাখি,কীট-পতঙ্গ মহাপ্রসাদে ভেদাভেদ থাকবে না।  জয় জগন্নাথ মহাপ্রসাদ।

                  ____________

Post a Comment

0 Comments