"অনয়ারাধিতো নূনং ভগবান্ হরিরীশ্বর।
যন্নোবিহায় গোবিন্দঃ প্রীতযামনয়দ্রহঃ।।"
অনুবাদ: এই বিশেষ গোপী নিশ্চয়ই যথার্থভাবে সর্বসক্তিমান ভগবান গোবিন্দের
আরাধনা করেছিলেন, তাই তাঁর প্রতি অত্যন্ত প্রীত হয়ে তিনি অবশিষ্ট আমাদের
পরিত্যাগ করে তাঁকে নির্জন স্থানে নিয়ে গিয়েছেন।
তাৎপর্য:- শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী ঠাকুর বর্ণনা করেছেন যে, আরাধিতঃ
শব্দটি শ্রীমতী রাধারাণীর সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি ভাষ্য প্রদান
করেছেন,
“মুনিবর শুকদেব গোস্বামী রাধারাণীর নাম গোপন রাখতে সকল প্রয়াস
করেছেন। কিন্তু এখন আপনা থেকেই তাঁর মুখচন্দ্র হতে তা দীপ্তিমান হয়েছে।
প্রকৃতপক্ষে শ্রীমতী রাধারাণীর কৃপাতেই তিনি তাঁর নাম এইভাবে প্রকাশ করেছেন
এবং তাঁর পরম সৌভাগ্য ঘোষনা করার জন্য আরাধিতঃ শব্দটি দুন্দুভির মতো
নিনাদিত হচ্ছে।”
শুকদেব গোস্বামী এত ভাবাপন্ন হয়ে রাধা নাম উচ্চারন
করে ভাবছেন আমি হয়তো পাঠ শেষ করতে পারবো না। আমারতো পরীক্ষিত মহারাজের
সাথে সাতদিনের প্রতিজ্ঞা আছে। কিন্তু যদি রাধা নাম বলতে গিয়ে এমনভাবে
ভাবাপন্ন হয়ে গিয়ে যদি পাঠ বন্ধ হয়ে যায়, অর্থাৎ পরীক্ষিৎ মহারাজ যদি
ভাবাবিষ্ট হয়ে পড়েন! সেজন্য রাধা নাম বলে এত আনন্দ পাবে পরমানন্দ বিপুল
হয়ে যাবে হয়তো পাঠ বন্ধ হয়ে যাবে। সেজন্য রাধা নাম বলতে চাননি। কিন্তু
তা বলে ফেলেছেন, "আরাধিতঃআরাধিতঃ"।
0 Comments