ভক্তের ভক্তি দিয়েই ভগবানকে জয় করা সম্ভব

 ভক্তের ভক্তি দিয়েই ভগবানকে জয় করা সম্ভব






একদিন নারদ মুনি সত্যভামা দেবীকে পরীক্ষা করার জন্য কৌশলে সত্যভামাদেবীর কাছে পূজার দান স্বরুপ ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে চেয়ে বসলেন। একথা শুনে পতি হারানোর কষ্টে হাউ মাউ করে কাঁদতে লাগলেন। তারপর নারদ মুণি সত্যভামার পতিব্রতা দেখে কৃষ্ণকে ফিরিয়ে দিতে শেষমেষ রাজি হলেন। কিন্তু শর্তছিল কৃষ্ণের সমপরিমান ঐশ্বর্য তাকে দান করতে হবে। সত্যভামাদেবী কোন উপায়ন্তর না দেখে নারদ মুণির শর্তে রাজি হয়ে গেলেন। তারপর ধীরেধীরে রাজকোষ হতে স্বর্নালংকার আনতে শুরু করললেন এক পাল্লায় স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে বসিয়ে দেওয়া হলো অন্য পাল্লায় সমস্থ স্বর্নলাংকার রাখতে শুরু করলেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে কোন ভাবেই অপর পাল্লা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সমপরিমান হচ্ছিলনা। শেষমেষ সত্যভামা দেবী পতি হারানোর বেদনায় তার সারা অঙ্গের সমস্ত স্বর্নালংকার খুলে অপর পাল্লায় দিতে লাগলেন , কিন্তু তাতেও পাল্লা কৃষ্ণের সমান হচ্ছিল না। হায়! হায়! আর বুঝি আমার প্রানপতিকে ফিরে পাওয়া হলোনা। এই ভেবে পতি বিরহে হু হু করে উচ্চস্বরে কাঁদতে লাগলেন সত্যভামাদেবী। সত্যভামা ভূলে গিয়েছিল যাকে হাজার বছর তপস্যা করে দেবতারা পায়নি, তাকে এই নরশ্বর ঐশ্চর্য দ্বারা কিভাবে লাভ করা সম্ভব। যাই হোক শেষমেষ ভগবানের করুনায় রুক্সিনীদেবী ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জয় করার মহা কৌশল শিখিয়ে দিলেন- সত্যভামাদেবীকে। রুক্নিনীদেবীর কথামত শুদ্ধ প্রেম ভক্তিসহকারে যেই মাত্র একটি তুলসী পত্র রাখলেন সেই পাল্লার উপর -আর সাথে সাথেই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পাল্লা উপরে উঠে গেল। তখন শুদ্ধ ভক্তের ভক্তির কাছে ভগবান হেরে গেলেন আর বললেন। আমি হইতে আমার নাম বড়, নাম হইতে আমার শুদ্ধ ভক্ত বড়, ভক্ত হইতে ভক্তের ভক্তি বড়।





Post a Comment

0 Comments