আত্মবিশ্বাস আর অভ্যাস দ্বারা হয়ে ওঠো সাধারণ থেকে অসাধারণ

আত্মবিশ্বাস আর অভ্যাস দ্বারা হয়ে ওঠো সাধারণ থেকে অসাধারণ


তুমি ভাবছো তোমার জীবনের  লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করা আছে । তাইতো ? আমাদের মধ্যে অনেকের হয়তো জীবনের  লক্ষ্য স্থির করা রয়েছে । সেটা Short term এর হতে পারে অথবা Long term এর । আমরা নিজেকে কোথায় দেখতে চাই বা কী করলে আমরা সেই অবস্থায় পৌঁছাতে পারবো তার জন্য একটা লক্ষ্যের তালিকাও বানিয়ে ফেলি । তুমি কি কখনো তোমার লক্ষ্যগুলো নিয়ে বিবেচনা করে দেখেছো ? বর্তমানের এই মর্ডান সোসাইটিতে আমরা যে লক্ষ্যগুলো নির্বাচন করে থাকি তা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের পরিবার , সমাজ , রাষ্ট্র কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ার ইনফ্লুয়েন্স দ্বারা নির্ধারিত হয় ।
we don’t set goals that truly come from within us. We set goals based on outside programming, it’s the television , it’s politicians , it’s commercials.
তবে এসব কিছুর বাইরেও তোমার অন্য কিছু করার ইচ্ছাও থাকতে পারে কিংবা তুমি পারিপার্শ্বিকের নির্ধারণ করা লক্ষ্যের অনুসারী হতে পারো । তবে তার আগে একবার নিজেকে প্রশ্ন কর , উপলব্ধি কর , অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে একটা উত্তর আসবেই । সেই পথটা অনুসরণ করো কখনও বিফল হবে না ।
 
আজকাল মানুষ মানুষকে বিচার করে দুটো বিষয়ের নিরিখে। এক- তার ব্যাংক একাউন্ট এ কত টাকা আছে । দুই- সে কোন পরিচয় বহন করে অর্থাৎ তার নামের পূর্বে কোন খ্যাতিসুলভ উপাধি আছে । এর বাইরেও মানুষ মানুষকে নতুনভাবে আবিষ্কার করতে পারে । সাধারণ দৃষ্টিভঙ্গির থেকে উর্দ্ধে উঠে অসাধারণ জীবন-যাপন প্রণালী গ্রহণ করে সবার থেকে আলাদা হতে পারে । যা তার জীবনকে সুখী, আনন্দিত ও সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে পারবে । চলো তাহলে জেনে নেওয়া যাক চেনা ছকের বাইরে গিয়ে অদম্য ইচ্ছাশক্তি , স্বপ্ন আর বিশ্বাস নিয়ে কিভাবে আমরা আমাদের জীবনে অসাধারণ হয়ে উঠতে পারে-

১. বিশ্বাস :-

Believe in yourself! Have faith in your abilities! Without a humble but reasonable confidence in your own powers you cannot be successful or happy.
Norman Vincent Peale
যে কাজই করো না কেন সর্বপ্রথম সেই কাজটির প্রতি  বিশ্বাস ও ভরসা থাকা চাই । অন্যেরা বিশ্বাস করুক বা নাই করুক তোমার নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকাটা বাঞ্ছনীয় । বাইবেলে একটা কথা আছে – বিশ্বাস পাহাড়কেও টলাতে পারে। বিশ্বাস একটি অদ্ভুত শক্তি, এটা কোন ম্যাজিক বা অলৌকিক বিষয় নয় । বিশ্বাস এভাবে কাজ করে- আমি দৃঢ়  নিশ্চিত, আমি পারবো। এই বিশ্বাস মনোবল বাড়ায়, কাজে দক্ষতা ও শক্তি পাওয়া যায় । ‘ আমি পারবো ‘ বিশ্বাস করতে শুরু করলে তাহলে পরে কী করা যায় অর্থাৎ পরবর্তী পদক্ষেপগুলো কী হবে তা মাথায় আসবে। অনেকেই আবার শুধু বিশ্বাস নিয়ে বসে থাকে, শুধু বিশ্বাস দিয়েও যে সবকিছু জয় করা যায় তা কিন্তু নয়, বিশ্বাসের সঙ্গে কাজটাও প্রতিনিয়ত করে যাওয়া জরুরী । এই বিশ্বাস এবং কাজের মধ্যে যে ডুবে যেতে পেরেছে তাকে কোন দুঃখ-কষ্ট স্পর্শ করতে পারে না । তার গন্তব্যে সে একদিন ঠিকই পৌঁছে যায় ।




স্বপ্ন

২. স্বপ্ন:-

স্বপ্ন তো আমরা সবাই দেখি । কিন্তু দিনশেষে আমাদের অধিকাংশ স্বপ্নগুলো স্বপ্নই থেকে যায়। ফলে ধীরে ধীরে স্বপ্ন দেখাও বন্ধ করে দেই এটা ভেবে যে , “না আমার দ্বারা এটা হবে না”, “এটা অসম্ভব,” “আমার সেই সৌভাগ্য নেই”- ইত্যাদি। অথচ স্বপ্নগুলোর বাস্তব রূপ দেওয়াটা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। যে কোন আবিষ্কারের সূত্রপাত হয়েছে স্বপ্ন দেখা থেকে। মহান মানুষগুলো আগে স্বপ্ন দেখতেন তারপর সেটার বাস্তবরূপ দিতেন। রাইট ভাতৃদ্বয় স্বপ্ন দেখতেন এমন এক যন্ত্র আবিষ্কার করবেন যাতে করে আকাশে ওড়া সম্ভব হয়, তাঁরা তৈরী করলেন প্লেন। সভ্যতার চেহারাই পরিবর্তীত হল এই আবিষ্কারের ফলে। এরকম আবিষ্কারের উদাহরণ কম নেই ইতিহাসের পাতায়। যারা স্বপ্ন ও বিশ্বাসের ডানায় ভর করে অনেক অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে তাদের কর্মশক্তি ও ইচ্ছাশক্তি দ্বারা। স্বপ্নকে বাস্তবতার রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজন অধ্যবসায়, অদম্য ইচ্ছাশক্তি, চেষ্টা ও পরিশ্রম। বিখ্যাত বিজ্ঞানী এই প্রসঙ্গে বলেছেন –
স্বপ্ন সেটা নয় যা তুমি ঘুমিয়ে দেখো, স্বপ্ন হল সেটা যা তোমাকে ঘুমোতে দেয় না।
এ.পি.জে. আব্দুল কালাম
তাই শুধু স্বপ্ন দেখে ক্ষান্ত হওয়া যাবে না , সেটাকে সত্যি করতে হলে তোমার স্বপ্নকে ডেডলাইন সহ লিখে রাখা জরুরি, সেটা তোমার লক্ষ্য বানাও, পরিকল্পনা কর, সেই অনুযায়ী প্রতিনিয়ত শ্রম ও সময় দাও। সাফল্য আসবেই, স্বপ্ন সত্যি হবেই।
A dream written down with a date becomes a goal.
A goal broken down into steps becomes a plan.
A plan backed by action makes your dreams come true.
– Greg S. Reid

৩. বর্তমানকে আলিঙ্গন করো:-

বেশিরভাগ মানুষ সময়ের গন্ডিতে আটকে পড়ে ।  হয় তারা অতীত নিয়ে চিন্তা করে, নয়তো ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত ভাবনা ভাবে । আর আমরা এর মাধ্যমে আমাদের সবার মহামূল্যবান জিনিস, অর্থাৎ বর্তমান মুহূর্তগুলি নষ্ট করে ফেলি। সময়ের মূল্য দিতে হলে বর্তমানের প্রতিটি মুহূর্তকে অনুভব করতে হবে এবং সবকিছু ভুলে এই মুহূর্তকে কাজে লাগাতে হবে। অতীত আর ভবিষ্যৎ নিয়ে মাঝে মাঝে আমাদের মনে চিন্তা আসবে — এবং সেগুলো নিয়ে চিন্তা করাও প্রয়োজন, কিন্তু এটা যেন কোনোভাবেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত না হয় । যখনই মনের ভেতর অতীত ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা বাড়বে এবং তুমি বুঝতে পারবে এটা তোমার মনে ভীষণ খারাপ প্রভাব ফেলছে , সঙ্গে সঙ্গে নিজের ভাবনাকে বর্তমানে নিয়ে এসো । কারণ তোমার অস্তিত্ব বর্তমানে এবং এখনই। যদি আগামীকাল সুন্দর করতে চাও তাহলে বর্তমানকে গুরুত্ব দিতে হবে ।

৪. নিজেকেই সমস্যার সমাধান বের করার চেষ্টা করতে হবে :-

আমাদের প্রত্যেকেরই জীবনে কোন না কোন সমস্যা রয়েছে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা সমস্যার মধ্যে একবার পড়ে গেলে তা থেকে বেরোতে পারে না। নিজের সমস্যাটাকে এত বড় করে দেখে যে তা সমাধান করার বদলে সমস্যাটাকে আরো বাড়িয়ে তোলে। তুমি যখনই কোন সমস্যায় পড়বে নিজেকে প্রশ্ন করো এই ব্যাপারে আমি কী করতে পারি ? তখন তোমার মস্তিষ্ক সমস্যা সমাধান পদ্ধতি বের করার জন্য কাজ শুরু করে দেবে। আমরা সমাধানের বদলে অন্যের উপর দোষারোপ করা শুরু করি । অন্যের উপর যখনই দোষারোপ করা শুরু করবে তখনই সমাধানের পথ বন্ধ হয়ে যাবে । যদি এরকমটা ভাবো যে, আমি মনে হয় পারবো না, তাহলে তোমার মস্তিষ্কও সমাধান খোঁজা বন্ধ করে দেবে। সব সময় মনে রাখতে হবে, সমস্যা থাকলে তার সমাধান থাকবে, সমাধান ছাড়া পৃথিবীতে কোন সমস্যা নেই । কিন্তু সমাধান হয়তো খুব সহজ, কিন্তু অনেক সময় তা কঠিনও হয়ে যায়, তবে সমাধান ঠিকই আছে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

৫.অভ্যাস (habits):-

যুক্তরাষ্ট্রের Duke University এর এক গবেষণায় দেখা যায় আমাদের ৪৫ শতাংশ কাজই অভ্যাসের ফলশ্রুতি । আমরা আসলে জানিও না আমাদের করা কতটুকু কাজ আমাদের দীর্ঘদিনের অভাসের ফসল । আমাদের সকলেরই উচিত নিজের কোন অভ্যাসগুলি আমাদের ক্ষতি করছে তা খুঁজে বের করা, কারণ অভ্যাস-ই আমাদের জীবনের কেন্দ্র। অভ্যাস-ই আমাদের সুগঠিত করতে পারে আবার অভ্যাসই আমাদের অবনতির পথে ঠেলে দিতে পারে । যে কোন বদ অভ্যাসকে বদলাতে হলে তার জায়গায় একটি সু-অভ্যাসকে নিয়ে আসতে হবে । বদ-অভ্যাস দূর করার জন্য অনুপ্রেরণার থেকেও ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন বেশি হয় । যে কোন নতুন অভ্যাস তৈরী করতে হলে প্রথমেই একটি mini habits অর্থাৎ ছোটো অভ্যাস দিয়ে শুরু করতে হবে । ধরো তুমি যদি ভোর ৫ টায় ঘুম থেকে উঠতে চাও, তাহলে ভালো হয় ৭ টা থেকে শুরু করলে । কারণ প্রথম দিন যদি তুমি ৫ টায় ওঠো তাহলে পরের দিন তুমি আর উঠতে চাইবে না । ৭ টায় ওঠার পর পরের প্রত্যেকদিন আরো ১৫ মিনিট করে আগে ওঠার চেষ্টা করো ।  এই ভাবেই কয়েকদিনের মধ্যে ৫ টায় ওঠার অভ্যাস দাঁড়িয়ে যাবে । যে কোন বদ অভ্যাস একবারে বাদ দেওয়া অসম্ভব , এতে মস্তিষ্ক ও শরীরের উপর চাপ পড়ে । তাই ধীরে ধীরে ছোট ছোট অভ্যাস অনুশীলনের মাধ্যমে নতুন অভ্যাস গঠন করতে হবে ।

৬.টাইম ম্যানেজমেন্ট বা ৮০/২০ রুল মেনে চলা :-

১৮৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করা ইতালীর ভিলফ্রেডো ফেডেরিকা দামাসো পারেটো টাইম ম্যানেজমেন্ট্ট আর প্রোডাক্টিভিটির অসাধারণ এক নিয়ম রেখে গিয়েছেন, যার নাম হচ্ছে ৮০/২০ রুল বা পারেটো প্রিন্সিপাল।
পারেটো প্রিন্সিপাল বলেছে যে, শতকরা ৮০ ভাগ ফলাফল আসে ২০ ভাগ কাজের জন্য । অর্থাৎ তোমার দৈনন্দিন জীবনের ২০ শতাংশ কাজেই তোমাকে ৮০ শতাংশ ফলাফল এনে দেবে। যেমন ধরো – পড়াশোনার ক্ষেত্রে ৮০/২০ প্রিন্সিপাল কিভাবে ব্যবহার করবে। যেকোনো সাবজেক্টে  তোমার বইয়ের যতগুলো প্রশ্ন আছে, তার মধ্যে ২০% প্রশ্ন এমন যেগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ, অনেক সময় বিগত পাঁচ বছরের প্রশ্নগুলোও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। তুমি যদি ওই ২০% প্রশ্ন আলাদা আলাদা বেছে নিয়ে তারপর সেগুলোর উপর বেশি জোর দাও তাহলে ওই ২০% প্রশ্ন থেকেই তোমার ৮০% মার্কস আসবে । এর ফলে খুব অল্প পড়েও তুমি তোমার বন্ধুদের থেকে বেশি মার্কস পাবে। তার মানে এই নয় যে তুমি কম পড়াশুনা করবে । পড়তে তোমাকে হবেই। কিন্তু বুদ্ধি খাটিয়ে । অর্থাৎ ৮০/২০ রুল অনুসরণ করার জন্য প্রথমে তুমি সারাদিন কী কী কাজ করো তার একটা লিস্ট  বানাও, যেই কাজগুলি গুরুত্বপূর্ণ বা যেই কাজগুলি তোমাকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে , প্রতিদিন প্র্যাক্টিস বা অভ্যাসের জন্য সেই কাজগুলো বরাদ্দ রাখো। এই পদ্ধতি অনুসরণ করে খুব কম কাজ করে অনেক বেশি সাফল্য লাভ করা যায়।

৭. ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষদের সঙ্গে থাকো :-

যতটা পারো যারা তোমার সুপরামর্শক তাদের সাথে সময় কাটাও। তুমি যে কাজটা করছো বা যেটা তোমার লক্ষ্য সেই ফিল্ডে যারা সফলতা পেয়েছেন তাদের সঙ্গে মেলামেশা করো, তাদের কাছ থেকে শেখো। মনোবিজ্ঞানীদের মতে আমরা প্রতিদিন যেমন মানুষের সাথে থাকবো আমাদের মস্তিষ্ক ঠিক  সেভাবেই কাজ করবে। আমাদের আশে-পাশের মানুষের কথার প্রভাব আমাদের জীবনে পড়ে। তোমাদের চারপাশে সফল মানুষের বা ইতিবাচক চিন্তাভাবনা করে এমন মানুষের আনাগোনা যদি বেশি থাকে তাহলে তুমি ভবিষ্যতে সফল হতে সহযোগিতা পাবে, তাদের পরামর্শ, তাদের প্রেরণা তোমাকে অনেক বেশি আত্মপ্রত্যয়ী, উদ্যমী, কৌশলী এবং সৃজনশীল বানাতে সাহায্য করবে। তাই যতটা সময় পারো ইতিবাচক ও সফল মানুষদের সাথে বেশি সময় কাটাও।







না বলতে শিখতে হবে

৮. না বলতে শিখতে হবে :-

না বলতে পারাটা অনেক বড় গুণ। আমরা অনেক সময় দেখি যেখানে ‘হ্যাঁ’ বলা জরুরি সেখানে ‘না’ বলি, আর যেখানে ‘না’ বলাটা জরুরি সেখানে ‘হ্যাঁ’ বলি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট হয়ে যায় অন্যের অনুরোধ মানতে গিয়ে। অনুরোধ যদি হয় কোন উৎপাদনশীল কাজে সময় বিনিয়োগ করা তাহলে সেখানে ‘হ্যাঁ’ বলাটা জরুরী। কিন্তু আমরা অজান্তেই নিজের ক্ষতি করতে থাকি অন্যের অনুরোধ মানতে গিয়ে। আমরা মনে করি পাশের মানুষটিকে ‘না’ বললে সে না জানি কী মনে করবে। ধরো, আগামীকাল তোমার একটা জরুরী মিটিং আছে কিংবা সেমিনারে যাওয়া আছে অথবা একটা অ্যাসাইনমেন্টের ডেডলাইন আছে, এর মধ্যে তোমার একজন বন্ধু তোমায় ফোন করে বলল চল একটু ঘুরে আসি। এমন সময় তুমি কী করবে ? সবকিছু বাদ দিয়ে তোমার বন্ধুর সঙ্গে যাবে নাকি তোমার কাজটি মন দিয়ে করবে ? নিশ্চয়ই তোমার গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো আগে শেষ করবে। অনেক সময় মনে হবে বন্ধু কী ভাববে না গেলে পড়ে ! সেসব ক্ষেত্রে তোমার বন্ধুটিকে বুঝিয়ে বলো। অনেক সময় অনেকেই আমাদের জীবনে এসে কিছু মাতব্বরি দেখাতে চায়, নিজেকে সবজান্তা ভেবে কিছু আদেশ, উপদেশ দিয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে Choice তোমার হাতে, তার সব আদেশ গ্রহণ করবে, নাকি তাকে সম্মানের সাথে ‘না’ বলবে। জীবনে ‘না’ বলতে শেখাটা অনেক বেশি জরুরী। সবাইকে খুশি করে চলতে তুমি পারবে না। সবাইকে খুশি করে চলতে গেলে তোমার জীবনে ক্ষতি হবে। তাই কারো অনুরোধ রাখতে না পারলে সরাসরি সুন্দর করে ‘না’ বলে দাও ।

Post a Comment

0 Comments