ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যখন দেহত্যাগ করেন তখন পঞ্চপান্ড সকলে শোকাহত হয়ে পড়ে। রাজ্যভার অভিমন্যু পুত্র পরিক্ষিতকে প্রদান করে যুধিষ্ঠির সহ পঞ্চ ভ্রাতা রাজ্য ত্যাগ করে বনে প্রস্থান করেন। পরিক্ষিত ব্রাহ্মণের উপদেশ অনুসারে রাজ্যভার পরিচালনা করেন।
পরিক্ষিতের স্ত্রী ইরাবতী এবং তার চার পুত্র। জ্যৈষ্ঠপুত্র জন্মেজয় যিনি পরবর্তী সিংহাসনে আরোহন করেন। পরিক্ষিত অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন, ব্রাহ্মণকে দান করে ভূরি ভূরি।যজ্ঞের পরে রাজা পরিক্ষিত রাজ্যজয়ের জন্য বের হয়। অনেক রাজ্য জয় করেন, অনেক বন্দী প্রজাগনকে মুক্ত করেন।বন্দিদেরকে ধন বিতরন করেন চারদিকে রাজার জয় জয় কার ধ্বনি। নিজ রাজ্যে যাত্রাকালে পথের মধ্যে এক দৃশ্য দেখে দূর থেকে আচার্য্য হয়ে দাড়িয়ে রইল। দেখেন মা বসুমতী কান্না করছেন। তখন ধর্মরাজ পৃথিবীতে এসে ধনুরূপ ধারণ করেন। বসুমতীকে কান্নারত অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করেন আপনি কেন কান্না করছেন?উত্তরে বসুমতি বললেন পৃথিবীতে কলি আগমন করেছে।
পাপের ভার বৃদ্ধি পাবে , যাগযজ্ঞ হবে না, কলির ব্রাহ্মণ সন্ধা গায়ত্রী করবে না, কলির জীব সর্বদা কাম বশ হয়ে থাকবে। পুত্র পিতা মাতার সেবা করবে না,অবলা যথেচ্ছাচার করিবে, পাপের ভার দিন দিন বাড়বে। এই কথা শুনে পরিক্ষিত নৃপতি মনে মনে ভাবছে, কলির কী সময় আসতে চলেছে।
পরিক্ষিতের স্ত্রী ইরাবতী এবং তার চার পুত্র। জ্যৈষ্ঠপুত্র জন্মেজয় যিনি পরবর্তী সিংহাসনে আরোহন করেন। পরিক্ষিত অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন, ব্রাহ্মণকে দান করে ভূরি ভূরি।যজ্ঞের পরে রাজা পরিক্ষিত রাজ্যজয়ের জন্য বের হয়। অনেক রাজ্য জয় করেন, অনেক বন্দী প্রজাগনকে মুক্ত করেন।বন্দিদেরকে ধন বিতরন করেন চারদিকে রাজার জয় জয় কার ধ্বনি। নিজ রাজ্যে যাত্রাকালে পথের মধ্যে এক দৃশ্য দেখে দূর থেকে আচার্য্য হয়ে দাড়িয়ে রইল। দেখেন মা বসুমতী কান্না করছেন। তখন ধর্মরাজ পৃথিবীতে এসে ধনুরূপ ধারণ করেন। বসুমতীকে কান্নারত অবস্থায় দেখে জিজ্ঞেস করেন আপনি কেন কান্না করছেন?উত্তরে বসুমতি বললেন পৃথিবীতে কলি আগমন করেছে।
পাপের ভার বৃদ্ধি পাবে , যাগযজ্ঞ হবে না, কলির ব্রাহ্মণ সন্ধা গায়ত্রী করবে না, কলির জীব সর্বদা কাম বশ হয়ে থাকবে। পুত্র পিতা মাতার সেবা করবে না,অবলা যথেচ্ছাচার করিবে, পাপের ভার দিন দিন বাড়বে। এই কথা শুনে পরিক্ষিত নৃপতি মনে মনে ভাবছে, কলির কী সময় আসতে চলেছে।
একদিন শিবির থেকে দেখে এক নৃপতি গোমাতাকে পদাঘাত করতেছে। তখন পরিক্ষিত তার কাছে গিয়ে বলেন তুমি কে?
যে আমার রাজ্যে এসে গোমাতার উপর নির্মম ব্যবহার করছো?
পরিক্ষিত এই বলে খড়গ নিয়ে কলির মাথা কাটতে যায়। তখন কলি পরিক্ষিতের চরণে পড়ে ক্ষমা চাই। পরিক্ষিত তাকে রাজ্যে থেকে চলে যেতে বলে।
এই কথা জানালে কলি কোথা থাকবে সে কথা জানত চায়।পরিক্ষিত তখন বলেন চার স্থানে তুমি বাস করবে :-১। নারী জনের পাশে তুমি সতত থাকিবে ২।দ্যূতক্রীড়া স্থানে থাকবে। ৩।যেখানে হিংসা কর্মকাণ্ড হবে।৪।যেখানে মদ্যপান হবে।
কলি বলে এই চারি জায়গায় আমার পোষণ হবে না। পরিক্ষিত তখন সর্ন বা কাঞ্চনেও বসবাসের স্থান করে দেন।
কাল ততখনাত পরিক্ষিতের সর্নমুকুটেই আশ্রয় নেয়।
একদা রাজা পরিক্ষিত মৃগয়া করার কারণে অরণ্য গমন করেন। অরণ্যে পিপাসাযুক্ত হয়ে জলের সন্ধানে ভ্রমণ করেন। কেথাও জল পায়নি। পথ মধ্যে এক কুটির দেখতে পায়। সেখানে কেউ নেই, এক তপস্যি তপস্যা করছে। পরিক্ষিত পিপাসায় কাতর হয়ে অনেকবার জল প্রার্থনা করে,কিন্তু কোন উত্তর পায়নি। ঋষিটির নাম শমিক যিনি ধ্যান করিছিলেন। কলির দ্বারা বুদ্ধি ভ্রষ্ট হয়ে পরিক্ষিত পাশে এক মৃত সর্প দেখে। সেই সর্পটি মুনির গলায় জড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। মুনি শমীকের এক শিষ্য তার পুত্র কে এই খবর দেন। পুত্র শৃঙ্গ স্নান করতে গিয়েছিল। তখন ক্রোধান্নিত হয়ে অভিশাপ প্রদান করে যে সপ্তদিনে তোমাকে সর্প দংশিবে।
শমিক ঋষি পরে অভিশাপের কথা জানতে পেরে রাজা পরিক্ষিতের সাথে দেখাকরে। ও বলেন হে রাজন_অভিশাপ তো ফেরানো যাবেনা কিন্তু, আপনি যদিসকৃষ্ণের সমস্ত অবতার লিলা ও শীমদ্ভগবত শ্রবণ করো তাহলে তুমি সহযেই নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তিলাভকরে ভগবানের চরণে স্থান পাবে।
ঠিক সপ্তদিনে তক্ষক নাগ পরিক্ষিতকে দংশন করে এবং তার মৃত্যু হয়। কিন্তু পরিক্ষিত বুঝতে ও পারেনি কখন তার মৃত্যু হয়। এর পর পরিক্ষিতের সমকাল থেকে কলিযুগ সুচনা হয়।
সংগৃহীত : শ্রীমদ্ভাগবত
যে আমার রাজ্যে এসে গোমাতার উপর নির্মম ব্যবহার করছো?
পরিক্ষিত এই বলে খড়গ নিয়ে কলির মাথা কাটতে যায়। তখন কলি পরিক্ষিতের চরণে পড়ে ক্ষমা চাই। পরিক্ষিত তাকে রাজ্যে থেকে চলে যেতে বলে।
এই কথা জানালে কলি কোথা থাকবে সে কথা জানত চায়।পরিক্ষিত তখন বলেন চার স্থানে তুমি বাস করবে :-১। নারী জনের পাশে তুমি সতত থাকিবে ২।দ্যূতক্রীড়া স্থানে থাকবে। ৩।যেখানে হিংসা কর্মকাণ্ড হবে।৪।যেখানে মদ্যপান হবে।
কলি বলে এই চারি জায়গায় আমার পোষণ হবে না। পরিক্ষিত তখন সর্ন বা কাঞ্চনেও বসবাসের স্থান করে দেন।
কাল ততখনাত পরিক্ষিতের সর্নমুকুটেই আশ্রয় নেয়।
একদা রাজা পরিক্ষিত মৃগয়া করার কারণে অরণ্য গমন করেন। অরণ্যে পিপাসাযুক্ত হয়ে জলের সন্ধানে ভ্রমণ করেন। কেথাও জল পায়নি। পথ মধ্যে এক কুটির দেখতে পায়। সেখানে কেউ নেই, এক তপস্যি তপস্যা করছে। পরিক্ষিত পিপাসায় কাতর হয়ে অনেকবার জল প্রার্থনা করে,কিন্তু কোন উত্তর পায়নি। ঋষিটির নাম শমিক যিনি ধ্যান করিছিলেন। কলির দ্বারা বুদ্ধি ভ্রষ্ট হয়ে পরিক্ষিত পাশে এক মৃত সর্প দেখে। সেই সর্পটি মুনির গলায় জড়িয়ে দিয়ে চলে যায়। মুনি শমীকের এক শিষ্য তার পুত্র কে এই খবর দেন। পুত্র শৃঙ্গ স্নান করতে গিয়েছিল। তখন ক্রোধান্নিত হয়ে অভিশাপ প্রদান করে যে সপ্তদিনে তোমাকে সর্প দংশিবে।
শমিক ঋষি পরে অভিশাপের কথা জানতে পেরে রাজা পরিক্ষিতের সাথে দেখাকরে। ও বলেন হে রাজন_অভিশাপ তো ফেরানো যাবেনা কিন্তু, আপনি যদিসকৃষ্ণের সমস্ত অবতার লিলা ও শীমদ্ভগবত শ্রবণ করো তাহলে তুমি সহযেই নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তিলাভকরে ভগবানের চরণে স্থান পাবে।
ঠিক সপ্তদিনে তক্ষক নাগ পরিক্ষিতকে দংশন করে এবং তার মৃত্যু হয়। কিন্তু পরিক্ষিত বুঝতে ও পারেনি কখন তার মৃত্যু হয়। এর পর পরিক্ষিতের সমকাল থেকে কলিযুগ সুচনা হয়।
সংগৃহীত : শ্রীমদ্ভাগবত
0 Comments