শাহজাহান শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ

শাহজাহান
শ্রীল প্রভুপাদের গল্পে উপদেশ
কলকাতায়, রাহাত নামে এক বিখ্যাত নাট্যকার ছিলেন, তিনি একই সাথে একজন নামকরা সরকারী কর্মচারী ছিলেন। তিনি শাহ্জাহান নামে একটি বই লিখেন। বইটির নাম নায়কের নাম অনুসারে করা হয়। মি. রাহাতের এক বন্ধু তাকে জিজ্ঞাসা করলেন। তোমার বই শাহ্জাহান এ প্রকৃত নায়ক হল আওরঙ্গজেব, তাহলে তোমার বই এর নাম শাহ্জাহান দিলে কেন? লেখক বললেন বন্ধু প্রকৃত নায়ক হল শাহ্জাহানই, আওরঙ্গজেব নয়। যদি এই বইতে আওরঙ্গজেব এর কার্যাবলী বর্ণিত হয়েছে কিন্তু সম্রাট ছিলেন শাহ্জাহান। তার চার কি পাঁচ জন পুত্র ছিল, তার স্ত্রী যখন মারা যায় তখন সে তার স্মরণে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরী করে। যারা ভারতে যায় তারাই তাজমহল দেখতে যান, এটি শাহ্জাহান, স্ত্রী মমতাজের স্মরণে তৈরী করেছিলেন। তিনি তাঁর অর্থের সমস্তই এই বাড়ি তৈরিতে ব্যয় করেন। আর এই সপ্তাশ্চার্যের একটি। শাহ্জাহান অত্যন্ত স্নেহপরায়ন পিতা ছিলেন। তিনি তার সন্তানদের শাস্তি বা তিরস্কার করতেন না। তিনি তার স্ত্রীর স্মরণে স্মৃতিসৌধ নির্মাণে তার সমস্ত অর্জিত অর্থ ব্যয় করেন কিন্তু যখন সন্তানরা বেড়ে উঠলেন তাদের মধ্যে আওরঙ্গজেব একটু ইচড়ে পাকা হয়ে গড়ে উঠলেন এবং এই সমাজকে অন্যায়ভবে অধিকরণ করার পরিকল্পনা করলেন। সে তার সমস্ত ভাইদের খুন করল। সে তার পিতা শহ্জাহানকে গ্রেপ্তার করল। আর তাই এই গল্পের নাম শাহ্জাহান। আওরঙ্গজেব নায়ক নয়। কিন্তু কেন? শাহ্জাহানকে আগ্রা (ফোর্ট) দূর্গে বন্দি রাখা হয় এবং আওরঙ্গজেবের সমস্ত কার্যাবলী, আর অন্য সন্তানদের হত্যা করা, অন্যায়ভাবে সাম্রাজ্য দখল করা এ সকলেই তার হৃদয়কে বিদীর্ণ করলো। যেহেতু সে এই সমস্ত দুঃখগুলো ভোগ করেছিল আর তাই সেই ছিল নায়ক।
। হিতোপদেশ।
এক লেখকই জানেন একটি বইয়ের প্রকৃত উদ্দেশ্য কি? আর এই বেদান্তসূত্রগুলো সংকলিত করেছিল শ্রীল ব্যাসদেব, শ্রীকৃষ্ণ নিজের দ্বারা অথবা তার বিভিন্ন রকম অবতারের দ্বারা। আর তাই তিনি বেদান্তসূত্র কি তা পূর্ণরূপে জানেন। আর তাই যদি কেউ বেদান্তসূত্র জানতে চায় তবে তাকে অবশ্যই কৃষ্ণকে জানতে হবে। আর ব্যাসদেব শ্রীমদ্ভাগবতমে এই বেদান্তসূত্রের ব্যাখ্যা করেছেন। অনেক মূর্খ এই বেদান্তসূত্রের ভুল ব্যাখ্যা দেন। কিন্তু বেদান্তসূত্রের প্রণেতা একট নির্দিষ্ট গ্রন্থই রচনা করেছিলেন আর তা হল শ্রীমদ্ভাগবতম।

Post a Comment

0 Comments