শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর লীলা পার্ষদ শ্রীল বক্রেশ্বর পন্ডিত
ভগবান শ্রীকৃষ্ণলীলার অনিরুদ্ধ শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর লীলা পার্ষদ শ্রীল বক্রেশ্বর পন্ডিত।
শ্রীল বক্রেশ্বর পন্ডিতের জন্ম ত্রিবেণীর নিকট গুপ্তিপাড়া গ্রামে হয়ে ছিল। তিনি খুব নিপুণ কীর্তনীয়া এবং দক্ষ নর্তক ছিলেন। তাঁর মধ্যে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত নৃত্য করার ক্ষমতা ছিল।
যখনই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নবদ্বীপে হরিনাম সংকীর্তন লীলার প্রারম্ভ করতেই, শ্রী বক্রেশ্বর পন্ডিত ভক্তের ঐ সভাতে কীর্তন ও নৃত্যের বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন।
শ্রীল বক্রেশ্বর পন্ডিতের জন্ম ত্রিবেণীর নিকট গুপ্তিপাড়া গ্রামে হয়ে ছিল। তিনি খুব নিপুণ কীর্তনীয়া এবং দক্ষ নর্তক ছিলেন। তাঁর মধ্যে ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত নৃত্য করার ক্ষমতা ছিল।
যখনই শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভু নবদ্বীপে হরিনাম সংকীর্তন লীলার প্রারম্ভ করতেই, শ্রী বক্রেশ্বর পন্ডিত ভক্তের ঐ সভাতে কীর্তন ও নৃত্যের বিশেষ ভূমিকা পালন করতেন।
শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিত নবদ্বীপ ধামে শ্রীমন্মহাপ্রভুর সঙ্গী ছিল এবং মহাপ্রভুর সন্ন্যাসের পরেও তাঁর সাথে বক্রেশ্বর পন্ডিতও জগন্নাথ পুরীতে চলে গিয়েছিলেন।
মহাপ্রভু একবার রামকেলিতে গিয়েছিল শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিত তাঁর সাথেই ছিলেন। ওখানে শ্রীদেবানন্দ পন্ডিত ঐ সময়ের বিখ্যাত ভাগবত কথাকার ছিল। যখন একদিন শ্রীবাস পন্ডিত যার কথা শুনতে গিয়ে আর কথা শুনে ভাবে বিভোর হয়ে কাঁদতে লাগল। তখন শ্রীদেবানন্দ পন্ডিতের কিছু শিষ্য কিছু না বুঝে, শ্রীবাস পন্ডিত কোন্দন করে পাঠের ব্যাঘাত করছে ভেবে কথাস্থল থেকে বাহিরে বের করে দেন।
সবকিছু দেবানন্দ পন্ডিতের সামনে হল আর উনি মহাভাগবত ভক্তের অবহেলার করার চেষ্টা করলেন না। এ সমাচার শুনে মহাপ্রভু খুব কুপিত হলেন। ঐ সময় শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিতের কৃপায় শ্রীমন মহাপ্রভুর কোপ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।
মহাপ্রভু একবার রামকেলিতে গিয়েছিল শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিত তাঁর সাথেই ছিলেন। ওখানে শ্রীদেবানন্দ পন্ডিত ঐ সময়ের বিখ্যাত ভাগবত কথাকার ছিল। যখন একদিন শ্রীবাস পন্ডিত যার কথা শুনতে গিয়ে আর কথা শুনে ভাবে বিভোর হয়ে কাঁদতে লাগল। তখন শ্রীদেবানন্দ পন্ডিতের কিছু শিষ্য কিছু না বুঝে, শ্রীবাস পন্ডিত কোন্দন করে পাঠের ব্যাঘাত করছে ভেবে কথাস্থল থেকে বাহিরে বের করে দেন।
সবকিছু দেবানন্দ পন্ডিতের সামনে হল আর উনি মহাভাগবত ভক্তের অবহেলার করার চেষ্টা করলেন না। এ সমাচার শুনে মহাপ্রভু খুব কুপিত হলেন। ঐ সময় শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিতের কৃপায় শ্রীমন মহাপ্রভুর কোপ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন।
বক্রেশ্বর পন্ডিত প্রভুর বড় প্রিয় ভৃত্য।
একভাবে চব্বিশ প্রহর যার নৃত্য।।
শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিত মহাপ্রভুর খুব প্রিয় দাস ছিলেন, যিনি টানা তিনদিন নৃত্য করেছিলেন আর যির নৃত্যতে মহাপ্রভু স্বয়ং কীর্তন করেন। তিনি মহাপ্রভুর চরণে পরে নিবেদন করেন, "হে প্রভু! আপনি আমাকে দশ হাজার গন্ধর্ব দিয়ে দেন, ওরা গাইবে আমি ওদের সামনে নৃত্য করব। তখন আমার সুখ প্রাপ্ত হবে।
মহাপ্রভু বলেন তুমি আমার একটা পাখা, তোমার মত দ্বিতীয় পেলে আকাশে উড়ে যেতাম।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুজী একবার দেবানন্দ পন্ডিতকে শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিতজীর মহিমা বলতে গিয়ে বললেন, "যে ওনার সেবা করবে সে অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণ প্রাপ্ত হবেই।" বক্রেশ্বরের হৃদয়ে শ্রীকৃষ্ণের বাসস্থান। উনি যখন নৃত্য কথে, মনে হয় শ্রীকৃষ্ণ ওনার সাথে নৃত্য করেন।
পুরীর রথ যাত্রাতে রথের আগে যে সাত সম্প্রদায়ের নৃত্য হয় ওতে চর্তুথ দলের সংকীর্তনে মূল কীর্তনীয়া গোবিন্দ ঘোষ আর নৃতক ছিল শ্রী বক্রেশ্বর পন্ডিত।
এমন মহান ভক্ত, যাঁর স্মরণ করলেই ব্রহ্মাণ্ড পবিত্র হয়। নিরন্তর শ্রীকৃষ্ণের দিব্য অনুভূতিতে তিনি ব্যাকূল থাকতেন। এমন গৌরগত প্রাণ গৌরপার্ষদের তিরোভাব তিথিতে ওনার চরণে কোটি প্রণাম। গৌর তোমাদের ধন তোমরা চাইলে দিতে পারো।
একভাবে চব্বিশ প্রহর যার নৃত্য।।
শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিত মহাপ্রভুর খুব প্রিয় দাস ছিলেন, যিনি টানা তিনদিন নৃত্য করেছিলেন আর যির নৃত্যতে মহাপ্রভু স্বয়ং কীর্তন করেন। তিনি মহাপ্রভুর চরণে পরে নিবেদন করেন, "হে প্রভু! আপনি আমাকে দশ হাজার গন্ধর্ব দিয়ে দেন, ওরা গাইবে আমি ওদের সামনে নৃত্য করব। তখন আমার সুখ প্রাপ্ত হবে।
মহাপ্রভু বলেন তুমি আমার একটা পাখা, তোমার মত দ্বিতীয় পেলে আকাশে উড়ে যেতাম।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুজী একবার দেবানন্দ পন্ডিতকে শ্রীবক্রেশ্বর পন্ডিতজীর মহিমা বলতে গিয়ে বললেন, "যে ওনার সেবা করবে সে অবশ্যই শ্রীকৃষ্ণ প্রাপ্ত হবেই।" বক্রেশ্বরের হৃদয়ে শ্রীকৃষ্ণের বাসস্থান। উনি যখন নৃত্য কথে, মনে হয় শ্রীকৃষ্ণ ওনার সাথে নৃত্য করেন।
পুরীর রথ যাত্রাতে রথের আগে যে সাত সম্প্রদায়ের নৃত্য হয় ওতে চর্তুথ দলের সংকীর্তনে মূল কীর্তনীয়া গোবিন্দ ঘোষ আর নৃতক ছিল শ্রী বক্রেশ্বর পন্ডিত।
এমন মহান ভক্ত, যাঁর স্মরণ করলেই ব্রহ্মাণ্ড পবিত্র হয়। নিরন্তর শ্রীকৃষ্ণের দিব্য অনুভূতিতে তিনি ব্যাকূল থাকতেন। এমন গৌরগত প্রাণ গৌরপার্ষদের তিরোভাব তিথিতে ওনার চরণে কোটি প্রণাম। গৌর তোমাদের ধন তোমরা চাইলে দিতে পারো।
0 Comments