মৃত্যু!!!
এই জগতে অনেক আশ্চার্য বস্তু রয়েছে। বর্তমান সময়ে যদি কাউকে প্রশ্ন করা যে জগতের সবচেয়ে আশ্চার্য জিনিস কি? অনেকেই বলবে কম্পিউটার, উড়োজাহাজ, কৃত্তিম উপগ্রহ প্রভৃতি। কিন্তু এই সমস্ত আশ্চর্য বিষয়গুলো বেশীদিন আশ্চর্য জনক বলে মানুষের কাছে টিকে থাকে না। কেননা এর থেকে উন্নততর প্রযুক্তির আবিষ্কার হচ্ছে।
প্রকৃতপক্ষে সবচেয়ে আশ্চর্য বিষয় হলো মৃত্যু। প্রত্যেকেই দেখছে যে চারপাশের সবাই মৃত্যুবরণ করছে, কিন্তু প্রত্যেকেই ভাবছে, “আমি মরব না।” কারো কাছে নিশ্চয়তা দেয়ার জন্য আমরা বলি, “অমুক তারিখ তোমার অর্থ পরিশোধ করব। এটা মৃত্যুর মত নিশ্চিত।” কিন্তু সেই নিশ্চিত বিষয় নিয়েই আমরা বেশি উদাসীন। মৃত্যু যেকোন মুহূর্তে আসতে পারে।
রাশিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য এক যুবক মেডিকেল চেকাপ করান। রিপোর্টে তার কোন রোগই ধরা পড়েনি। কিন্তু সেনাবাহিনীতে যোগদানের দুদিনের মাথায় কোন কারণ ছাড়াই তার মৃত্যু হয়। তখন পুলিশ প্রশাসন রিপোর্ট প্রদানকারী ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু ময়নাতদন্ত করে দেখা গেল, তার কোনো অঙ্গে কোন সমস্যা নেই। তথাপি সে মৃত। অর্থাৎ মৃত্যু যে কোনো মুহূর্তে আসতে পারে কোনো রোগ বা বৃদ্ধাবস্থার সিগন্যাল দিয়ে বা না দিয়ে।
এতক্ষণ যে আমরা বেঁচে আছি এটাই আমাদের সৌভাগ্য। আমাদের মৃত্যু হওয়ার কথা ছিল মাতৃগর্ভে। কারণ, বর্তমানে যে হারে মায়েরা গর্ভনিরোধক পিল গ্রহণ করছে, সেখানে পৃথিবীর মুখ দেখার সম্ভবনা খুবই ক্ষীণ। তথাপি ভগবানের কৃপায় সৌভাগ্যক্রমে আমরা এতদিন বেঁচে আছি। তাই বর্তমানের প্রতিটি নিশ্বাস হচ্ছে বোনাস নিশ্বাস। আর মৃত্যু বিষয়ে যখন কেউ সুনিশ্চিত হয়, তখনই তার চিন্তা আসে মৃত্যু পরবর্তী জীবনের প্রস্তুতি বা আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে।
আর প্রস্তুতি গ্রহনের প্রক্রিয়া সম্বন্ধে শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীমদ্ভাগবত ৫/৮/২৯ নং শ্লোকের তাৎপর্য বলেছেন, “আধ্যাত্মিক প্রগতি লাভের সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে শ্রীল রুপ গোস্বামীর অব্যর্থকালত্বম উপদেশটি গ্রহন করা। আমাদের দেখা উচিত যে, জীবনের প্রতিটি ক্ষণ যেন ভগবানের সেবায় নিয়োজিত হয়। যারা ভগবদ্ধামে ফিরে যেতে চান, তাদের পক্ষে এটিই হচ্ছে সব চাইতে নিরাপদ পন্থা।
0 Comments