ভগবান শ্রী জগন্নাথদেবের লীলা
মহিমা ধারাবাহিক নিবেদন।
মহিমা ধারাবাহিক নিবেদন।
♥ পর্ব - ৮ ♥
আজকের লীলা, জগন্নাথের রূপ অসমাপ্ত কেন?
একদা দ্বারকায় মহীষীগণ রোহিনী মাতাকে জিজ্ঞাসা করলেন যে, কৃষ্ণকে এত সেবা করার পরও তিনি যেন শ্রীদাম -সুদাম, কখনও মা যশোদা- নন্দবাবা, কখনও ব্রজবাসীগণ বলতে বলতে মূর্ছা যান। তার কারণ কি? তখন কৃষ্ণ বলরামের অজান্তে সুভদ্রা দেবীকে একটি কক্ষের দ্বারে রেখে নিভৃত কক্ষাভ্যন্তরে রোহিনী মাতা মহীষীদের কাছে ব্রজবাসীদের কৃষ্ণ বিরহের কথা বর্ণনা করতে শুরু করলেন যে, বৃন্দাবনের বৃক্ষরাজি, তরুলতা কৃষ্ণ বিরহে ফুলে-ফুলে সুশোভিত হয় না। গো, গো-বৎস এবং সখাগণ অনাহারে অনিদ্রায় কালাতিপাত করছে। মা যশোদা, পিতানন্দ প্রতিদিন ছানা- মাখন নিয়ে গোপাল গোপাল বলে কাঁদতে কাঁদতে অন্ধ হয়ে গেছেন। কৃষ্ণ বিরহে ব্রজগোপীগণ প্রাণান্তপ্রায়। এদিকে ভগিনী সুভদ্রা দেবীকে একটি কক্ষের দ্বারে দেখতে পেয়ে কৃষ্ণ এবং বলরাম তার নিকট এসে দাঁড়ালেন। কক্ষাভ্যন্তর থেকে ভেসে আসা ধ্বনি , রোহিনী মাতা কর্তৃক বর্ণিত ব্রজবাসীগণের কৃষ্ণ-বিরহ কথা শ্রবণ করতে করতে কৃষ্ণ, বলরাম এবং সুভদ্রা বিকারগ্রস্ত হতে লাগলেন। তাদের হস্ত-পদ শরীরাভ্যন্তরে প্রবিষ্ট
হতে লাগল। চক্ষুদ্বয় বিস্ফোরিত হতে লাগল। এমতাবস্থায় সেখানে নারদমুনি উপস্থিত হয়ে সেই রূপ দর্শন করলেন।
হতে লাগল। চক্ষুদ্বয় বিস্ফোরিত হতে লাগল। এমতাবস্থায় সেখানে নারদমুনি উপস্থিত হয়ে সেই রূপ দর্শন করলেন।
তখন নারদমুনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের নিকট প্রার্থনা করলেন, হে ভগবান আমি আপনার যে রূপ দেখলাম, যে ভক্তবিরহে আপনি স্বয়ং বিকারগ্রস্ত হয়ে থাকেন, এই করুণার মূর্তি জগৎবাসীর কাছে প্রকাশ করুন। নারদ মুনির প্রার্থনায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাকে প্রতিশ্রুতি দিলেন যে, দারুব্রহ্ম (জগন্নাথ) রূপে শ্রীক্ষেত্রে বা পুরীতে আমি এই রূপে আবির্ভূত হব।
0 Comments