ভক্তি মার্গের নয়টি পথ "নববিধা ভক্তি"

ভক্তি মার্গের নয়টি পথ "নববিধা ভক্তি"


বৈদিক শাস্ত্রে নয় প্রকার ভক্তির উল্লেক আছে। যাকে নবধা বা নববিধা ভক্তি বলা হয়।

"শ্রবনং কীর্তনং বিষ্ণোঃ স্মরনং পাদসেবনং।
অর্চনং বন্দনং দাস্যং সখ্যমাত্মনিবেদনম্।।"
যে সব মহাত্মারা নববিধা ভক্তির প্রকারভেদে যারা ভগবত ভক্তি প্রাপ্ত হয়েছেন তাঁরা হলেন,,

শ্রবন (পরিক্ষিত মহারাজ ), কীর্তন (শুকদেব মহারাজ), স্মরন (প্রহ্লাদ মহারাজ ), পাদসেবনে (লক্ষীদেবী), অর্চন (পৃথু মহারাজ), বন্দন (অক্রুর), দাস্য (হনুমান), সখ্য (অর্জুন) এবং আত্মনিবেদন (বলিমহারাজ)

(১) শ্রবন : পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের লীলা, কথা,মহত্ত্ব, শক্তি ইত্যাদি পরম শ্রদ্ধার সহিত অতৃপ্ত মনে নিরন্তর শ্রবন করা উচিৎ।
(২)কীর্তন : পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের গুণ, চরিত্র, নাম, পরাক্রম ইত্যাদি আনন্দ ও উৎসাহের সহিত কীর্তন করা।
(৩)স্মরন : নিরন্তর অনন্য ভক্তি ভাবের সহিত পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণের স্মরন করা, কৃষ্ণের মাহাত্ম শক্তি ইত্যাদি স্মরন করে মুগ্ধ হওয়া।
(৪)পাদসেবন: শ্রীকৃষ্ণের চরনে আশ্রয় গ্রহন করে শ্রীকৃষ্ণকে সর্বস্ব মনে করা।
(৫)অর্চন : মন, বচন,ও কর্মের দ্বারা পবিত্র সামগ্রী দিয়ে শ্রীকৃষ্ণের চরন পুজা করা।
(৬)বন্দন: শ্রীকৃষ্ণের মুর্তি বা আলেক্ষ্য, ভগবানের অংশ রুপেব্যাপ্তভক্তজন,আচার্য,ব্রাহ্মন,গুরুজন,পিতামাতা ইত্যাদিদের পরম আদরের সহিত নমস্কার ও সেবা করা।
(৭)দাস্য: পরমেশ্বরকে স্বামী এবং নিজেকে দাস মনে করে শ্রদ্ধার সহিত সেবা করা।
(৮)সখ্য: শ্রীকৃষ্ণকে পরম মিত্র মনে করে নিজের সর্বস্ব কৃষ্ণের চরনে সমর্পন করা।এবং দীন ভাবে পাপ পুর্ণ্য শ্রীকৃষ্ণের চরনে নিবেদন কর।
(৯)আত্মনিবেদন :নিজেকে শ্রীকৃষ্ণের চরনে সর্বদা সমর্পন করে দেওয়া। নিজের স্বতন্ত্রতা বলতে কিছি না থাকা।

Post a Comment

0 Comments