মহাপ্রভুর আরও দুই অবতার

*꧁ মহাপ্রভুর আরও দুই অবতার꧂*



কলিকালে মহাপ্রভু আরও দুইরূপে অবতীর্ণ হবেন! সেই☆ ☆দুই অবতার কে কে?শাস্ত্রীয় প্রমানঃ

কলিযুগ পাবনাবতারী ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছিলেন--তিনি কলিযুগে আরও দুইরূপে অবতীর্ণ হবেন। এই কথাকে অস্ত্র করে নিয়ে বর্তমানে অনেক মানুষ স্বয়ং ভগবানের অবতার হয়ে ভগবানের সিংহাসনে বসে গেছেন, আর তাদের অনুগামী বহু শিষ্য পথ ভ্রষ্ট হয়ে বিপথগামী হয়ে চলেছে। যাকে তাকে ভগবানের অবতার বানিয়ে পূজা অর্চনা শুরু করে দিয়ে ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান খুলে ফেলেছে। তাই আমরা দেখে নিই শাস্ত্র কাকে কাকে সেই দুই অবতার বলেছেন

শ্রীচৈতন্য ভাগবত গ্রন্থের মধ্যখণ্ডের সপ্তবিংশতি অধ্যায়ে বর্ণনা করা হয়েছে-- শচীমাতা যখন নিমাইয়ের সন্ন্যাসগ্রহণ বার্তা শুনলেন তখন একদিন স্থিরভাবে অবস্থিত নিমাইয়ের কাছে অত্যন্ত দুঃখিত চিত্তে বিলাপ করতে লাগলেন। মাতাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য নিমাইসুন্দর তাঁর এবং মাতার স্বরূপ উল্লেখ করেন। নিমাই বললেন,--"মা! তুমি মন স্থির করো। প্রতি জন্মেই আমি তোমার পুত্র রূপে এসেছি। পূর্বে তোমার নাম ছিল পৃশ্নি, আমার নাম পৃশ্নিগর্ভ, তোমার নাম ছিল অদিতি,পরে আমি হলাম বামন অবতার, যখন তুমি দেবহূতি হলে, আমি হলাম কপিল। রাম অবতারে তুমি কৌশল্যা, মথুরা কারাগারে তুমি দেবকী, সেখানে আমি তোমার পুত্ররূপে জন্ম নিলাম।এখনও আমি তোমার পুত্র। অচিরে আরও দুই রূপ ধারণ করছি। তুমিই ধরণী রূপা। আর আমি তোমার কোলে 'অর্চাবিগ্রহ', এবং তুমি জিহ্বারূপা, আর আমি তোমার কোলে 'নামরূপ' বিগ্রহ।
অর্থাৎ কলিযুগে শচীনন্দন গৌরহরির আরও দুই অবতার হল-
(১)"অর্চা অবতার বিগ্রহ বা গৌরবিগ্রহ,এবং
(২)"নাম অবতার" বা তাঁর নাম।
গৌরসুন্দরের বাণী-
বিগ্রহরূপে ও নামরূপে অবতীর্ণ হবেন।
"কলিকালে নামরূপে কৃষ্ণ-অবতার।"
(শ্রীশ্রী চৈতন্য চরিতামৃত)
এবং অন্যত্র বলেছেন-
"নাম, বিগ্রহ, স্বরূপ--তিন একরূপ।
তিনে ভেদ নাহি--তিন চিদানন্দরূপ॥'
(শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত মধ্য ৭/১০)

"মোর অর্চামূর্তি মাতা তুমি সে ধরণী।
জিহ্বারূপা তুমি মাতা নামেরও জননী॥
এই মত তুমি আমার মাতা জন্মে জন্মে।
তোমার আমার কভু ত্যাগ নাহি মর্মে॥
(শ্রীচৈতন্য ভাগবত মধ্য ২৬/৪৮-৪৯)

'শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর উল্লেখ করেছেন, পাষণ্ডী লোকেদের কিন্তু গৌরহরির ""অর্চা"" ও ""নাম""----এই দুইরূপ"""" কথাটি আদরনীয় হয়না। তারা 'নবগৌরাঙ্গবাদ' সৃষ্টি করে।অর্থাৎ তারা কোনও কোনও মানুষকে ভগবান গৌরসুন্দরের অবতাররূপে স্থাপন ক'রে পূজা করে।' এটাই কলির প্রভাব। এইভাবে কোনও নকল ভগবানের অবতারের চরণে কেউ সমর্পিত হয়ে পথভ্রষ্ঠ হবেন না।

Post a Comment

0 Comments