শ্রীজগন্নাথের_লীলামহিমা....
দয়া করে ওদের চোখগুলি দর্পণের মতো পরিষ্কার করে দিন
এক দরিদ্র মুসলিম দম্পতির এক পুত্র ও কন্যা সন্তান ছিল‚ যারা জন্ম থেকেই প্রায় দৃষ্টি শক্তিহীন‚ অন্ধ ছিল। পিতা-মাতা নানারকমভাবে তাদের চিকিৎসার জন্য প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা ব্যায় করেছিলেন‚ যেটুকু জমি তাদের ছিল সেটাও তাঁরা বিক্রী করেছিলেন। কিন্তু কিছুতেই কোন ফল হয় নি। শেষ পর্যন্ত দু’জন চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার তাঁদের জানিয়ে দিলেন যে প্রায় ৭৫ শতাংশ নিশ্চিত যে তাঁরা চোখে দেখতে পাবেন না। পিতামাতা এতে অত্যন্ত হতাশ হয়ে পড়লেন‚ তাদের সব চেষ্টা নিষ্ফল হয়েছে‚ তাঁদের যেটুকু সম্পত্তি ছিল সেটাও গিয়েছে।
২০০৫ সালের শরৎকালে ঐ দম্পতি রাজাপুরে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে এসে শ্রীজগন্নাথের শরণ গ্রহণ করলেন এবং তাঁর কাছে প্রার্থনা করলেন। তাঁরা শ্রীজগন্নাথের কাছে তাঁদের দুঃখের কাহিনী ব্যক্ত করলেন এবং তাঁর করুণা ভিক্ষা করলেন। তাদের মা আন্তরিকভাবে প্রার্থনা করলেন‚“যদি আমার সন্তানেরা তাঁদের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পায়, আমরা তোমাকে একটি দর্পণ দেব। দয়া করে আমার সন্তানদের চোখ আয়নার মত উজ্জ্বল করে দাও।”(আয়না বা দর্পণ দান বাংলায় একটি প্রথা)।
তাঁদের অন্তরের করুণ আবেদন-পূর্ণ প্রার্থনা শ্রবণ করার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই কৃপাময় প্রভু জগন্নাথ ঐ অন্ধ ছেলেমেয়েদের দৃষ্টিশক্তি দান করলেন। একদিন জেগে উঠে কারও সাহায্য ছাড়াই হাঁটতে পারছে! পিতামাতা এই পরিবর্তন লক্ষ্য করে খুবই আনন্দিত হলেন এবং পরে সন্তানদের ঠাকুরমা এসে একটি ছোট দর্পণ শ্রীজগন্নাথকে প্রদান করলেন। এই পিতামাতা তখন মন্দির কর্তৃপক্ষকে বললেন যে জগন্নাথ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং খুব দ্রুত ভক্তগণের মনোবাসনা পূর্ণ করে থাকেন। এক্ষেত্রে জগন্নাথ খুব অল্প সময়ের মধ্যে অসম্ভবকে সম্ভব করছিলেন।
যদিও সমস্ত কিছুই ভগবানের সম্পত্তি। তবুও যখন কেউ সেই সম্পত্তির কোন ক্ষুদ্র একটি বস্তুও অত্যন্ত প্রীতি সহকারে ভগবানকে নিবেদন করে কৃপাময় ভগবান তা অতি প্রীতি সহকারে গ্রহণ করেন।
জয় জগন্নাথ স্বামী কি........! জয়..........!
0 Comments