পেঁয়াজ, রসুনের কাহিনী শুনুন
পেঁয়াজ আর রসুন না খাওয়ার পিছনে সবচেয়ে প্রসিদ্ধ পৌরাণিক কাহিনী এই যে সমুদ্র মন্থন থেকে প্রাপ্ত অমৃত যখন মোহিনী দেবতাদের মধ্যে বিতরণ করছিলেন, তখন এক রাক্ষস ও সেখানে গিয়ে বসে পড়ে। ভগবান তাকেও দেবতা মনে করে অমৃত দিয়ে দেন। কিন্তু তখন ই সূর্য আর চন্দ্র ওনাকে বলেন যে এ রাক্ষস। ভগবান বিষ্ণু তৎক্ষণাৎ রাক্ষসের মাথা ধর থেকে আলাদা করে দেন। কিন্ত রাহুর মুখে অমৃত পৌঁছে গিয়েছিলো, তাই তার মাথা অমর হয়ে যায়। কিন্তু ভগবান বিষ্ণুর দ্বারা রাহুর মাথা কাটা যাওয়ার পর মাথা থেকে অমৃত মিশ্রিত রজঃগুন সমৃদ্ব রক্ত মাংস ও হাড় কয়েক ফোঁটা মাটিতে পড়ে যায় যার থেকে পেঁয়াজ আর রসুন উত্থিত হয়!
যেহেতু এই দুই সব্জি অমৃত মিশ্রিত রক্ত বিন্দু থেকে উৎপত্তি হয়েছে এজন্য এরা রোগ আর জীবাণুর ক্ষেত্রে অমৃতের সমান কাজ করে কিন্তু যেহেতু রাক্ষসের মুখ হয়ে মাটিতে পড়ে তাই এদের তীব্র গন্ধ থাকে আর এগুলো অপবিত্র। যা কখনোই ভগবানের ভোগে ব্যবহার করা হয় না।
বলা হয় যেই পেঁয়াজ আর রসুন খায় তার শরীর রাক্ষসের শরীরের মত মজবুত হয়ে যায় কিন্তু সাথেই তার বুদ্ধি এবং চিন্তা ভাবনা রাক্ষসের মত দূষিত হয়ে যায়। এই দুই সবজি কে মাংসের সমান বিবেচনা করা হয়।
যে রসুন আর পেঁয়াজ খায়, তার মনের সাথে সাথে পুরো শরীর তামসিক স্বভাবের হয়ে যায় অর্থাৎ রাহু গ্রহ তাদের গ্রাস করে।
ভক্তের জপ-ধ্যান ও ভজন-সাধনায় মন স্থির হয় না। সর্বোপরি তার পতন হয়ে যায়, এই জন্য পেঁয়াজ রসুন খাওয়া শাস্ত্রে নিষেধ করা হয়েছে।। হরেকৃষ্ণ।।
0 Comments