পুরাকালে বৃন্দাবনে এক মহাত্মাজী থাকতেন , যুগল স্বরূপ উপাসনা করতেন । একবার মহাত্মাজী সন্ধ্যা বন্দনা করে, কুঞ্জবনের পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন।
পথে মহাত্মাজী যখন এক বটবৃক্ষের নিচ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওনার জটা ঐ বৃক্ষের জটায় আটকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ঐ জটার প্যাঁচ কিছুতেই খুলতে পারলেন না, কিন্তু মহাত্মা তো .......
এখন মহাত্মা আসন করে ওখানে বসে পড়লেন।
আর বললেন, যিনি এই জটার প্যাঁচ লাগালো, তিনি এই জটারসপ্যঁচ খুলতে আসবে,তো ঠিক আছে। যদি না আসে আমি এখানে আসন করে বসে থাকব। আর বসে বসে প্রাণত্যাগ করে দেব....... তিনদিন এমন করে মহাত্মাজী বসে রইলেন.....এক শ্যামল সুন্দর রাখাল ছেলে এল। যার বয়স পাঁচ সাত বছর হবে...ঐ বালক ব্রজভাষায় বড় আদর করে বলল, বাবা তোমার তো জটা প্যাঁচ লাগলো গাছে , আমি কি জটা খুলে দেব? আর যেই সেই বালক জটা খোলার জন্য এগিয়ে এল, মহাত্মাজী বলল, "হাত লাগাবেনা...... পিছনে যাও.....কে তুমি?
রাখাল ছেলেটি বলল- আরে আমি তো গরু চরায়
এখন গরু চরাতে যাচ্ছিলাম, আমি দেখলাম মহাত্মাজী আপনাকে, দেখলাম আপনার জটা এখানে আটকে গেল। তাই আমি ভাবলাম, গিয়ে এই জটা প্যাঁচ খুলে দিই।"
মহাত্মাজী বললেন, "না না না দূরে সরে যাও।" রাখাল বালক বলল- "কেন কি হল?"
মহাত্মাজী বললেন- যে জটা গাছের সাথে জড়াল
সে এসে এই প্যাঁচ খুলবে। তা না হলে এখানে
বসে গোবিন্দ নাম নিয়ে প্রাণ দিয়ে দেব। রাখাল
ছেলে বলল- "আরে মহারাজজী যে এই কাজটা
করল, তার নাম তো বলুন, ওকে আমি খুঁজে
ডেকে নিয়ে আসি।"
মহাত্মাজী বললেন, "আরে যে এই কাজ করল
সে আপনা আপনি এসে যাবে, ডাকতে হবে না। তুমি যাও আমি নাম বলব না.....
কিছু সময় ধরে রাখাল বালক মহাত্মাজীকে বুঝতে
চেষ্ঠা করল। কিন্তু যখন দেখল মহাত্মাজী তাঁর কথা শুনছেন না। তখন রাখাল বেশ ত্যাগ করে মুরালী বাজতে বাজতে হাসতে হাসতে ভগবান বাঁকেবিহারী প্রকট হলেন....... শ্যামলবরন শ্যামসুন্দর বলেন, মহাত্মাজী আমিই তো এই জটার প্যাঁচ লাগালাম। আমি তো এসে গেলাম। এখন জটা খুলে দিই এই বলে মোহন হাত বাড়ল।
মহাত্মাজী বললেন, হাত দিও না.......পিছনে যাও।
প্রথমে বল তুমি কোন কৃষ্ণ?
মহাত্মাজী কথা শুনে শ্যামসুন্দর চিন্তায় পরে গেল,
বলল- "কৃষ্ণ কি দশ পাঁচটা আছে নাকি!!...??" মহাত্মাজী বলল-বল না তুমি কোন কৃষ্ণ? শ্যামসুন্দর বলল- কোন কৃষ্ণ এর মানে কি? মহাত্মাজী বললেন- দেখ! কৃষ্ণ অনেক প্রকারের আছে। এক আছে দেবকীনন্দন কৃষ্ণ, এক আছে যশোদানন্দন কৃষ্ণ, এক আছে দ্বারকাধীশ কৃষ্ণ, এক আছে নিত্য নিকুঞ্জবিহারী কৃষ্ণ....
শ্যাম বলল- আপনি কোন কৃষ্ণকে ভালবাসেন?
মহাত্মাজী বললেন- আমি তো নিত্য নিকুঞ্জবিহারী
কৃষ্ণের পরম উপাসক....এখন জটার প্যঁচ খুলে দিই?
এই বলে যখন শ্যাম জটার প্যঁচ খুলতে আগে
গেলেন। মহাত্মাজী বলে উঠলেন- না হাত দেবে না... পিছনে যাও...। বা! তুমি নিত্য
নিকুঞ্ছবিহারী কৃষ্ণ..... আরে নিত্যনিকুঞ্জবিহারী কৃষ্ণ তো আমার কিশোরীজী, আমার স্বামিনী, আমার শ্রীরাধারাণীকে বিনা এক মূহুর্ত থাকতে পারে না। কিন্তু তুমি বিহারীজী একা একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছ।
মহাত্মাজী এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শ্যামের
কাঁধে উপরে শ্রীজী রাধারানীর মুখ দেখতে
পেলেন, আকাশে বিজলী চমকী আর সাক্ষাৎ
বৃষভানু রাজনন্দিনী, বৃন্দাবনেশ্বরী,রাসেশ্বরী,
শ্রীহরিদাসেশ্বরী, শ্রীমতি ঠাকুরানী, কৃপাময়ী,
স্বামিনী শ্রীরাধারানী নিজের প্রিয়তম শ্যামের
পাশে এসে মহাত্মাকে সাক্ষাৎ দর্শন দিলেন আর
বললেন- "বাবাজী আমি কি আলাদা নাকি শ্যামের
থেকে? আমি শ্রীকৃষ্ণ আবার শ্রীকৃষ্ণ তো
শ্রীমতি রাধা। আমরা দুইজন আলাদা নাকি.... আমরা তো এক। এখন যুগলরূপের দর্শন পেয়ে মহাত্মাজী আনন্দে বিভোর হয়ে গেলেন.... চোখ দিয়ে অশ্রুধারা পড়তে লাগল। এইবার রাধাকৃষ্ণ জটার প্যঁচ খুলে দিল। মহাত্মাজী চরনে পড়ে গেল। আর বললেন-"আমাকে নিত্য লীলা প্রবেশের অধিকার দিয়ে এই জীবনের প্যাঁচ আমায় খুলে দাও। হে যুগল কিশোর, এই সংসার থেকে মুক্ত করে দাও।"
মহাত্মাজী প্রার্থনা করতে করতে প্রণাম করলেন। ওনার শরীর শীতল হয়ে গেল.... স্বামিনীজী ওনাকে নিত্যলীলায় স্থান দিলেন।
রাধামাধবের কোন ভেদ নেই। দুইজন এক প্রাণ,
দুইজন এক দেহ। মানুষ, অজ্ঞানবশে অহংকারবশে
মূর্খতারবশে কিশোরীজী রাধা কৃষ্ণকে আলাদা
মনে করে, সংসারের ঘোর মায়াজালে ওদের পতন
নিশ্চিত। এতে ভক্তির পরমপ্রসাদ প্রাপ্ত হয়না।
যুগল চরনের প্রেমভাব রেখে শ্রীকিশোরী
রাধাকৃষ্ণচরনে প্রণাম ও ভক্তবৃন্দ চরনে প্রণাম ।
সবার উপর যুগল কিশোরের কৃপা বর্ষিত হোক।
------------------------------------------------------------------------------
পরম আদরে এবং অনন্য ভক্তি সহকারে জপ করার ফলেই আমরা চিন্ময় আনন্দ অনুভব করতে পারব.
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে...
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হউন...
জয় শ্রীল প্রভুপাদ
পথে মহাত্মাজী যখন এক বটবৃক্ষের নিচ দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ওনার জটা ঐ বৃক্ষের জটায় আটকে যায়। অনেক চেষ্টা করেও ঐ জটার প্যাঁচ কিছুতেই খুলতে পারলেন না, কিন্তু মহাত্মা তো .......
এখন মহাত্মা আসন করে ওখানে বসে পড়লেন।
আর বললেন, যিনি এই জটার প্যাঁচ লাগালো, তিনি এই জটারসপ্যঁচ খুলতে আসবে,তো ঠিক আছে। যদি না আসে আমি এখানে আসন করে বসে থাকব। আর বসে বসে প্রাণত্যাগ করে দেব....... তিনদিন এমন করে মহাত্মাজী বসে রইলেন.....এক শ্যামল সুন্দর রাখাল ছেলে এল। যার বয়স পাঁচ সাত বছর হবে...ঐ বালক ব্রজভাষায় বড় আদর করে বলল, বাবা তোমার তো জটা প্যাঁচ লাগলো গাছে , আমি কি জটা খুলে দেব? আর যেই সেই বালক জটা খোলার জন্য এগিয়ে এল, মহাত্মাজী বলল, "হাত লাগাবেনা...... পিছনে যাও.....কে তুমি?
রাখাল ছেলেটি বলল- আরে আমি তো গরু চরায়
এখন গরু চরাতে যাচ্ছিলাম, আমি দেখলাম মহাত্মাজী আপনাকে, দেখলাম আপনার জটা এখানে আটকে গেল। তাই আমি ভাবলাম, গিয়ে এই জটা প্যাঁচ খুলে দিই।"
মহাত্মাজী বললেন, "না না না দূরে সরে যাও।" রাখাল বালক বলল- "কেন কি হল?"
মহাত্মাজী বললেন- যে জটা গাছের সাথে জড়াল
সে এসে এই প্যাঁচ খুলবে। তা না হলে এখানে
বসে গোবিন্দ নাম নিয়ে প্রাণ দিয়ে দেব। রাখাল
ছেলে বলল- "আরে মহারাজজী যে এই কাজটা
করল, তার নাম তো বলুন, ওকে আমি খুঁজে
ডেকে নিয়ে আসি।"
মহাত্মাজী বললেন, "আরে যে এই কাজ করল
সে আপনা আপনি এসে যাবে, ডাকতে হবে না। তুমি যাও আমি নাম বলব না.....
কিছু সময় ধরে রাখাল বালক মহাত্মাজীকে বুঝতে
চেষ্ঠা করল। কিন্তু যখন দেখল মহাত্মাজী তাঁর কথা শুনছেন না। তখন রাখাল বেশ ত্যাগ করে মুরালী বাজতে বাজতে হাসতে হাসতে ভগবান বাঁকেবিহারী প্রকট হলেন....... শ্যামলবরন শ্যামসুন্দর বলেন, মহাত্মাজী আমিই তো এই জটার প্যাঁচ লাগালাম। আমি তো এসে গেলাম। এখন জটা খুলে দিই এই বলে মোহন হাত বাড়ল।
মহাত্মাজী বললেন, হাত দিও না.......পিছনে যাও।
প্রথমে বল তুমি কোন কৃষ্ণ?
মহাত্মাজী কথা শুনে শ্যামসুন্দর চিন্তায় পরে গেল,
বলল- "কৃষ্ণ কি দশ পাঁচটা আছে নাকি!!...??" মহাত্মাজী বলল-বল না তুমি কোন কৃষ্ণ? শ্যামসুন্দর বলল- কোন কৃষ্ণ এর মানে কি? মহাত্মাজী বললেন- দেখ! কৃষ্ণ অনেক প্রকারের আছে। এক আছে দেবকীনন্দন কৃষ্ণ, এক আছে যশোদানন্দন কৃষ্ণ, এক আছে দ্বারকাধীশ কৃষ্ণ, এক আছে নিত্য নিকুঞ্জবিহারী কৃষ্ণ....
শ্যাম বলল- আপনি কোন কৃষ্ণকে ভালবাসেন?
মহাত্মাজী বললেন- আমি তো নিত্য নিকুঞ্জবিহারী
কৃষ্ণের পরম উপাসক....এখন জটার প্যঁচ খুলে দিই?
এই বলে যখন শ্যাম জটার প্যঁচ খুলতে আগে
গেলেন। মহাত্মাজী বলে উঠলেন- না হাত দেবে না... পিছনে যাও...। বা! তুমি নিত্য
নিকুঞ্ছবিহারী কৃষ্ণ..... আরে নিত্যনিকুঞ্জবিহারী কৃষ্ণ তো আমার কিশোরীজী, আমার স্বামিনী, আমার শ্রীরাধারাণীকে বিনা এক মূহুর্ত থাকতে পারে না। কিন্তু তুমি বিহারীজী একা একলা হয়ে দাঁড়িয়ে আছ।
মহাত্মাজী এই কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে শ্যামের
কাঁধে উপরে শ্রীজী রাধারানীর মুখ দেখতে
পেলেন, আকাশে বিজলী চমকী আর সাক্ষাৎ
বৃষভানু রাজনন্দিনী, বৃন্দাবনেশ্বরী,রাসেশ্বরী,
শ্রীহরিদাসেশ্বরী, শ্রীমতি ঠাকুরানী, কৃপাময়ী,
স্বামিনী শ্রীরাধারানী নিজের প্রিয়তম শ্যামের
পাশে এসে মহাত্মাকে সাক্ষাৎ দর্শন দিলেন আর
বললেন- "বাবাজী আমি কি আলাদা নাকি শ্যামের
থেকে? আমি শ্রীকৃষ্ণ আবার শ্রীকৃষ্ণ তো
শ্রীমতি রাধা। আমরা দুইজন আলাদা নাকি.... আমরা তো এক। এখন যুগলরূপের দর্শন পেয়ে মহাত্মাজী আনন্দে বিভোর হয়ে গেলেন.... চোখ দিয়ে অশ্রুধারা পড়তে লাগল। এইবার রাধাকৃষ্ণ জটার প্যঁচ খুলে দিল। মহাত্মাজী চরনে পড়ে গেল। আর বললেন-"আমাকে নিত্য লীলা প্রবেশের অধিকার দিয়ে এই জীবনের প্যাঁচ আমায় খুলে দাও। হে যুগল কিশোর, এই সংসার থেকে মুক্ত করে দাও।"
মহাত্মাজী প্রার্থনা করতে করতে প্রণাম করলেন। ওনার শরীর শীতল হয়ে গেল.... স্বামিনীজী ওনাকে নিত্যলীলায় স্থান দিলেন।
রাধামাধবের কোন ভেদ নেই। দুইজন এক প্রাণ,
দুইজন এক দেহ। মানুষ, অজ্ঞানবশে অহংকারবশে
মূর্খতারবশে কিশোরীজী রাধা কৃষ্ণকে আলাদা
মনে করে, সংসারের ঘোর মায়াজালে ওদের পতন
নিশ্চিত। এতে ভক্তির পরমপ্রসাদ প্রাপ্ত হয়না।
যুগল চরনের প্রেমভাব রেখে শ্রীকিশোরী
রাধাকৃষ্ণচরনে প্রণাম ও ভক্তবৃন্দ চরনে প্রণাম ।
সবার উপর যুগল কিশোরের কৃপা বর্ষিত হোক।
------------------------------------------------------------------------------
পরম আদরে এবং অনন্য ভক্তি সহকারে জপ করার ফলেই আমরা চিন্ময় আনন্দ অনুভব করতে পারব.
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে...
হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন এবং সুখী হউন...
জয় শ্রীল প্রভুপাদ
0 Comments