গুরু পূর্ণিমা তিথিঃ

গুরু পূর্ণিমা তিথি



★গুরু পূর্ণিমা তিথি কি?

 কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের আবির্ভাব তিথিকে গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাস পূর্ণিমা তিথি বলা হয়। কেননা কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস হলেন সমস্ত সদগুরুর  আদি গুরু। পরাশর মুনি সত্যবতীর গর্ভে এই মহাত্মার জন্ম দেন। এই মহাত্মার গাত্রবর্ণ ছিল শ্যাম বর্ণের এবং তার জন্ম হয়েছিল যমুনার তীরে একটি দ্বীপে। তাই তার নাম হল কৃষ্ণদ্বৈপায়ন। কারণ তার গায়ের রং শ্যাম বর্ণের এবং তার জন্ম হয়েছিল একটি দ্বীপে।

আর তার নাম বেদব্যাস কেন ছিল?

আগে একটাই বেদ ছিল, কিন্তু তিনি পঠন পাঠনের সুবিধার জন্য একটি বেদকে চারটি ভাগে ভাগ করেন(ঋগ,সাম,যজু ও অথর্ব)। বেদকে  তিনি চারটি বিন্যাস করেন, তাই তার নাম বেদব্যাস। অতএব তার পুরো নাম হল কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস। তাই এই তিথিকে বলা হয় গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাসপূর্ণিমা তিথি। কারণ সকলের আদিগুরু ব্যাসদেব এই তিথিতে আবির্ভূত হয়েছিলেন।

গীতায় ভগবান বলেছেন -- ’মুনিনামাপি অহম ব্যাস’- সমস্ত মুনির মধ্যে আমি হলাম ব্যাস।
অন্যান্য যারা সদগুরু আছেন তারা সকলে ব্যাসদেবের প্রতিনিধি।

বর্তমানে যে সমস্ত ইসকনের গুরুদেবেরা যে আসনে বসে হরিকথা বলেন, তার নাম ব্যাসাসন।কেন এই নামটি হলো? কারণ যে গুরুদেব এই আসনে বসেন তিনি ব্যাসদেবের প্রতিনিধি হয়ে তারই দেওয়া শিক্ষাগুলো আমাদের বলছেন, তাই তার নাম হচ্ছে ব্যাসাসন।ব্যাসদেব হচ্ছেন ভগবানের শক্তাবেশ অবতার। তিনি ভগবানের শক্তির দ্বারা আদিষ্ট হয়ে সমস্ত বৈদিক শাস্ত্র গণেশের সাহায্যে লিপিবদ্ধ করেছেন। তাই বৈদিক শাস্ত্র পাঠ আগে তাকে প্রণাম করে শুরু করা হয়।

★ কিভাবে গুরু পূর্ণিমা বা ব্যাসপূর্ণিমা তিথি পালন করবঃ--

১. ব্যাসদেবকে প্রণাম নিবেদনের মাধ্যমে
২. তার নিকট প্রার্থনা করে
৩. অর্ধদিবস উপবাস ( যদি সম্ভব হয়)
৪. জপ করে
৫. ভাগবত অধ্যায়ন
৬. হরিকথা শ্রবণ

Post a Comment

0 Comments