" এই চেয়ারটি নিয়ে এক লীলাকাহিনী আছে। একবার, অনেক বছর পূর্বে যখন গুরুমহারাজ আমাদের পরিদর্শন করতে নবতালবনে এসেছিলেন, তখন আমাদের দ্রুতই সবকিছু প্রস্তুত করতে হয়েছিল। যে স্থানটিতে তিনি অবস্থান করতেন, সেটা ছিল এক চলমান গৃহ যেটা কেনা হয়েছিল এবং ঐ সময়ে সেটি ছিল “কিশোর বালকদের আশ্রম”। তাই আমরা সেটা মেরামত করছিলাম। আমি, কিছু ভক্তদের কাছ থেকে একটা অভিনব বাঁশের চেয়ার ভাড়া করেছিলাম যেটার একটা গোলাকার ভিত ছিল। গুরুমহারাজ পৌঁছে গিয়েছিলেন এবং সবকিছুই ভালভাবে চলছিল যতক্ষণ না তিনি বসবার কক্ষে গেলেন এবং চেয়ারটিতে বসলেন। গুরুমহারাজের সাথে যারা প্রসাদ পেয়েছিলেন এমন একজন প্রভুর কাছ থেকে আমি শুনেছিলাম যে পরবর্তীতে কি ঘটেছিল-
যখন তাঁরা একটা প্রচন্ড শব্দে পতনের আওয়াজ শুনতে পেলেন, নিকটবর্তী কক্ষ থেকে তাঁরা দৌড়ে যেয়ে দেখলেন, সেখানে গুরুমহারাজ গড়াগড়ি খাচ্ছেন এবং হাসছেন! অভিনব চেয়ারটি ভেঙে পড়েছে!
আমি যখন শুনলাম কি ঘটেছে, আমার হৃদয় প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল! তৎক্ষনাৎ আমি মন্দিরের পন্যবাহী যানটি নিয়ে আমার বাচ্চাদের তুলে এবং নিকটবর্তী শহরে চালিয়ে গেলাম এবং একটা মখমলে আবৃত এবং উচুঁ হেলান দেবার জায়গাযুক্ত চেয়ার কিনলাম। যখন আমরা নবতালবনে ফিরে এসেছিলাম, গুরুমহারাজ তখন হাঁটতে বের হয়েছিলেন তাই বাচ্চারা আমাকে চেয়ারটি ভিতরে আনতে সাহায্য করেছিল। আমরা যখন কেবল বের হয়ে আসতে যাব, গুরুমহারাজ তাঁর কোয়ার্টারে প্রবেশ করেছিলেন! আমরা সকলে প্রণতি নিবেদন করেছিলাম এবং তখনও আমি নিচু হয়েছিলাম, তিনি উচ্চস্বরে বলেছিলেন, “হরিধ্বনি, তুমি এই স্থানটিকে আমার জন্য একটা রাজপ্রসাদ বানিয়েছো। (তিনি কতটাই না করুণাময়!)
সুতরাং...এই ছবিটি হল সেই চেয়ারের যেটা আমি এনেছিলাম। আমাদের এখনও এটা আছে। এটাকে বলে “আচার্যপাদের আসন”। কেউ এটাকে ব্যবহার করে না এবং যখন তিনি আসেন আমরা এটাকে প্রস্তুত করি।
গুরুমহারাজ, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার নির্বোধ, অপটু পারমার্থিক কন্যার নিবেদন স্বীকার করার জন্য। দয়া করে আমাকে আপনার সেবা করা আর ভালবাসার সুযোগ দেবেন। আমি আরো ভাল করার ভাল করার চেষ্টা করব।
শ্রীল প্রভুপাদ কি জয়! শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ কি জয়!! "
প্রদান করেছেন-হরিধ্বনি দেবী দাসী
১০ জানুয়ারী, ২০১৯।
১০ জানুয়ারী, ২০১৯।
0 Comments