শ্রীল জয়পতাকা স্বামী
কলকাতা ১২/৮/২০০৫
পাশ্চাত্য সংস্কৃতি হচ্ছে আমার এই দেহ।
দেহ কেন্দ্রিক এটা মিথ্যা
অহংকার।
আমরা নিত্য শাশ্বত জীব।
জজ হেরিসন উনি মনে করল উনি ভাবল যে অনেক টাকা
হলে সুখী হবে সুখী হলো না
আমরা
মনে করি আমরা সুখী হব তারপর আমরা সুখী হতে
পারি না।
অনেক সময় আমরা মনে করি
অনেক টাকা হলে আমরা সুখী হতে পারব।
কিন্তু তারপরও সন্তুষ্ট হতে পারেনা
যখন প্রভুপাদ তার সাথে সাক্ষাৎ হলো তখন জর্জ হ্যারিসন এই কৃষ্ষ্ণভাবনায় যুক্ত হয়েছে।
একটা বই আছে কীর্তন করুন সুখী হোন
জর্জ হ্যারিসন কে জিজ্ঞাসা করেছিল আপনি এই
গ্রন্থে যা লিখেছেন তা কি ঠিক যে মানুষ সুখী হতে পারে না?
প্রভুপাদ তাকে বলেছিল গীতা ভাগবত একটা উপদেশ
আছে আমরা এই শরীর নয় আমরা এই শরীরকে একদিকে খুশি রাখবো কিন্তু আমাদের আত্মার দিকে
নজর রাখতে
হয় উদাহরণ সনাতন গোস্বামী ছিলেন
প্রধানমন্ত্রী নবাব হোসেন শাহের প্রধানমন্ত্রী তিনি চৈতন্যদেবের কাছে স্বীকার করেন
হে প্রভু আমাকে অনেকে পন্ডিত বলে কিন্তু আমি কিসের পন্ডিত আমি জানিনা আমি কে কে
আমি এখন বুঝতে পেরেছি এই ভূত জগতের যন্ত্রণাটা কি
সনাতন গোস্বামী শ্রী চৈতন্যদেব এর কাছে আবেদন
করেন আপনি আমাকে সত্যি করে বলুন আমি কে?
তখন চৈতন্য মহাপ্রভু তাকে
বলেন আমরা কৃষ্ণের নিত্য দাস
যদি আমরা এই দাসত্ব স্বীকার করি তাহলে আমরা
সুখী হব
আসলে এই জগতে কেউ দাসত্ব
স্বীকার করতে চাইনা কেউ এমএলএ হতে চাই,
কেউ এমপি হতে চাই, কেউ
বড় ব্যবসায়ী হতে চাই,
কেউ মন্ত্রী হতে চাই, কেউ
সেন্ট্রাল মন্ত্রী,
হতে চাই কেউ প্রধানমন্ত্রী হতে চাই, কেউ
মুখ্যমন্ত্রী হতে চাই কিন্তু এবং কেউ কেউ বলে আমি ভগবান, আমি
ভগবান কিন্তু আসলে এ জগতে যত পরিবার আছে অনেকে মনে করে আমার পরিবার আমাদের কুকুর
কিভাবে সুখী হবে?
অনেকে দেখা যায় সকালে কুকুর নিয়ে হাটে
বিদেশে বেশি দেখা যায়
কুকুর সেবা; ভগবানের
সেবা না করে কুকুরের সেবা এটা কি ধরনের?
অনেক সময় আমরা বলি হরে কৃষ্ণ
অনেক সময় মন্ত্রীরা বলে আমাকে ভোট দাও আমি
তোমাদের সেবা করব প্রকৃতপক্ষে কেউ সেবা করতে চাই না ;কেউ
দাসত্ব করতে চাইনা সবাই প্রভু হতে চাই!
ভগবানের কৃপাতে অনেক বড় বড় দায়িত্ব
সামলানো যায় এজন্য আমাদের দায়িত্ব নিতে হয় পারমার্থিক যত দায়িত্ব আছে সেগুলো
আমাদের নিতে হয়
কোন ব্যক্তি যদি অবশ্যই
যদি পারমার্থিক উন্নতির ব্যাপারে শেষ হয় এবং উন্নত দেশে অনেক ব্যস্ত আছে কিন্তু
আধ্যাত্মিক কৃষ্ণ সেবা হয় সেজন্য আমাদের যথেষ্ট চেষ্টা করতে হয় চৈতন্য নিতাইয়ের
কৃপায় এমন তারা যে আমাদেরকে যে পথ দিয়েছেন তাকে বলে আনন্দ
লোচন দাস দাস
ঠাকুরের একটা গান আছে
পরম করুনা প্রভু দুইজন নিতাই গৌর চন্দ্র
সব অবতার সার শিরোমণি কেবল
আনন্দ কন্দ।
ভগবানের দিব্যনাম হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করা
কীর্তন করা, কৃষ্ণ প্রসাদ পাওয়া,
কৃষ্ণ সেবা তে যা ভালো লাগে তা করা এবং
কৃষ্ণের কথা কিছু শ্রবণ করা এটা এমন কঠিন কিছু নাই।
এভাবে আমরা একটা রেলের দুইটা লাইন থাকে
একটাতে পারমার্থিক আরেকটা জাগতিক দুইটাই ব্যালান্স করা আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ(
শ্রী ল জয়পতাকা স্বামী মহারাজ,
ইসকন।)
0 Comments