কাউকে কথা দিয়ে আঘাত করাও এরকম শারীরীক জখমের মত।

কাউকে কথা দিয়ে আঘাত করাও এরকম শারীরীক জখমের মত।



এক নতুন ভক্তের মেজাজ প্রচণ্ড গরম ছিল একসময়। অল্পতেই রেগে যেত অনেক, কিছুতেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারত না।এই ভক্তকে নিয়ে টেম্পল প্রেসিডেন্ট বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়। অনেকক্ষণ আনমনে চিন্তা করলো টেম্পল প্রেসিডেন্ট কি করা যায়? সে একটি ব্যাগভর্তি পেরেক নতুন ভক্তের হাতে ধরিয়ে দিয়ে বললো, “এখন থেকে যখনই তোমার প্রচণ্ড রাগ হবে, হাতুড়ি দিয়ে দেওয়ালের গায়ে পেরেক গাঁথবে।”
প্রথমদিন দেওয়ালে ৩৭ টা পেরেক গাথল সেই ভক্ত। দ্বিতীয় দিন কিছু কম। এভাবে ধীরে ধীরে রাগ নিয়ন্ত্রনে আনতে শেখার সাথে সাথে দৈনিক গাঁথা পেরেকের সংখ্যা কমতে থাকলো। নতুন ভক্ত বুঝতে পারলো, দেওয়ালে পেরেক গাঁথার চেয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ।
অবশেষে এমন একদিন আসলো যখন প্রায় সবরকম পরিস্থিতিতেই সেই ভক্ত তার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে সক্ষম হলো।
খুশী হয়ে সেই ভক্ত টেম্পল প্রেসিডেন্টকে তার এই উন্নতির কথা জানালো। টেম্পল প্রেসিডেন্ট বলল, “তুমি তোমার রাগ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছো জেনে আমি খুব খুশি হয়েছি। এখন তোমাকে আরেকটা কাজ করতে হবে।
এতদিন তুমি দেওয়ালে যে পেরেকগুলো গেঁথেছ, প্রতিদিন সেগুলো তুলে নেওয়ার চেষ্টা কর যতক্ষন না তোমার মেজাজ গরম হয়”। এরপর অনেক দিন কেটে গেল। আবশেষে সেই ভক্ত একদিন সবগুলো পেরেক তুলে নিতে সক্ষম হলো।
টেম্পল প্রেসিডেন্ট তাকে সেই দেওয়ালের কাছে নিয়ে গিয়ে বললো, “তুমি অনেক ভাল করেছ। কিন্তু, দেওয়ালের ছিদ্রগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখ। এগুলো কিন্তু ছিদ্রই রয়ে গেছে।

হিতউপদেশ: দেওয়ালটা আর কখনোই আগের মত হবেনা, ছিদ্রগুলো থেকেই যাবে। রাগের বশে আমরা যখন কোন কিছু করে ফেলি, বা কাউকে খারাপ কিছু বলে ফেলি সেখানে ঠিক এরকমই একটা ক্ষত রেখে দিই।
কাউকে কথা দিয়ে আঘাত করাও এরকম শারীরীক জখমের মত। আসুন, পারতপক্ষে রাগ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। সবার সাথে ভাল ব্যবহার করি। রাগ নিয়ন্ত্রনে না রাখার ফলাফলের মুখোমুখি হওয়ার চেয়ে রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা অনেক সহজ।

Post a Comment

0 Comments