আত্মহত্যার ফলাফল কি? কারা আত্মহত্যা করে? আত্মহত্যা না করে কি করা উচিত?
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীল সনাতন গোস্বামীকে এ বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করেন-
সনাতন, দেহত্যাগে কৃষ্ণ যদি পাইয়ে।
কোটি দেহ ক্ষণেকে তবে ছাড়িতে পারিয়ে।।
দেহত্যাগে কৃষ্ণ না পাই, পাইয়ে ভজনে।
কৃষ্ণপ্রাপ্ত্যের উপায় কোন নাহি ভক্তি বিনে।।
দেহত্যাগাদি যত সব, তমো ধর্ম।
তমো রজো ধর্মে কৃষ্ণের না পাইয়ে মর্ম।।
ভক্তি বিনা কৃষ্ণে কভু নহে প্রেমোদয়।
প্রেম বিনা কৃষ্ণপ্রাপ্তি অন্য হৈতে নয়।।
দেহত্যাগাদি তমো ধর্ম পাতক কারণ।
সাধক না পায় তাতে কৃষ্ণের চরণ।।
অনুবাদঃ সনাতন, দেহত্যাগ করার ফলে যদি কৃষ্ণকে পাওয়া যেত তাহলে নিমেষের মধ্যে আমি কোটি দেহ ত্যাগ করতে প্রস্তুত। দেহত্যাগ করার ফলে কৃষ্ণকে পাওয়া যায় না, ভজনের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে পেতে হয়। ভক্তি ছাড়া কৃষ্ণপ্রাপ্তির আর কোন উপায় নেই। আত্মহত্যা আদি কার্যকলাপ তমোগুনের দ্বারা প্রভাবিত। তমো ও রজোগুনের দ্বারা কখনো শ্রীকৃষ্ণকে জানা যায় না। ভক্তি ব্যতীত কখনও হৃদয়ে কৃষ্ণ প্রেমের উদয় হয় না, এবং প্রেম ব্যতীত কখনও শ্রীকৃষ্ণকে পাওয়া যায় না। আত্মহত্যা আদি তামসিক ধর্ম পাপের কারণ। এই ধরনের কার্যকলাপের মাধ্যমে কখনো শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মের আশ্রয় লাভ করা যায় না।
------চৈ.চ.অন্ত্য ৪/৫৫-৬০
0 Comments