🙏খুব মনোযোগ সহকারে গুরুত্ব দিয়ে উল্লেখিত বিষয়বস্তুটি আপনারা পড়ুন-উপলব্ধি করুন-এবং তৎসহ ব্যবহারিক ভাবে প্রয়োগ করার জন্য প্রতিভাবান ভক্তদের বিনম্র অনুরোধ জানাই🙏

🌹১০০ টাকা মন্দিরে যতটা বড় দেখায়, শপিং মলে তা ঠিক ততটাই ছোট। মন্দিরে বসে প্রার্থনা করা কতইনা দীর্ঘ, অথচ সিনেমা হলে তা কিছুই না। ৪ ঘন্টার একটা ক্রিকেট ম্যাচ কিছুই না, অথচ মাত্র আধঘন্টা ঘরে বসে গীতাপাঠ করা অনেক বিরক্তিকর। শ্রী গীতার ২টি শ্লোক পড়া কতই না কষ্টকর, অথচ ২০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস ঠিক ততটাই আনন্দদায়ক। মাসিক ৩০০০ টাকার প্রাইভেট ক্লাস, গানের ক্লাস, নাচের ক্লাস, ড্রয়িং ক্লাস করার অফুরন্ত সময়; অথচ মাসিক ৪০ টাকায় সপ্তাহে ৪ দিন গীতা ক্লাসের জন্য বিন্দু পরিমাণ সময় নেই। গানের শিক্ষক, নাচের শিক্ষক, ড্রয়িং শিক্ষকের বেতন মাসে ৪ দিনে (৩০০০-৫০০০) টাকা; অথচ গীতা স্কুল সম্পূর্ণ অবৈতনিক, তাও সেখানে যাওয়ার সময় নেই।


আমরা আধুনিক, আমরা এমনই, গীতা কোন শেখা বা পড়ার বিষয় না, শুধু পড়ালেখা, নাচ, গান শিখায় জীবনের আসল ক্রেডিট। বয়স যতই হোক, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অন্যান্য যেকোন কিছু শেখা কোন লজ্জার বিষয় নয়। অথচ ছেলেমেয়েদের বয়স ১৪/১৫ হলেই গীতা শেখা যেন সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয়। বৃদ্ধাশ্রম কিন্তু এমনি এমনি বা একদিনে তৈরি হয়নি, আমাদের মত সন্তানদের নৈতিক শিক্ষার অভাব ছিল বলে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হয়েছিল।


তাই আমার আদ্যাশক্তির অংশসম্ভুতা মমতাময়ী মাতৃকামন্ডলী, আপনাদের প্রতি আকুল আবেদন, আপনাদের সন্তানদের বাল্যকাল থেকেই গীতা মুখী, কৃষ্ণ মুখী, ভগবত মুখী করে

তুলুন। না হয় এরাই একদিন আপনাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে, দুবেলা দুমুঠো ভাত দেবেনা; কারণ এদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন আপনি নিজেই।


সর্বোপরী এটাই বলা বাহুল্য যে,

সবাই গীতা পড়ুন, গীতাকে ভালবাসুন, পিতামাতাকে ভক্তি করুন, সেবা করুন দেখবেন জীবন কতো মধুময়। ধর্মপথে জীবনকে চালিত করুন। সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের একটাই শ্লোগান হোক গীতা জ্ঞানের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো। শুধু গীতা পাঠ করলে হবে না;  গীতা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে সনাতন ধর্ম।🙏


🏠 কখন বৈকূণ্ঠলোক🟣

   ------------------------------ 

এক যুবক বিয়ে করার জন্য হন্যে হয়ে পাত্রী খুঁজে,চলছে, কিন্তু পাত্রী হতে হবে কৃষ্ণ ভক্তিময়ী নারী । এক জায়গায় এক শুদ্ধভক্তের ফ্যামিলিতে পাত্রীর সন্ধান পাওয়া পেল। যুবকটি পাত্রীকে দেখতে পাত্রীদের বাড়ি গেল।


         যুবকের গার্জিয়ান ও পাত্রীর সাথে কথাবার্তা চলার এক পর্যায়ে সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাত্রী যুবককে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করল,


'  আপনি শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযথ কয়টি শ্লোক মুখস্ত করেছেন?'

যুবকটি বললেন,  একটিও না। তবে সর্বদা চেষ্টা করি, যেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের একজন সৎকর্মশীল ভক্ত হতে পারি।


  পাত্রী আবার প্রশ্ন করলেন, আপনি প্রতিদিন কত মালা হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করেন ?

যুবকটি তখন বলল, এখনও আট মালায় আটকে আছি।

.

 পরে  যুবক পাল্টা প্রশ্ন করে বসল পাত্রীকে, আপনি গীতার কয়টি শ্লোক মুখস্ত করেছেন?'

পাত্রী বললেন, আমিও আপনার মত চেষ্টা করছি।


          এক পর্যায়ে উভয় ফ্যামিলির গার্জিয়ানদের উদ্দ্যোগে এই পাত্রীর সাথেই যুবকের বিয়ে হয়ে গেল। তারা হয়ে গেল স্বামী-স্ত্রী।

.

       কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই স্বামী অনুভব করল যে, সে এই জগতে যেন একটু করে বৈকুণ্ঠলোকের মালিক হয়ে গেছে।


   স্ত্রী- ও অনুভব করল যে, তার স্বামী তখন সত্য বলেছে, সত্যিই সে একজন সৎকর্মশীল  পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের খাঁটি ভক্ত।

.

  তার পর একদিন স্ত্রী, স্বামীকে, বলল- 'এই আসুন না আপনাকে কিছু গীতার শ্লোক মুখস্ত করিয়ে নেই?


  স্বামী বলল- 'হ্যাঁ, চলো, আমরা উভয়েই মুখস্ত করব। একে অপরকে মুখস্ত করিয়ে দেবো।

.

  যেই কথা সেই কাজ। তারা একে অপরকে গীতার শ্লোক মুখস্ত করিয়ে দিতে শুরু করলেন, উভয়ে একের পর এক শ্লোক মুখস্ত করতে থাকল একে অপরকে শোনানোর মাধ্যমে।


  এভাবে একদিন তারা উভয়েই গীতার ভাল শিক্ষক ও প্রচারক হয়ে গেল! এবং কিছুদিন পর স্বামী তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শ্বশুরালয়ে চলে গেল।

গিয়েই শ্বশুরকে অতি আহ্লাদে খবর দিল- 'বাবা, আপনার মেয়ে গীতার ভাল শিক্ষক ও প্রচারক হয়ে গেছে!

.

  খবরটি শুনে শ্বশুর আশ্চর্য হয়ে গেলেন!

  তিনি মেয়ের জামাইকে কিছু না বলে উঠে মেয়ের রুমে গিয়ে কিছু কাগজপত্র নিয়ে আসলেন, কাগজপত্র গুলো দেখে যুবকের চোখ তো ছানাবড়া!

.

     এই যে তার স্ত্রীর ইসকন কৃষ্ণভাবনামৃত মন্দিরের প্রাতিষ্ঠানিক সার্টিফিকেট! 


তার মানে তার স্ত্রী বিয়ের আগে থেকেই ইসকন মন্দির থেকে ''গীতা সারতত্ত্ব, গীতা স্টাডী” কোর্স করা ছিল!


এইবার যুবক আসল ব্যাপার বুঝতে পারল। আসলে তার স্ত্রী গীতা মুখস্ত করিয়ে দেয়ার ভান করে মূলত: তাকেই কৃষ্ণভক্ত বানানোর কৌশল অবলম্বন করছে!

.

স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতায় যুবকের মনটা ভরে গেল। তার দু'চোখ বেঁয়ে গড়িয়ে পড়তে লাগলো'আনন্দ অশ্রু........!!!

.

   যুবকটি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে দুহাত তুলে প্রার্থনা করলেন, যেন আমার মত প্রত্যেক যুবক যুবতিকে এমন শুদ্ধভক্ত ও ভক্তিময়ী স্ত্রী-স্বামী দান করেন। 🌹 হরেকৃষ্ণ হরেকৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে! হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!🙏

Post a Comment

0 Comments