১০০ টাকা মন্দিরে যতটা বড় দেখায়, শপিং মলে তা ঠিক ততটাই ছোট। মন্দিরে বসে প্রার্থনা করা কতইনা দীর্ঘ, অথচ সিনেমা হলে তা কিছুই না। ৪ ঘন্টার একটা ক্রিকেট ম্যাচ কিছুই না, অথচ মাত্র আধঘন্টা ঘরে বসে গীতাপাঠ করা অনেক বিরক্তিকর। শ্রী গীতার ২টি শ্লোক পড়া কতই না কষ্টকর, অথচ ২০০ পৃষ্ঠার উপন্যাস ঠিক ততটাই আনন্দদায়ক। মাসিক ৩০০০ টাকার প্রাইভেট ক্লাস, গানের ক্লাস, নাচের ক্লাস, ড্রয়িং ক্লাস করার অফুরন্ত সময়; অথচ মাসিক ৪০ টাকায় সপ্তাহে ৪ দিন গীতা ক্লাসের জন্য বিন্দু পরিমাণ সময় নেই। গানের শিক্ষক, নাচের শিক্ষক, ড্রয়িং শিক্ষকের বেতন মাসে ৪ দিনে (৩০০০-৫০০০) টাকা; অথচ গীতা স্কুল সম্পূর্ণ অবৈতনিক, তাও সেখানে যাওয়ার সময় নেই।


আমরা আধুনিক, আমরা এমনই, গীতা কোন শেখা বা পড়ার বিষয় না, শুধু পড়ালেখা, নাচ, গান শিখায় জীবনের আসল ক্রেডিট। বয়স যতই হোক, বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে অন্যান্য যেকোন কিছু শেখা কোন লজ্জার বিষয় নয়। অথচ ছেলেমেয়েদের বয়স ১৪/১৫ হলেই গীতা শেখা যেন সবচেয়ে বড় লজ্জার বিষয়। বৃদ্ধাশ্রম কিন্তু এমনি এমনি বা একদিনে তৈরি হয়নি, আমাদের মত সন্তানদের নৈতিক শিক্ষার অভাব ছিল বলে বৃদ্ধাশ্রম তৈরি হয়েছিল।


তাই আমার আদ্যাশক্তির অংশসম্ভুতা মমতাময়ী মাতৃকামন্ডলী, আপনাদের প্রতি আকুল আবেদন, আপনাদের সন্তানদের বাল্যকাল থেকেই গীতা মুখী, কৃষ্ণ মুখী, ভগবত মুখী করে

তুলুন। না হয় এরাই একদিন আপনাদের বৃদ্ধাশ্রমে পাঠাবে, দুবেলা দুমুঠো ভাত দেবেনা; কারণ এদেরকে সঠিক সময়ে সঠিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছিলেন আপনি নিজেই।


সর্বোপরী এটাই বলা বাহুল্য যে,

সবাই গীতা পড়ুন, গীতাকে ভালবাসুন, পিতামাতাকে ভক্তি করুন, সেবা করুন দেখবেন জীবন কতো মধুময়। ধর্মপথে জীবনকে চালিত করুন। সকল সনাতনী সম্প্রদায়ের একটাই শ্লোগান হোক গীতা জ্ঞানের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো। শুধু গীতা পাঠ করলে হবে না;  গীতা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে সনাতন ধর্ম।

Post a Comment

0 Comments