গান্ধীজির ৩ বানর

 

গান্ধীজির ৩ বানর 

গান্ধীজি স্বর্গ থেকে দেখতে চেয়েছিল তার তিন বানরের কি অবস্থা। তাই তিনি একজনকে মর্তে পাঠালেন তার এই তিন বানরের খোজ নিতে। সে মর্ত্য থেকে ফিরে এসে সে তিন বানরের কথা বললেন -

আপনার ১ম বানর যে চোখ বন্ধ করে রেখেছে মানে অন্ধ সে এখন দেশের আইন ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। 🙈

আর ২য় বানর যে কানে হাত দিয়ে রেখেছে মানে বধির সে দেশ পরিচালনা করছে। 🙉

আর ৩য় বানর হচ্ছে দেশের জনগন যাদের মুখ বন্ধ। 🙊

আমাদের বর্তমান হিন্দুদের অবস্থা এখন এরকম। আমাদের হিন্দুদের প্রথম এবং প্রধান সমস্যা আমরা পারমার্থিকভাবে অন্ধ। আমরা জন্মেছি হিন্দুর ঘরে। কিন্তু যদি বলি একটা গীতার শ্লোক বলেন তখন বলতে পারবে না। বেদের কোন মন্ত্র আমাদের জীবনে আমরা কাজে লাগিয়েছি?? বৈদিক জীবনধারা থেকে আমরা সরে এসে মনগত ধর্ম তৈরি করে হিন্দুধর্মটাকে বানিয়েছি কুসংস্কার।  শাস্ত্রের বহির্ভূত অনেক কিছু নিজেদের হিন্দু লেভেল লাগিয়ে শুধুই মাত্র ইন্দ্রিয়তৃপ্তি করছি। পারমার্থিকভাবে অন্ধ হওয়ার কারনে আমরা সকলেই অসুখী।  আমরা নিজেরা পারমার্থিক জ্ঞান আহরন করছি না আর আমাদের ছেলে মেয়েদের সেই বিষয়ে আগ্রহী করে তুলছি না।

২য়তো হিন্দুদের আরেক সমস্যা হিন্দু হয়ে নিজের ধর্মের প্রতি অনিহা। আপনি যতই নৈতিক জ্ঞান বা বৈদিক জ্ঞান দিন সেটা এক কান দিয়ে ঢুকাবে আরেক কান দিয়ে বের করবে। বরং আপনি সনাতন ধর্ম নিয়ে কাজ করেন বা প্রচার করেন উলটা আপনাকে বাধা দিবে। আর সেই ধরনের তথাকথিত হিন্দু ব্যক্তিদের কিছু যদি বলেন তখন তারা কানে হাত দিয়ে রাখে।

আর ৩য় সমস্যা হচ্ছে মুখ বন্ধ করে রাখে। কোন প্রতিবাদ নাই। আমার পাশের হিন্দু ব্যক্তির যাই হোক না কেন আমারতো কিছু হচ্ছে না। একদম চুপচাপ থাক। আমরা অন্তত কামড় না দিতে পারি কিন্তু ফোস করার কথা আমরা ভুলে গেছি। হিন্দুদের প্রতিবাদ করার জন্যে রাস্তায় নামাতে কত যে কষ্ট হয়। সেটা অনেক সংগঠনই জানে।

তাই যারা মনে প্রানে সনাতনের জন্য কিছু করতে চান তাহলে এখনই এগিয়ে আসুন। আমরা লক্ষ্মীর মতো বউ চাই অথচ নারায়নের মতো গুনাবলী নাই, তখন লক্ষ্মী বউ কোথাই পাব।

সনাতনের কৃষ্টি ফিরিয়ে আনতে এবং বৈদিক জীবনধারা প্রথা গড়ে তুলতে এখনই সনাতনের হয়ে কাজ করুন।