সাধনভক্তি বিকাশের ক্রমোস্তরঃ


 *꧁সাধনভক্তি বিকাশের ক্রমোস্তরঃ꧂*

*❀꧁কোন সাধনে সাধনার সর্বোচ্চ স্তর লাভ করা সম্ভব?পরম ধন কী?তা লাভ করতে  ভক্তের কত সময় লাগে꧂❀*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*💠❀❈কাম,অর্থ,ধর্ম ও মোক্ষ এই পুরুষার্থ চতুষ্টয় যাঁর কাছে অতি তুচ্ছ,সেই পঞ্চম পুরুষার্থরূপ  """প্রেম'ই"" একমাত্র সাধ্য বা জীবের পরম প্রয়োজনীয় সম্পদ। প্রেম-মহাসম্পদের অধিকারী হওয়া মাত্রই জীব, সাক্ষাৎ সম্বন্ধে, নিখিল পরমানন্দ পূর্ণামৃতাব্ধি--শ্রীভগবদ পাদপদ্ম,সেবা সুখ লাভ করে, পূর্ণকাম হয়ে থাকেন। জীব হৃদয়ে যতক্ষণ না ভগবদ-প্রেমের অভ্যুদয় ঘটে, ততক্ষণ শ্রীভগবদ্ সন্দর্শন লাভের কোনও সম্ভাবনা নেই। সেইজন্য ভগবানকে নয়, ভগবানের প্রেমকেই শাস্ত্রকারগণ 'প্রয়োজন' বলে ও প্রেমরূপ প্রয়োজনকে লাভ করবার উপায় যা, তাকেই তার 'অভিধেয়' বা 'সাধনা' নামে উল্লেখ করেছেন। কমল-কোরক যেমন স্তবকে স্তবকে বিকশিত হয়ে প্রস্ফুটিত শতদলে পরিনত হয়, সেইরূপ সাধক-হৃদয়, সাধক-অবস্থার কয়েকটি নির্দিষ্ট স্তরের ভিতর দিয়ে ক্রমে ক্রমে বিকশিত হয়ে--প্রেমরূপ পূর্ণ প্রস্ফুটিত শতদলে পরিণত হয়ে থাকে, শাস্ত্র, সাধনার সেই স্তর বা ক্রম কয়টির বিষয় জানিয়েছেন! শ্রীল রূপগোস্বামী পাদ তাঁর শ্রীভক্তিরসামৃতসিন্ধু-(১/৪/১৫-১৬) তে বর্ণনা করেছেন---*

*"আদৌ শ্রদ্ধা ততঃ সাধুসঙ্গোঽথ ভজনক্রিয়া।*

*ততোঽনর্থনিবৃত্তিঃ স্যাৎ ততো নিষ্ঠা রুচিস্ততঃ॥*

*অথাসক্তি স্ততোভাব স্ততঃ প্রেমাভ্যুদয়ঞ্চতি।*

*সাধকানাময়ং প্রেম্নঃ প্রাদুর্ভাবে ভবেৎ ক্রমঃ॥"*

              *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❀❈অর্থাৎ, সাধক সাধনপথে প্রবেশ লাভ করে প্রথমে 'শ্রদ্ধার' অধিকারী হয়ে থাকেন, শ্রদ্ধার পরে 'সাধুসঙ্গ' ঘটে; এই সাধুসঙ্গের পরে ভজনক্রিয়া আরম্ভ হয়; প্রকৃষ্ট 'ভজনক্রিয়া' অনুষ্ঠিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে 'অনর্থনিবৃত্তি' হয়ে থাকে। তারপর শ্রীমদ্ভগবদ পাদপদ্মে ও তাঁর সঙ্গে সম্বন্ধ হওয়া মাত্রেই 'নিষ্ঠা' জন্মায়; তারপর তাঁর প্রতি 'আসক্তি' জেগে ওঠে, আসক্তির পরেই 'ভাবের' উদয় হয়ে থাকে; এর নাম ভাবভক্তি। ভাবের বৃদ্ধি হলে সেই পঞ্চম পুরুষার্থ ""প্রেমের"" অভ্যুদয় ঘটে; প্রেমের অঙ্কুর অবস্থার নামই 'ভাব' বা 'রতি'। সাধনার প্রথম স্তর 'শ্রদ্ধা' থেকে 'প্রেমভক্তি' এটাই শাস্ত্রবর্ণিত --সুনির্দিষ্ট ক্রম। এই ক্রমকে সর্ব্বতোভাবে অপেক্ষা করে, 'প্রেমভক্তির' সাধককে সাধনপথে অগ্রসর হতে হয়।*

   *সাধকের সাধনার এই ক্রমোস্তর পেরিয়ে একেবারেই অন্তিম প্রেমভক্তি লাভ করতে সাধনা করতে করতে কয়েক জনম লেগে যেতে পারে, যিনি যে স্তর পর্যন্ত পৌঁছে দেহত্যাগ করেন, পরের জনমে সেই স্তরের পর থেকেই সাধন শুরু করেন, আর এভাবেই একসময় চরমস্তরে উন্নীত হয়ে পরমপদ লাভ করে থাকেন।❤🙇*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*প্রত্যেক স্তরের সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও কোন্ সাধনে সেই পরম ধন লাভ সম্ভব তা নিয়ে নিচে ক্রমশ আলোচনা করার প্রয়াস করছি।🙏*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*💠(১)❈❀আদৌ শ্রদ্ধা--*

       *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তীপাদ তাঁর মাধুর্যকাদম্বিনী গ্রন্থে বলেছেন--*

*💠❈❀"ভক্তি অধিকারীর প্রথমে শ্রদ্ধার উদয় হয়ে থাকে,এই শ্রদ্ধা ভক্তিশাস্ত্রের বর্ণিত বিষয়ে দৃঢ় প্রত্যয়ময়ী।শাস্ত্রোক্ত বিষয়ের অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে যত্নশীল হয়ে তদনুসারে কার্যাদি নির্বাহ করার জন্য যে সাদর স্পৃহা দেখা যায়, তাকেও শ্রদ্ধা বলা হয়। উভয় প্রকার শ্রদ্ধাই আবার দ্বিবিধ--একটি স্বাভাবিকী অপরটি বলপূর্বক উৎপাদিতা।"*

                 *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀ভক্তিমন্দিরে আরোহনের প্রথম সোপানই ""শ্রদ্ধা""! শ্রীল কবিরাজ গোস্বামী পাদ বলেছেন-  "শ্রদ্ধা শব্দে বিশ্বাস কহি সুদৃঢ় নিশ্চয়।, কৃষ্ণে ভক্তি কৈলে সর্বকর্ম কৃত হয়" অর্থাৎ শাস্ত্রার্থে দৃঢ়বিশ্বাসের নাম শ্রদ্ধা। শ্রীভগবদ্ পাদপদ্মে শরণাগতিই হৃদয়ে শ্রদ্ধার উদয় করায়। যার যত বেশি শরণাগতি তার হৃদয়ে তত বেশি শ্রদ্ধা ও তদনুরূপ ভজনে অগ্রগতি। সুতরাং শরণাগতি আর শ্রদ্ধা প্রায় একই অর্থ ও তাৎপর্য্য।*

                *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀কোনও সুরম্য অভ্রভেদী সৌধ রচনা করতে হলে যেমন প্রথমে গভীর সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করতে হয়, কারণ ভিত্তি সুদৃঢ় না হলে ক্ষণকাল মধ্যে সৌধ ভূমিসাৎ হয়ে যায়, তদ্রূপ শ্রীকৃষ্ণের সুখবিলাসের জন্য সুরম্য ভক্তিসৌধ রচনা করতে হলে এই শ্রদ্ধারূপ ভিত্তিটি সুদৃঢ় করতে হবে, কারণ যাঁর যেমন শ্রদ্ধা তাঁর তেমন অধিকার শাস্ত্রে নিরূপণ করা হয়েছে--*


*"শ্রদ্ধাবান জন হয় ভক্ত্যে অধিকারী।*

*উত্তম, মধ্যম, কনিষ্ঠ শ্রদ্ধা অনুসারী॥*

*শাস্ত্র-যুক্ত্যে সুনিপুন দৃঢ় শ্রদ্ধা যার।*

*উত্তম অধিকারী সেই তারয়ে সংসার॥"*


*💠❈❀অর্থাৎ যিনি শাস্ত্রযুক্তিতে সুদৃঢ় শ্রদ্ধাবান-ভক্ত তিনিই উত্তম অধিকারী হয়ে এই জগৎ সংসারকে উদ্ধার করে থাকেন।*

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*"শাস্ত্র যুক্তি নাহি জানে দৃঢ় শ্রদ্ধাবান।*

*মধ্যম অধিকারী সেই মহাভাগ্যবান॥"*


*💠❈❀অর্থাৎ যিনি শাস্ত্র যুক্তি না জানলেও দৃঢ় শ্রদ্ধাবান, তিনি মধ্যম অধিকারী ও মহাভাগ্যবান।*

           *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*"যাহার কোমল শ্রদ্ধা সেই কণিষ্ঠ জন।*

*ক্রমে ক্রমে তেঁহো ভক্ত হইবে উত্তম॥"*

*💠❈❀অর্থাৎ যার হৃদয়ে কোমল শ্রদ্ধা তিনিই কনিষ্ঠ ভক্ত তবে ধীরে ধীরে তিনি উত্তম ভক্ত হয়ে উঠবেন।*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*💠❈❀(২)ততঃ সাধুসঙ্গ--*

       *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀হৃদয়ে শ্রদ্ধার উৎকর্ষতা অনুযায়ী শ্রদ্ধাবান ব্যক্তির তেমন প্রকার সাধুসঙ্গ হয়ে থাকে, অর্থাৎ যিনি সমর্পিত পূর্ণ শ্রদ্ধাবান সাধক, তাকে ভজনক্রিয়ায় প্রবৃত্ত করানোর জন্য শ্রীভগবান সাধুরূপে সাধকের সঙ্গে মিলিত হন। যার হৃদয়ে শ্রদ্ধার অভাব তার কাছে প্রকৃত সাধুর আগমন হলেও তিনি তাঁকে চিনতে পারেন না, ফলে কপট সাধুর সান্নিধ্য লাভ হয়ে যেতে পারে ও বিপথগামী হতে পারে, কারণ শ্রদ্ধা ও ভগবত চরণে সমর্পণের অভাব। শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী পাদ বললেন--*

*"শ্রদ্ধা জন্মিলে পরে শ্রীগুরুচরণ গ্রহণ করে সদাচার জিজ্ঞাসার উদয় হয় এবং সদাচারাদি শিক্ষা দ্বারা সজাতীয়াশয় স্নিগ্ধ এবং ভক্তিপথে অভিজ্ঞ সাধুগণের সঙ্গরূপ সৌভাগ্যের উদয় হয়ে থাকে।"*

             *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀প্রেমধর্ম সাধনের দ্বিতীয় স্তরে সাধক, পূর্ণ শ্রদ্ধার ফলে বেদ, শ্রীমদ্ভাগবত শাস্ত্রাদি ও ভক্তিশাস্ত্রে পারদর্শী ও যুক্তির দ্বারা শিষ্যের সংশয় ছেদনে সমর্থ,কৃষ্ণ-তত্ত্ববেত্ত্বা, সুদৃঢ় বিশ্বাসী,ভজননিষ্ঠ ভগবদনুভূতিসম্পন্ন, কৃপাশক্তিপ্রাপ্ত ও অপরকে  কৃপাশক্তি সঞ্চারে সক্ষম,কাম ক্রোধাদি রিপুকে ভগবদ সেবায় নিযুক্তকারী শিক্ষা অথবা দীক্ষাগুরুর সান্নিধ্য লাভ করেন।সাধনের পরবর্তী পর্যায়ে ভজনক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সেই সদগুণসম্পন্ন শ্রীগুরু চরণে আশ্রয় গ্রহণ করে থাকেন। দীক্ষা ও গুরুসেবা ছাড়া সাধকের ভজন ফলপ্রসূ হয়না। কারণ--*

*দীক্ষাকালে করে ভক্ত আত্মসমর্পণ।*

*সেইকালে কৃষ্ণ তারে করে আত্মসম॥"*


*আবার শ্রীল নরোত্তম দাস ঠাকুর লিখেছেন----*

*"শ্রীগুরুচরণে রতি, সেই সে উত্তমা গতি।*

       *যে প্রসাদে পুরে সর্ব্ব আশা।"*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*💠❈❀(৩)অথ ভজনক্রিয়া--*

       *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀সাধুসঙ্গের পরবর্তী স্তর হল- ""ভজনক্রিয়া""। সাধুসঙ্গের অব্যর্থ প্রভাবে সাধক বৈষ্ণবজনোচিত সমুদয় ভজনক্রিয়ার অনুষ্ঠানে ক্রমে ক্রমে সুসিদ্ধ হইতে থাকেন।*

   *শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী পাদ বলেছেন-- "অতঃপর ভজনক্রিয়া। ঐ ভজনক্রিয়া দ্বিবিধ-অনিষ্ঠিতা ও নিষ্ঠিতা। প্রথমে অনিষ্ঠিতা ভজনক্রিয়া, ক্রমশঃ উৎসাহময়ী, ঘনতরলা,ব্যূঢ়বিকল্পা,বিষয়-সঙ্গরা,নিয়মাক্ষমা ও তরঙ্গরঙ্গিনী এই ষড়বিধা হয়ে স্বীয় আধার ভক্তকে তত্তৎ লক্ষণে বিশেষরূপে চিহ্নিত করে থাকেন।"_*

            *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀অর্থাৎ ভজনক্রিয়া বলতে শ্রীগুরু উপদিষ্ট শ্রবণ, কীর্তন, স্মরণ,অর্চনাদি নববিধা ভক্তির অনুষ্ঠান।*

*💠❈❀প্রথমেই শাস্ত্র অধ্যয়ন শুরু করা মাত্রই সাধক সবার কাছে প্রশংসা পেয়ে মনে করেন 'আমার সকলের প্রশংসনীয় পাণ্ডিত্য উৎপন্ন হয়েছে'। ফলে আরও বেশি উৎসাহ নিয়ে অধ্যয়ন ও ভজন করেন, এই দশার নাম "উৎসাহময়ী"।*

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀এরপর সাধকের শাস্ত্র অভ্যাস ও ভজনে বহু শাস্ত্র অধ্যয়ন করার ইচ্ছা, অথচ শাস্ত্রের অর্থ হৃদয়ঙ্গমে অসমর্থ বা কখনো মর্মগ্রহণে আনন্দের সঞ্চার হয়,ফলে ভজনক্রিয়াতে কখনো ঘনত্ব কখনো তরলত্ব বা শৈথিল্য দেখা যায়, এই দশার নাম--'ঘনতরলা'।*

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀এরপর সাধক কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েন--'আমি কি করব! সংসারে থেকে পরিবারের সবাইকে বৈষ্ণব করব, নাকি সব ত্যাগ করে শ্রীবৃন্দাবনে গিয়ে ভজন করব, নাকি প্রচার করব!কখনো কখনো স্ত্রী পুত্র পিতা মাতা সংসার দুর্বিষহ মনে হয়, আবার মনে করে বৃদ্ধ বাবা মা ও স্ত্রী পুত্রের প্রতি কর্তব্যও আছে! বিভিন্ন চিন্তা করতে করতে গৃহেই থেকে ভজন করার মনস্থির করে, কিন্তু কোন্ ভক্তির যাজন করব?ভজনক্রিয়ায় এই প্রকার নানাবিধ সংকল্প বিকল্পের উদয় হতে থাকলে, তাকে ""ব্যূঢ়বিকল্পা"" বলা হয়।*

                *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀এরপর সাধক বিষয়কে অসহ্য বলে মনে করলেও বিষয়কে গ্রহণ করতে বাধ্য হয়, চাইলেও পরিত্যাগ করতে পারে না,পরিত্যাগে অসমর্থ হয়ে নিন্দার সঙ্গে বিষয় ভোগ করতে থাকেন।😑এতে কখনো বিষয়ের পরাজয় হয় কখনো নিজের পরাজয় হয়, সাধকের এই পরিস্থিতিকে বলা হয়--""বিষয়সঙ্গরা"'।*

             *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀এরপর সাধক দৃঢ় সংকল্প করে যে, 'আমি আজ থেকে এত সংখ্যা নাম জপ করব, এতবার প্রণাম করব,এইভাবে ভগবানের ও ভক্তের সেবা করব, ভগবদ সম্বন্ধহীন গ্রাম্যকথা উচ্চারণ করব না,যারা আন কথা বলে তাদের সঙ্গ করব না। কিন্তু প্রতিদিন নিয়মের সংকল্প করেও যথাযথভাবে নিয়ম পালন করতে অক্ষম হয়ে ওঠেন! এই দশাকে বলা হয়--""নিয়মক্ষমা""।*

               *┈┉━❀❈❀━┉┈*

*💠❈❀এরপর সাধকের প্রতি সবাই অনুরক্ত হয়ে ওঠেন, কারণ ভক্তির এটাই স্বভাব যে,যাঁর মধ্যে ভক্তি অবস্থান করেন, সকল লোকই তাঁর প্রতি অনুরক্ত হয়ে থাকে। সবাই যখন তাঁকে ভালবাসতে থাকে, তখনই ভক্তির ফলেই সম্পদ, লাভ, পূজা, প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি বিভূতিসকল ভক্তিরূপ কল্পলতার উপশাখা হয়ে হয়ে গজিয়ে ওঠে। এই উপশাখাগুলিকেই ভক্তিসাগরের তরঙ্গরূপে বর্ণনা করা হয়। এই অবস্থায় সাধক নিজ ভজনক্রিয়াকে ঐ তরঙ্গ সমূহে রঙ্গ করতে দেখেন, তাই এই অবস্থার নাম ""তরঙ্গরঙ্গিনী""।*

*••••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈••••••••*

*এর পর পরবর্তী  আলোচনা করার প্রয়াস করব🙇🙇🙇

Post a Comment

0 Comments