আমাদের উচিত শিখা ধারণ করা


 

শিখা শুধুই ইসকন ভক্তরা রাখবে!🙄

অন্যদের নিষেধ আছে?🤔

যখন মাতা পিতার শ্রাদ্ধ করে, তখন মন্ত্র পাঠ করে___

"ব্রহ্মবাণী সহস্রাণী শিববাণী শতেন চ।

বিষ্ণুর্নাম সহস্রেণ শিখা বন্ধং করোম্যহম্।।"

অনুবাদঃ-ব্রহ্মার নাম সহস্রবার উল্লেখ করে,শিবের নাম শতবার উল্লেখ করে ও বিষ্ণুর নাম সহস্রবার উল্লেখ করে আমি আমার শিখা বন্ধন করছি।যদিও তাদের মাথায় শিখা থাকেনা,তবুও তারা "শিখা বন্ধন করছি "এই মন্ত্র বলে ব্রহ্মা,বিষ্ণু ও শিবের নামে এক বিরাট মিথ্যা কথা বলে।অর্থাৎ মিথ্যা কথাদিয়ে শ্রাদ্ধ আরম্ভ করে।


শাস্ত্রে বলা হয়েছে -তিলকং তুলসীমালাং শিখা কৌপিন বহির্বাস। হরের্নাম সদামুখে বৈষ্ণব পঞ্চ লক্ষণম্।।অনুবাদ-তিলক,তুলসীমালা,শিখা,কৌপিন বহির্বাস, ও মুখে হরিনাম,এই ৫টি বৈষ্ণবের লক্ষণ।শিখার কিছু নিয়মাবলী-শ্মশানে গেলে,টয়লেটে গেলে,রাতে ঘুমানোর সময় শিখা খোলা থাকবে।আর অন্য সময় শিখা বদ্ধ থাকবে। তাই সনাতন সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ এই শিখা ধারণ করে দ্বিজত্ব লাভকরা আমাদের কর্তব্য।

শিখা রাখার গুরুত্ব।বৈদিক সংস্কৃতিতে দশবিধ সংস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। তার মধ্যে সপ্তম সংস্কার হচ্ছে চূড়াকরণ।চূড়াকরণসংস্কারে মাথায় শিখা রাখতে হয়।কেননা চূড়াকরণ বা শিখা রাখার পরেই উপনয়ণ বা দীক্ষা লাভ করা হয়।শিখা রেখে গুরুদেব তাঁর শিষ্যকে সংস্কারের পাত্র করে তোলেন।এখন শিখা ধারণের আবশ্যকতা নিয়ে আলোচনা করব।সদোপবীতিনা ভাব্যং সদা বদ্ধ শিখেন চ।বিশিখো বি উপবিতশ্চ যৎ করোতি ন তৎ কৃতম্।।(কাত্যায়ন স্মৃতি ১/৪)।।ভবিষ্য পুরাণে (১/২২/২৫)বৈদিক ধর্মের বিরোধিতা কারীদের কতগুলো বৈশিষ্ঠ্য বলা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে "শিখাহীনঃ"অর্থাৎ-মাথায়শিখা থাকবেনা।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য যে,অধিকাংশ সনাতনীরাই শিখা ধারণ করেনা।

তাই আমাদের উচিত শিখা ধারণ করা।

Post a Comment

0 Comments