" বৈশাখ মাস মাহাত্ম্য "
দেশের সরকার যেমন দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তর খুলে রেখেছে । আমরা যদি এই সমস্ত দপ্তর গুলি সম্মন্ধে খোঁজ খবর না রাখি তবে আমরা সরকারী সুবিধা গুলো ভোগ করতে পারবো না,এবং সরকারের উদ্দেশ্যও সফল হবে না । ঠিক তেমনি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগতের প্রতিটি জীবের কল্যানের জন্য বিভিন্ন দপ্তর (বিভিন্ন নক্ষত্র,রাশি,মাস, তীর্থ, গঙ্গা প্রভৃতি পবিত্র নদী) জগতে প্রকটিত করে রেখেছেন আবার ভগবান স্বয়ং বেদ ব্যাস রূপে আবির্ভূত হয়ে বিভিন্ন পূরাণে বিভিন্ন উদাহরণ সহযোগে উল্লেখ করেছেন, কোন নক্ষত্রে , কোন রাশিতে, কোন মাসে কোন সময়ে কি কর্ম করলে আমরা সর্বাপেক্ষা বেশি লাভ ওঠাতে পারবো । কিন্তু ভগবানের লেখা সেই পূরাণ গুলি যদি গ্রন্থাগারে পড়ে থাকে এবং আমরা যদি সে সন্মন্ধে না জানি তবে আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের দেওয়া সুবিধা গুলো ভোগ করতেও পারবনা এবং ভগবান ও খুশি হবেন না ।
বৈশাখ মাসের মহিমা সন্মন্ধে শাস্ত্রে কি আছে জানি আসুন। আগে জানি তুলসী সেবা মাহাত্ম্য তারপর মাস মাহাত্ম্যঃ-
বৈশাখ মাসে যেহেতু সূর্যের তাপ বৃদ্ধি পায়, তাই বিষ্ণুভক্তগণকে জলদান করা হলে শ্রীহরি অতিশয় প্রিয় হন। শ্রীহরির কৃপাপূর্বক তাঁর থেকে অভিন্ন শ্রীতুলসীবৃক্ষে জলদানেরও অপ্রাকৃত এক সুযোগ প্রদান করেন।
কিন্তু কেন তুলসীকে জলদান কর্তব্য?
তুলসী শ্রীকৃষ্ণপ্রেয়সী, তাঁর কৃপার ফলেই আমরা শ্রীকৃষ্ণের সেবার সুযোগ লাভ করতে পারি। তুলসীদেবী সম্বন্ধে বলা হয়েছে, তুলসী দর্শনেই পাপসমূহ নাশ হয়, জলদান করলে যম ভয় দূর হয়, রোপণ করলে তাঁর কৃপায় কৃষ্ণভক্তি বৃদ্ধি পায় এবং শ্রীহরির চরণে অর্পণ করা হলে কৃষ্ণপ্রেম লাভ হয়।
পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখন্ডে (৬০.১০৫) বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ শ্রীমহাদেব পুত্র কার্তিককে বলেন,
সর্বেভ্যঃ পত্রপুষ্পেভ্যঃ সত্তমা তুলসী শিবা।
সর্বকামপ্রদা শুদ্ধা বৈষ্ণবী বিষ্ণুসুপ্রিয়া ॥
সমস্ত পত্র ও পুষ্পের মধ্যে তুলসী হচ্ছেন শ্রেষ্ঠা। তুলসী সর্বকামপ্রদা, মঙ্গলময়ী, শুদ্ধা, মুখ্যা, বৈষ্ণবী, বিষ্ণুর প্রেয়সী এবং সর্বলোকে পরম শুভা।
ভগবান শিব বলেন,-
যো মঞ্জরীদলৈরেব তুলস্যা বিষ্ণুমর্চয়েঃ।
তস্য পুণ্যফলং স্কন্দ কথিতুং নৈব শক্যতে ॥
তত্র কেশবসান্নিধ্যং যত্রাস্তি তুলসীবনম্।
তত্র ব্রহ্মা চ কমলা সর্বদেবগণৈঃ সহ
হে কার্তিক! যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে প্রতিদিন তুলসীমঞ্জরি দিয়ে শ্রীহরির আরাধনা করে, এমনকি আমিও তার পুণ্য বর্ণনা করতে অক্ষম। যেখানে শ্রীতুলসীর বন আছে, শ্রীগোবিন্দ সেখানেই বাস করেন। আর গোবিন্দের সেবার উদ্দেশ্যে লক্ষ্মী, ব্রহ্মা প্রভৃতি সমস্ত দেবতা সেখানেই বাস করেন।
মূলত শ্রীকৃষ্ণই জগতে আবদ্ধ জীবগণকে তাঁর সেবা করবার সুযোগ প্রদান করার জন্য শ্রীতুলসীরূপে আবির্ভূত হয়েছেন এবং তুলসীবৃক্ষকে সর্বাপেক্ষা প্রিয় রূপে গ্রহণ করেছেন। পাতালখন্ডে ঐ বিপ্রের নিকটে শ্রীযম তুলসীর মহিমা কীর্তন করেন। বৈশাখে তুলসীপত্র দ্বারা শ্রীহরির সেবা প্রসঙ্গে তিনি বলেন।যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ বৈশাখ মাস অনন্য ভক্তিসহকারে তুলসী দ্বারা ত্রিসন্ধ্যা শ্রীকৃষ্ণের অর্চনা করেন, তার আর পুনর্জন্ম হয় না।”
তুলসীদেবীর অনন্তমহিমা অনন্ত শাস্ত্রে বিস্তৃত। কিন্তু এই মহিমা হচ্ছে অশেষ।ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণের প্রকৃতিখণ্ডে (২২.৪২-৪৪) বর্ণিত হয়েছে-
শিরোধার্যাঞ্চ সর্বেসামীপ্সিতাং বিশ্বপাবনীম্।
জীবন্মুক্তাং মুক্তিদাঞ্চ ভজে তাং হরিভক্তিদাম্ ॥
যিনি সকলের শিরোধার্যা, উপাস্যা, জীবন্মুক্তা, মুক্তিদায়িনী এবং শ্রীহরিভক্তি প্রদায়িনী, সেই সমগ্র বিশ্বকে পবিত্রকারিণী বিশ্বপাবনী তুলসীদেবীকে সতত প্রণাম করি। সমগ্র বৈদিক শাস্ত্রের সংকলক তথা সম্পাদক শ্রীব্যাসদেব তুলসীর মহিমা বর্ণনা করতে গিয়ে পদ্মপুরাণের সৃষ্টিখণ্ডে(৬০.১২৭-২৮) বলেছেন,
পূজনে কীর্তনে ধ্যানে রোপণে ধারণে কলৌ।
তুলসী দহতে পাপং স্বর্গং মোক্ষং দদাতি ॥
উপদেশং দিশেদস্যাঃ স্বয়মাচরতে পুনঃ।
স যাতি পরমং স্থানং মাধবস্য নিকেতনম্ ॥
শ্রীতুলসীদেবীর পূজা, কীর্তন, ধ্যান, রোপণ ও ধারণে সমস্ত পাপ নাশ হয় এবং পরমগতি লাভ হয়। যে ব্যক্তি অন্যকে তুলসী দ্বারা শ্রীহরির অর্চনার উপদেশ দেন, এবং নিজেও অর্চনা করেন, তিনি শ্রীমাধবের আলয়ে গমন করেন। শুধু শ্রীমতী তুলসীদেবীর নাম উচ্চারণ করলেই শ্রীহরি প্রসন্ন হন। ফলে পাপসমূহ নাশ হয় এবং অক্ষয় পুণ্যার্জিত হয়।
পদ্মপুরাণের ব্রহ্মখণ্ডে বলা হয়েছে,
গঙ্গাদ্যাঃ সরিতঃ শ্রেষ্ঠা বিষ্ণুব্রহ্মামহেশ্বরাঃ।
দেবৈস্তীর্থৈঃ পুষ্করাদ্যৈস্তিষ্ঠান্ত তুলসীদলে ॥ ৬.২২
গঙ্গাদি সমস্ত পবিত্র নদী এবং ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর, পুষ্করাদি সমস্ত তীর্থ সর্বদাই তুলসীদলে বিরাজ করেন। ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণে নির্দেশিত হয়েছে যে, সমগ্র পৃথিবীতে সাড়ে তিন কোটি তীর্থ আছে। তুলসী উদ্ভিদের মূলে সমস্ত তীর্থই অবস্থান করে। তুলসীদেবীর কৃপায় ভক্তবৃন্দ কৃষ্ণভক্তি লাভ করেন এবং বৃন্দাবনে বসবাসের যোগ্যতা অর্জন করেন।
বৃন্দাদেবী তুলসী সমগ্র বিশ্বকে পাবন করতে সক্ষম এবং সর্বত্রই পূজিতা। সমগ্র পুষ্পের মধ্যে তিনি শ্রেষ্ঠ এবং শ্রীহরি, দেবসকল, ব্রাহ্মণ এবং বৈষ্ণবগণের আনন্দবর্ধনকারিণী। তিনি অতুলনীয়া এবং কৃষ্ণের জীবনস্বরূপিনী। যিনি নিত্য তুলসী সেবা করেন তিনি সমসত ক্লেশ হতে মুক্ত গয়ে অভীষ্ঠ সিদ্ধি লাভ করেন। অতএব শ্রীহরির অত্যন্ত প্রেয়সী তুলসীকে জলদান অবশ্যই কর্তব্য। এছাড়াও এসময়ে ভগবানের অভিন্ন প্রকাশ শ্রীশালগ্রাম শিলায়ও জলদানের ব্যবস্থা করা হয়।
শাস্ত্রে তুলসীদেবীকে জলদান করা হলে তুলসীমূলে যে জল অবশিষ্ট থাকে তারও বিশেষ মাহাত্ম্য কীর্তন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি কাহিনী বলা হয়েছে যে, কোনো এক সময় এক বৈষ্ণব তুলসীদেবীকে জলপ্রদান ও পরিক্রমা করে গৃহে গমন করেন। কিছুক্ষণ পর এক ক্ষুধার্ত কুকুর সেখানে এসে তুলসীদেবীর মূলে অবশিষ্ট জল পান করে।
কিন্তু তখনই এক ব্যাধ এসে তাকে বলতে লাগল, ‘দুষ্ট কুকুর! তুই কেন আমার বাড়িতে খাবার চুরি করেছিস? চুরি করেছিস ভালো, কিন্তু মাটির হাড়িটি কেন ভেঙে রেখে এসেছিস? তোর উচিত শাস্তি কেবল মৃত্যুদন্ড। অতপর ব্যাধ ঐ কুকুরটিকে তখন বধ করে। তখন যমদূতগণ ঐ কুকুরকে নিতে আসে।
কিন্তু তৎক্ষণাৎ পরমনন্ধ বিষ্ণুদূতগণ সেখানে এসে তাদের বাধা দিলে শ্রীবিষ্ণুদূতগণ বলেন, “এই কুকুর পূর্বজন্মে জঘন্য পাপ করার কারণে নানাবিধ শাস্তি পাওয়ার যোগ্য ছিল। কিন্তু শুধু তুলসী তরুমূলের জল পান করার ফলে এর সমস্ত পাপ নাশ হয়েছে, এমনকি সে বিষ্ণুলোকে গমনের যোগ্যতাও অর্জন করেছে।” অতঃপর সেই কুকুর সুন্দর দেহ লাভ করে বৈকুণ্ঠের দূতগণের সাথে ভগবৎধামে গমন করে।
জগৎজীবকে কৃপা করবার উদ্দেশ্যেই ভগবানের অন্তরঙ্গা শক্তি শ্রীমতি রাধারাণীর প্রকাশ বৃন্দা-তুলসীদেবী এ জগতে প্রকটিত হয়েছেন, তেমনি ভগবান শ্রীহরিও বদ্ধজীবসমূহকে মায়ার বন্ধন থেকে মুক্ত করার জন্য বিচিত্র লীলার মাধ্যমে অভিন্ন-স্বরূপ শালগ্রাম শিলারূপে প্রকাশিত হয়েছেন।
চারিবেদ অধ্যয়নে লোকে যে ফল প্রাপ্ত হয়, কেবল শালগ্রাম শিলার অর্চনাতে সেই ফল প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব। যিনি শালগ্রামশিলা-স্নানজল; চরণামৃত নিত্য পান করেন, তিনি মহাপবিত্র হন এবং জীবনান্তে ভগবৎধামে গমন করেন। #জয়_শ্রীবৃন্দাদেবী
এখন জানুন মাস মাহাত্ম্যঃ-
১.স্কন্দ পুরাণের বিষ্ণু খণ্ডের বৈশাখ মাহাত্ম্য-এ ১ম অধ্যায়-এ নারদ মুনি অম্বরীষ রাজার প্রশ্নের উত্তরে বললেন , কার্তিক,মাঘ ও বৈশাখ - মাস সমূহের মধ্যে ইহারাই শ্রেষ্ঠ, কিন্তু এই মাসত্রয়ের মধ্যে আবার বৈশাখ মাস প্রধান । জননী যেমন স্ব স্ব সন্তান গনের ইষ্ট দান করেন,এই বৈশাখ মাসও তদ্রুপ নিখিল প্রাণীর শুভদায়ক ।
২.এই মাসে দান ,যজ্ঞ, ব্রত ও স্নান করিলে সর্ব পাপ বিনষ্ট হয় ।
৩.ধর্ম,যজ্ঞ ও ক্রিয়াদিতে এই বৈশাখই মাস সমুহের সার ।
৪.যে নর বৈশাখের অরুণোদয়ের পূর্বে স্নানরত হয়, রমার সহিত ভগবান রমাপতি তাহার প্রতি প্রসন্ন হন ।অন্ন ভোজনে জন্তুগনের যেমন প্রীতি হয় , বৈশাখ স্নানেও ভগবান বিষ্ণুও তদ্রুপ প্রীত হইয়া থাকেন সংশয় নাই ।
৫.যাহারা বৈশাখ স্নান মত মানুষ কে দেখিয়া হ্নষ্ট হয়,সে মহাপাতকনিচয় হইতে বিমুক্ত হইয়া বিষ্ণু লোকে বাস করে ।
৬.যে মানুষ মেষসংস্থ-দিবাকরে অর্থাৎ বৈশাখে প্রতিদিন প্রাতস্নান ও পূজাদি করে সে পাপ বিমুক্ত হইয়া বিষ্ণু সাযুজ্য লাভ করে ।
৭.যে মানুষ বৈশাখ মাসে প্রাতঃস্নানার্থ এক পাদ নিক্ষেপ করে, তাহার অযুত(১০,০০০) অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল হয় ।কূটবুদ্ধি মানবও যদি বৈশাখ মাসে মনে মনে প্রাতঃস্নানের সঙ্কল্প করে , তাহার ও শত যজ্ঞের ফল লাভ হয় , সন্দেহ নাই ।এই মাসে যে মানুষ প্রাতঃস্নানার্থ ধনুঃপরিমান দীর্ঘ পথ গমন করে,সে বিবিধ বন্ধন বিমুক্ত হইয়া বিষ্ণু সাযুজ্য লাভ করিয়া থাকে ।
৮.হে রাজেন্দ্র !ব্রহ্মাণ্ডান্তর্গত ত্রিলোকে যে সকল তীর্থ আছে, বৈশাখের ব্রাহ্ম মূহুর্তে তৎসমস্ত তীর্থ স্বল্পমাত্র জলেরও আশ্রয় লয় ;হে ভূমিপ!মানব যত কাল না বৈশাখের ব্রাহ্ম মূহুর্তে স্নান করে,ততক্ষণই যমপুরে লিখিত তদীয় পাপ সকল গর্জন করিবার অবসর পায় ।হে নৃপেন্দ্র! মানবগনের হিত কামনায় ভগবান বিষ্ণুর আদেশে বৈশাখ মাসে তীর্থাদিদেবগন তীর্থ ভিন্ন সকল জলই আশ্রয় করিয়া সতত সন্নিহিত থাকেন ; সূর্যোদয় হইতে ষষ্টঘটিকা পর্য্যন্তই তীর্থাদি ও দেবতাগন জলে বাস করেন ।হে রাজেন্দ্র!তাবৎকাল মধ্যে যাহারা স্নানার্থ আগমন না করে,তীর্থাদিদেবগণ তাহাদিগকে সুদারুণ অভিসম্পাত প্রদান করিয়া স্বস্থানে চলিয়া যান;অতএব ঐ সময় স্নান করাই কর্ত্তব্য ।
পদ্মপুরাণে বৈশাখ মাস বিষয়ে বর্ণিত এক বিশাল আখ্যান সংক্ষেপে এমন- একদা এক ব্রাহ্মণ ছিলেন। তিনি ছিলেন দরিদ্র এবং সন্তানহীন। তিনি তাই তাঁর পত্নীকে বললেন, যেহেতু তিনি দরিদ্র, তিনি ভিনদেশে কোন কাজের সন্ধানে যাবেন এবং কিছু অর্থ প্রেরণ করবেন। কিন্তু তাঁর পত্নী বললেন, ‘এখন আমাদের কোন অর্থ নাই, কিন্তু আপনি চলে গেলে আমার স্বামীও থাকবেন না। আপনি কেন বশিষ্ঠ মুনির নিকট যাচ্ছেন না? তিনি পার্শ্ববর্তী গ্রামেই অবস্থান করছেন।‘ অত:পর তিনি সেখানে গেলেন এবং তাঁকে প্রণতি নিবেদন করে প্রশ্ন করলেন, কেন তাঁর অর্থ এবং সন্তানাদি নেই। বশিষ্ঠ মুনি তাঁকে বললেন, ‘আপনার পূর্ব জন্মে আপনি এক শূদ্র ছিলেন। আপনার অনেক অর্থ ছিল কিন্তু আপনি বেশ কৃপণ ছিলেন এবং আপনার স্ত্রী ও সন্তানদের কিছুই দিতেন না। তাই আপনি বিত্তশালী হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা দারিদ্রে দিন অতিবাহিত করছিল। আপনি হঠাৎ করেই দেহত্যাগ করলেন, এবং আপনার সকল অর্থ এক গর্তে লুকিয়ে রাখায় আপনার স্ত্রী-সন্তানাদি জানতে পারেননি কোথায় অর্থ, এবং তাঁরা দরিদ্রাবস্থাতেই দেহত্যাগ করলেন। তাই আপনার সন্তানও নেই, অর্থও নেই।‘
তবে তিনি কিভাবে ব্রাহ্মণ হলেন? তিনি বললেন, বৈশাখ মাসে কেবল তিন দিন আপনি বৈষ্ণবদের সেবা করেছিলেন, তাই আপনি ব্রাহ্মণ হয়েছেন।
‘কিভাবে তবে সম্পদ এবং সন্তান ফিরে পাব?’ ব্যাক্তিটি প্রশ্ন করলেন।
মুনি বললেন, কেবল তিন দিনেই আপনার ক্ষেত্রে কাজ করেছে। এখনও বৈশাখের সাত দিন বাকি। এই সুযোগ গ্রহণ করুন।
তাই কেবল ৭দিন বৈষ্ণব সেবার দ্বারাই তিনি অর্থ এবং সন্তানাদি প্রাপ্ত হলেন। হরিবোল
।
0 Comments