🍂"শ্রদ্ধা শব্দে বিশ্বাস কহে,সুদৃঢ় নিশ্চয়,কৃষ্ণভক্তি করলে সর্বকর্মকৃত হয়"


🍂কৃষ্ণভক্তি করলে সর্বকর্মকৃত হয়,অন্য আর কিছু করার প্রয়োজন হয়না..ভগবানকে ভালোবাসলে,ভগবানের নাম গ্রহণ করলে,আর কোন কিছুর দরকার হয়না...


🍂বিভিন্ন নিয়মকানুন,বিভিন্ন ধর্ম রয়েছে,কিন্তু ভগবানের দিব্য নাম গ্রহণ করার ফলে আর কোনকিছুই করতে হয়না..এইরকম দৃঢ় বিশ্বাস যার থাকে,সেই ভগবতভক্তিতে এগিয়ে যায়...


🍂কেউ যদি ভাবে,হরিনাম হচ্ছে অন্য একটি ধর্ম-কর্মের মত,..ঠিক আছে তাহলে হরিনামও করলাম,এইটাও করলাম,ওইটাও করলাম...


🍂কিন্তু কৃষ্ণ সম্বন্ধীয়,হরিনাম সম্বন্ধীয় যেইগুলো নয়,তার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস,হরিনামের প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস এইটা কি করে হয়?


🍂কোন জায়গায় যেতে গেলে,একটা জায়গা ছাড়তে হবে.. ঠিক তেমন ই অনাচার ছেড়ে,অনাচার পরিত্যাগ করে আমাদের কৃষ্ণভক্তি গ্রহন হবে..


🍂"কেনো" প্রশ্নের উত্তর যখন আমরা পাবো,স্বাভাবিক ভাবেই আমাদের উৎসাহ,উদ্দীপনা বাড়ে..."কেনো" প্রশ্নের উত্তর না জানলে সেইটা দীর্ঘস্থায়ী হয়না...


🍂"ভজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নববিধা ভক্তি,কৃষ্ণপ্রেম কৃষ্ণ দিতে ধরে মহাশক্তি",এই যে নববিধা ভক্তি,তা কৃষ্ণপ্রেম,কৃষ্ণ দিতে পারে...এই নববিধা ভক্তি এতই শক্তিশালী যে,কৃষ্ণকে দিতে পারে...কিন্তু তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম সংকীর্তন...এই নববিধা ভক্তির মধ্যে হরিনাম গ্রহন করা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ.."নিরঅপরাধে নাম লইলে পায় প্রেমধন"..কেউ যদি নিরঅপরাধে নাম গ্রহণ করে,সে প্রেম পাবে,সে কৃষ্ণকে পাবে...


🍂আমরা যখন জপ করতে বসি, এই চেতনা এই চিন্তাধারা দৃঢ়ভাবে আমাদের হৃদয়ে ধারণ করতে হবে...


🍂"তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম সংকীর্তন..",এই রকম চেতনা,ভাবনা, দৃঢ়সংকল্প যদি আমাদের না থাকে হরিনাম সম্পর্কে, তাহলে সঠিক মনোভাব নিয়ে আমরা কিভাবে জপ করবো?


🍂অন্যান্য নাম করা,আর ভগবানের দিব্য নাম করা এক নয়..ভগবানের দিব্যনাম গ্রহন করা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ..যখন আমরা জপ করবো,এই চেতনা,ভাবনা আমাদের থাকতে হবে যে,আমি সর্বশ্রেষ্ঠ সেবা করতে চলেছি"...


🍂আর জপের পরে এমন আচরণ করবো,যাতে পরবর্তী সময়ে আমরা যখন জপ করতে বসবো,তার উপর যেন একটা প্রভাব ফেলে আমাদের...


🍂এর উপরে কিছু নাই.."ইহা হইতে সর্বসিদ্ধি হইবে সবার"...

শ্রীমান মহাপ্রভু হরিনাম বিতরণ করতে এসেছিলেন..কারন এইটা ঔষধ না,এইটা হচ্ছে মহাঔষধ...


🍂"এনেছি ঔষধী মায়া নাসিবার লাগি,হরিনাম মহামন্ত্র লও তুমি মাগি"


🍂অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে,যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই ভাব,এই চেতনা না আসবে যে, হরিনাম হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ পন্থা.,কৃষ্ণপ্রেম জাগরিত করে এই হরিনাম,এর উপরে আর কিছু নাই,তখন ই আমরা শ্রদ্ধার সহিত নাম গ্রহন করতে পারবো..তখন ই জপের সময় অন্যকিছু করতে মন চাইবে না...


🍂"ভজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নববিধা ভক্তি,কৃষ্ণ প্রেম কৃষ্ণ দিতে ধরে মহাশক্তি,তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ নাম সংকীর্তন,নিরঅপরাধে নাম লইলে পায় প্রেমধন"..এইটা আমরা কেউ বুঝতে পারছি না..


🍂হরিনামের সময় যখন আমরা অন্যকিছু করি,হরিনামকে অসম্মান করা হয়.,অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হয়...


🍂অনেকেই অনেক বছর ধরে জপ করছে,কিন্তু হরিনামের যে ফল তা আমরা কয়জন উপলব্ধি করেছি,যদি উপলব্ধি না করি তবে কেনো করতে পারছি না?


🍂"হরে কৃষ্ণ নাম যদি লয় বহুবার,তবে যদি প্রেম নহে,নহে অশ্রুধার"..আমরা "হরে কৃষ্ণ" মহামন্ত্র গ্রহন করছি,কিন্তু প্রেম নাই,কৃষ্ণ বিরহে ক্রন্দন নাই,কৃষ্ণকে পাওয়ার আনন্দঅশ্রু নাই, "তবে জানি,তাহাতে অপরাধ প্রচুর,কৃষ্ণনাম বীজ তাহে না  করে অঙ্কুর".. তার মানে বুঝতে হবে,সেইখানে অনেক অপরাধ হচ্ছে,কৃষ্ণনামের বীজ তাতে কিভাবে অঙ্কুর হবে?


🍂আর এই অপরাধের কারন হচ্ছে-অমনোযোগী জপ..


🍂হরিদাস ঠাকুর মহাপ্রভুর চরণে নিবেদন করছেন যে,সমস্ত অপরাধের মূল কারন হচ্ছে-অমনোযোগী জপ...


🍂অমনোযোগী জপ কেনো হয়?সমস্ত অপরাধের ফল হচ্ছে অমনোযোগী জপ..অমনোযোগী জপ কেনো হয়,কারন আমরা নামের মহিমা বুঝতে পারি না..


🍂আমরা খুব সহজ ভাবে জপ করি.,সেইজন্য আজকের আমাদের এই দুরবস্থা...সেইজন্য আমরা এত সহজে ভেঙে পড়ি,এত সহজে নিরুৎসাহিত হই,এত সহজে ভাগবতভক্তিকে গুরুত্বের সহিত গ্রহন করি না...


🍂কোন ভক্ত যদি মন দিয়ে জপ করে,এই পৃথিবীর যেকোন প্রতিকূল অবস্থা সে শান্ত মনে সামাল দিতে পারবে.,তার দ্বারা সে প্রভাবিত হবে না..


🍂"নামে রুচি" মানেই ভগবানের সান্নিধ্যে থাকা..ভগবানের সঙ্গে থাকা..


🍂কোন ভক্ত যদি শ্রদ্ধার সহিত,নিয়মিত ভাবে জপ করে,সে পৃথিবীর যেকোনো পরিস্থিতি শান্ত থেকে সামাল দিতে পারে...


🍂কিন্তু তখন ই আমরা ভালোভাবে জপ করতে পারবো যখন আমরা জপের মহিমা বুঝতে পারবো..


#শ্রীপাদ_নাড়ু_গোপাল_দাস_প্রভু(জপক্লাস,১৬-০৪-২০২১)

Post a Comment

0 Comments