গদাধর পণ্ডিত অমৃত লীলাটি পড়ুন এবং আপনি নিশ্চিতভাবে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শ্রীচরণকমল লাভ করবেন!

 গদাধর পণ্ডিত অমৃত লীলাটি পড়ুন এবং আপনি নিশ্চিতভাবে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শ্রীচরণকমল লাভ করবেন!


গদাধর পণ্ডিত পুরীতে গোপীনাথ বিগ্রহের সেবা করছিলেন। বিগ্রহটি এতই সুন্দর ছিলেন যে, তাঁকে বৃন্দাবনের কৃষ্ণের মতো দেখাত এবং ভগবান শ্রীচৈতন্যও তাঁকে আলিঙ্গন করেছেন আর তিনি ছিলেন খুবই খুবই সুন্দর। তো একদিন যখন নিত্যানন্দ প্রভু বাংলা থেকে আসলেন তিনি কিছু বিশেষ চালের ধান নিয়ে আসলেন, একটি খুব সূক্ষ্ম চালের ধান, এবং গদাধর তাঁকে বললেন, "তুমি চিন্ময় জগত থেকে এই চাল নিয়ে এসেছ??! গোপীনাথকে নিবেদন করতে? অনুগ্রহপূর্বক তোমাকে এখানে থাকতে হবে এবং প্রসাদ গ্রহণ করতে হবে।"

গদাধর পণ্ডিত তারপর গোপীনাথের জন্য ভোগ রন্ধন করলেন - অন্ন, কিছু ডাল, পালংশাকের কিছু কচিপাতা রান্না করলেন এবং তিনি কিছু তেঁতুলপাতা রান্না করলেন - প্রসঙ্গত তেঁতুলপাতা রান্না করা খুব সহজ কিছু নয়, আপনাকে খুব দক্ষ রাঁধুনি হতে হবে, কিন্তু তিনি জানতেন কীভাবে এটি রান্না করতে হয় এবং তিনি রান্না করছিলেন। গদাধর নিত্যানন্দকে আলিঙ্গন করলেন এবং তিনি একটি শপথ গ্রহণ করেছিলেন যে, যেকোন ব্যক্তি যে কিনা নিত্যানন্দকে তিরস্কার করবে, তিনি তার মুখদর্শন করবেন না, যেকোন ব্যক্তি যে কিনা নিত্যানন্দকে পছন্দ করে না, তিনি তার সঙ্গ করবেন না। তাই তাঁর নিত্যানন্দের প্রতি অত্যন্ত ভালোবাসা ছিল। তো তাঁরা দুজনে একত্রে ছিলেন এবং তাঁরা একে অপরকে আলিঙ্গন করছিলেন এবং কৃষ্ণের মহিমাকীর্তন করতে করতে ক্রন্দন করছিলেন আর তাই এটি ছিল একটি অত্যন্ত দুর্লভ মুহূর্ত। এরই মাঝে কোনোভাবে ভগবান শ্রীচৈতন্য উপস্থিত হলেন। তিনি বললেন, "তোমরা উভয়েই এখন আমাকে বলো, কেন তোমরা আমাকে এই মহাভোজে আমন্ত্রণ করনি? তোমরা যদি আমাকে আমন্ত্রণ নাও কর, আমি বলপূর্বক প্রসাদ গ্রহণ করব! তোমরা আমাকে এই কৃপা থেকে বঞ্চিত করতে পার না! এই প্রসাদকে তিনটি সমান ভাগে বিভক্ত কর। আমি তোমাদের সাথে প্রসাদ পেতে চাই, নিত্যানন্দ এবং গদাধর।" তো উনারা তিনজন ভগবান শ্রীচৈতন্য, নিত্যানন্দ এবং গদাধর গোপীনাথকে ভোগ নিবেদিত হওয়ার পর প্রসাদ গ্রহণ করলেন। তাই এটি ছিল অত্যন্ত বিশেষ লীলা। ভগবান শ্রীচৈতন্য গদাধরের প্রশংসা করছিলেন - তুমি সত্যিই একজন চমৎকার রাঁধুনি, কে তেঁতুলপাতা রান্না করতে পারে? তেঁতুলপাতা রান্না করা ভীষণ কঠিন কিন্তু তুমি যেকোনকিছু রান্নায় পারদর্শী! আমি জানিনা তুমি কে কিন্তু তুমি যেকোনকিছু রান্না করতে সমর্থ এবং যাকিছুই তুমি রান্না কর তার স্বাদ অমৃতের মতো হয়।

যেহেতু গদাধর হলেন রাধারাণী, যিনি গদাধররূপে চৈতন্যলীলায় এসেছেন এবং তাই তিনি একজন দক্ষ রাঁধুনি ছিলেন। তো এটি বলা হয়েছে যে, যদি আপনি এই লীলাটি শ্রবণ করেন যে, ভগবান শ্রীচৈতন্য নিত্যানন্দ এবং গদাধরের সাথে প্রসাদ পেলেন, কীভাবে ভগবান এতটা দয়ালু, এতটা কৃপালু এবং কীভাবে উনারা তিনজন উনাদের কৃষ্ণপ্রেম এতটা বিনিময় করলেন তা শ্রবণ করেন, নিশ্চিতভাবে অতি শীঘ্রই আপনি গৌরাঙ্গের চরণকমল লাভ করবেন! গৌরাঙ্গ! গৌরাঙ্গ!


শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ

১৬ই মার্চ, ২০১১

Post a Comment

0 Comments