প্রতিদিনই সাপটি শ্রীবিগ্রহকে পরিক্রমা করে বেরিয়ে যেত
১৯৮৭ সালে মায়াপুরে যখন বন্যা হয় সেই সময় নৃসিংহদেবের পূজা করার সময় দেখি যে আমার থেকে মোটামুটি পাঁচ ফুট দূরে একটা সাপও সেখানে ঢুকে পড়েছে নৃসিংহদেবের পেছনে এবং সেখান থেকে বের হতে না পেরে সে আবার জলের তলায় ঢুকে পড়ে সেই সময় আমি খুবই ভয় পেয়ে গেছিলাম এবং আমি এরকম ভাবছিলাম যে এইবার হয়তো আমি আর বাঁচাতে পারবোনা সেই সাপটি হয়তো আমাকে কামড়াবে। এরপর সেই সময় আমি নৃসিংহদেবের দিকে ঘুরে তাকালাম নরসিংহদেবকে দেখে মনে মনে বলেছিলাম যে ভগবান সবকিছু তোমার ওপর যদি তুমি চাও তাহলে সেই সাপটি আমাকে আঘাত করবে এবং যদি তুমি না চাও তাহলে সেই সাপটি আমাকে কামড়াবে না। সেক্ষেত্রে আমাকে আমার সেবা চালিয়ে যেতে হবে এবং তারপরেই আমি এটা অনুভব করি যে নৃসিংহদেব যেন আমায় রক্ষা করেছেন। আমি যেন নৃসিংহদেবের কাছে সুরক্ষিত ছিলাম, আমি সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করি।
আমি আমার সকালের পূজা এভাবে সম্পাদন করেছিলাম কিন্তু ওই ঘটনার কথা আমি কোনভাবেই ভুলতে পারছিলাম না এবং তখন আমার মনে পরছিল যে ভগবান কপিল দেবের কথা যিনি বলেছিলেন যে মাতৃগর্ভে থাকাকালীন আমাদের যে আশাহীন ও কষ্টকর পরিস্থিতি হয় তো সেই সময় যদি কেউ ধার্মিক হয় তবে তাকে হৃদয়ে থাকা পরমাত্মা দর্শন দেন এবং তারপর সে পরমাত্মাকে এই প্রার্থনা করেন যে আমি যদি এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে পারি তবে আমি মাতৃগর্ভ থেকে বেরোনোর পর আপনার পূজা করবো। কিন্তু যখনই তিনি এরকম ভাবে মাতৃগর্ভ থেকে বেরিয়ে যান ভালোভাবে সেই মুহূর্তেই তিনি সবকিছু ভুলে যান কিন্তু আমার একটা আশা আছে কি আমি আপনার খুশির জন্য একদিন হয়তো খুব সুন্দরভাবে আপনার সেবা করতে পারব। যতদিন পর্যন্ত মন্দির কক্ষ বন্যার জলে ভর্তি ছিল সেই সাপটি প্রত্যেকদিনই আসত এবং সে শ্রীবিগ্রহকে পরিক্রমা করার পর আবার বেরিয়ে যেত। কে জানে যে সে সাপটি কে ছিল ?
-শ্রীপাদ্ পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু
0 Comments