শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের অপ্রাকৃত লীলামহিমা --লীলাটি বর্ণনা করেছেন শ্রীশ্রীপাদ জননিবাস প্রভু

 শ্রীশ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের অপ্রাকৃত লীলামহিমা

--লীলাটি বর্ণনা করেছেন শ্রীশ্রীপাদ জননিবাস প্রভু


মায়াপুর বন্যার জন্য বিখ্যাত। বর্ষায় গঙ্গা দুকুল প্লাবিত করে ভক্তিসিদ্ধান্ত মার্গ অতিক্রম করে মায়াপুর অঙ্গনে প্রবেশ করে। প্রতিবারই গঙ্গা ভগবান নৃসিংহদেবের শ্রীপাদপদ্ম স্পর্শ করেন তারপর ধীরে ধীরে প্রস্থান করেন। ১৯৯৬ ও ৯৮ এ গঙ্গার জল রাধামাধবের বেদীর খুব কাছাকাছি চলে এসেছিল। বেদী খুব উচু করে নির্মাণ করায় সচরাচর বন্যার জল বেদীর উপর উঠতে পারে না। ২০০০ সালে গঙ্গার জল অন্যান্য নদীগুলোসহযোগে তীব্র বেগে প্রবাহিত হলো। কিন্তু এ বছর রাস্তার অপর পার্শ্বের জল বৃদ্ধি পেতে দেখে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ শ্রীপাদ জননিবাস প্রভুকে ডেকে বললেন, মাতা গঙ্গাকে অঙ্গনে স্বাগত জানাতে।গুরুমহারাজ গঙ্গামাতার দীর্ঘদিনের অভিলাষ বুঝতে পেরেছিলেন । তাই এইবার তিনি সেই অভিলাষ পূর্ণ করতে চাইলেন। জননিবাস প্রভু ইসকন গেইটের নিকট শঙখধ্বনী করে মাতা গঙগার আরতি করলেন। সাথে সাথে গঙ্গা তীব্রবেগে অঙ্গনের ভিতর প্রবেশ করলেন। এবছর গঙ্গার জল বাড়তে বাড়তে ধীরে ধীরে শ্রীশ্রী রাধামাধবের বেদীতে উঠে রাধামাধবের শ্রীপাদপদ্ম স্পর্শ করলেন। ভগবান সর্বদাই তার অন্তরঙ্গ ভক্তের অভিলাষ পূর্ণ করেন। গুরুমহারাজের প্রার্থনাও তিনি পূর্ণ করলেন। গঙ্গামাতা এতদিনে শ্রীশ্রীরাধামাধবের শ্রীচরণ লাভ করলেন। শুধু শ্রীচরণ ধৌত করেই ক্ষান্ত হলেন না,তিনি রাধামাধবের হাটু পর্যন্ত সিক্ত করলেন এমনকি তার খাটো ধুতির প্রান্তও স্পর্শ করলেন। তারপর তিনি সন্তুষ্ট  হলেন। গুরুমহারাজ শ্রীপাদ জননিবাস প্রভুকে বলেছিলেন গঙ্গামাতাকে শ্রীশ্রীরাধামাধবের মহাপ্রসাদ আস্বাদন করানোর জন্য। শ্রীপাদ জননিবাস প্রভু পুষ্পসহযোগে একটি মহাপ্রসাদের থালা মাতাগঙ্গার উদ্দেশ্যে নিবেদন করলে থালাটি তৎক্ষণাৎ অদৃশ্য হয়ে গেলো। এভাবে যে কয়দিন গঙ্গামাতা অঙ্গনে বিরাজ করছিলেন প্রতিদিনই মহাপ্রসাদের থালাটি অদৃশ্য হয়ে যেতো। গঙ্গামাতা সন্তুষ্ট হয়ে যখন অঙ্গন থেকে বিদায় নিলেন তখন অল্প অল্প জলছিলো, সেদিন আর থালাটি অদৃশ্য হলো না। জননিবাস প্রভু বুঝতে পেরেছিলেন যে গঙ্গাদেবী ইতোমধ্যেই অন্তর্হিত হয়েছেন।

#পুরুষোত্তম্



Post a Comment

0 Comments