মৃত্যুর স্বাদ কেমন, কিরুপ এর যন্ত্ৰণা ?
প্ৰাচীন বৈদিক সাহিত্য গরুড় পুরাণে বলা
হয়েছে ৪০,০০০ বিষাক্ত বিছা পোকা একত্ৰে
কামড়ালে যে যন্ত্ৰণা হয়, মৃত্যুকালে জীব
তার সমান যন্ত্ৰণা ভোগ করবে ।
ভগবান কপিল দেব মৃত্যু সময়ের বীভৎস
অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে বলেছেনঃ ''সেই রুগ্ন
অবস্থায় , ভেতরে বায়ুর চাপে , তার চক্ষু
ঠিকরে বেড়িয়ে আসে এবং কফের দ্বাৱা
শ্বাসনালি রুদ্ধ হয়ে যায় । নিঃশ্বাস নিতে
তখন খুব কষ্ট হয় এবং গলা দিয়ে ঘর-ঘর শব্দ হয়
। এভাবে অত্যন্ত মৰ্মান্তিকভাবে তার মুত্যু
হয় । ( ভাগঃ ৩/৩০/১৬-১৮ )
আধুনিক সমাজে ভালোভাবে বেঁচে
থাকার কৌশলের ওপর অধিক জোর দেওয়া
হচ্ছে । মানুষ সব নতুনভাবে আনন্দ উপভোগের
ব্যাপারে অগ্ৰই , কিন্তু আমাদের জীবনের
আসল লক্ষ্য , “ মৃত্যুবরণের কৌশল " - এর প্রতি
কারও কোনো আগ্ৰহ নেই বললেই চলে ।
পরমেশ্বর ভগবান শ্ৰীকৃষ্ণ বলেছেন “ যদি তুমি
এ বন্ধন থেকে মুক্তি পেতে চাও''।
সে বন্ধনটি কী ?
উত্তর, জন্ম-বন্ধন। হ্যা, এটাই বড় বন্ধন । মানুষ
একে গুরুত্ব দেয় না । জন্ম - শুধু একটা শব্দই
এখানে ব্যবহৃত হয়েছে । জন্ম ’ শব্দের দ্বারা
জন্মগ্রহণকে বোঝানো হয় । তবে জন্ম
কথাটির অৰ্থ অন্য কিছু ।
জন্ম মানে . . . যখন একটি পুত্ৰ সন্তানের
জন্ম হলো ।
আহা , তুমি কী খুশি৷ আমি পুত্ৰ সন্তান লাভ
করেছি ।
কিন্তু তুমি যদি এর দাৰ্শনিক দিকটি বিচার
করো , তাহলে দেখবে কোনো জন্ম নেই । সে
জন্মগ্রহণ করেনি । মৃত্যুর জন্ম হয়েছে।
যেদিন যে মুহূর্তে শিশু জন্মগ্রহণ করে , তখন
থেকেই তার মৃত্যু প্ৰক্ৰিয়া শুরু হয় ।
কিন্তু আমরা জানি না যে, ''এটা জন্ম নয়,
এটা মৃত্যু''। আর একেই বলে মায়া । মোহ এটাই
যে , মৃত্যু জন্মগ্রহণ করেছে , অথচ আমরা
সানন্দে বলছি একটি শিশুর জন্ম হয়েছে।
এই পৃথিবীতে বিভিন্ন কৈতব ধর্ম ও
ধর্মমতের আদর্শ হল কিভাবে সুন্দরভাবে
বাঁচতে হয়, কিভাবে সুখী হওয়া যায় ইত্যাদি।
কিন্তু পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গীতায়
আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, ''কিভাবে মরতে
হবে ? কিভাবে মৃত্যুকে জয় করবে ?''
'' অন্তকালে চ মামেব স্মরন্মুক্তা কলেবরম,
যঃ প্রয়াতি স মদ্ভাবং যাতি নাস্ত্যত্র
সংশয়ঃ''। ৮/৫
অনুবাদঃ মৃত্যুর সময়ে যিনি আমাকে স্মরণ
করে দেহত্যাগ করেন তিনি তৎক্ষনাৎ আমার
ভাবই প্রাপ্ত হন। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ
নেই''। তাই কৃষ্ণভক্ত মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত।/
চৈতন্য মহাপ্রভু বলেছেন,
''মৃত্যু ভয়কে জয় করতে নিরন্তর কৃষ্ণনাম করুন,
0 Comments