আগামীকাল শ্রীল ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজের সুযোগ্য সন্ন্যাসী শিষ্য শ্রীমৎ ভক্তি প্রেম স্বামী মহারাজের ৫৪তম শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব। শ্রীমৎ ভক্তি প্রেম স্বামী মহারাজ ১৯৬৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর শ্রী লোচন দাস ঠাকুরের শুভ আবির্ভাব তিথিতে এই ধরাধামে আবির্ভূত হন।


১৯৯৪ সালে শ্রীমৎ ভক্তি প্রেম স্বামী মহারাজ শ্রীল প্রভুপাদের কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৯৫ সালে শ্রীধাম মায়াপুরে ফুলটাইম ব্রহ্মচারী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ইসকনের অন্যতম আচার্যপাদ শ্রীল ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজ, ভক্তিপ্রেম স্বামী মহারাজকে ১৯৯৬ সালে হরিনাম-দীক্ষা এবং ১৯৯৮ সালে ব্রাহ্মণ-দীক্ষা প্রদান করেন।


পরবর্তীকালে শ্রীমৎ ভক্তি প্রেম স্বামী মহারাজ শ্রীধাম মায়াপুর মন্দিরের মেডিকেল ডিপার্টমেন্টের হেড হিসেবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত সেবা করেন। তার পাশাপাশি মহারাজ মায়াপুর মন্দিরের ব্রহ্মচারী কাউন্সিলর হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


২০০০ সালে মহারাজ ভক্তিশাস্ত্রী কোর্স কমপ্লিট করেন। তারপর ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল অবধি যুবকদের কাছে প্রচার এবং ইসকন মন্দিরের ম্যানেজমেন্ট কমিটিতে যুক্ত ছিলেন। উজ্জয়নে নতুন বৈদিক টেম্পল উদ্যোগের জন্য, ২০০৬ সালে ইসকন জিবিসি শ্রীমৎ ভক্তিপ্রেম স্বামী মহারাজকে "ISKCON Global Excellence Award for Significant Contribution" সম্মানে ভূষিত করেন।


পরবর্তীতে শ্রীল ভক্তিচারু স্বামী গুরুমহারাজ ২০১৫ সালের ৫ই মার্চ শুভ গৌরপূর্ণিমা পুণ্যতিথিতে ইসকন উজ্জয়ন মন্দিরে শ্রীমৎ ভক্তি প্রেম স্বামী মহারাজকে সন্ন্যাস-দীক্ষায় দীক্ষিত করেন। বর্তমানে মহারাজ ইসকন উজ্জয়ন মন্দিরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন এবং পাশাপাশি ইনডোর, সাউথ অাফ্রিকা, যুক্তরাষ্ট্র এবং স্পেশালি বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রচারকার্যে নিয়োজিত রয়েছেন।


প্রিয় মহারাজ, শ্রীল প্রভুপাদ এবং গুরুমহারাজের অশেষ কৃপায় আপনার সঙ্গলাভ করার দুলর্ভ সুযোগ হয়েছিল আমার। আপনার বিনয়, সুমধুর ভজন-কীর্তন বিশেষভাবে আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। কৃপাপূর্বক আপনার অহৈতুকী কৃপাদৃষ্টি এই অধমের উপর, এবং সর্বদা আমাকে আপনার ছত্রছায়ায় রাখবেন - এ আমার বিনম্র মিনতি।


জয় শ্রীমৎ ভক্তি প্রেম স্বামী মহারাজ!

জয় শ্রীল প্রভুপাদ!

Post a Comment

0 Comments