একজন ভাল ছাত্রের গুণাবলী শুনে যেমনি করে আমরা পড়াশোনায় আগ্রহ ফিরে পাই, ঠিক তেমনি ভগবানের অপ্রাকৃত দিব্য লীলা শ্রবণ করার মাধ্যমে আমাদের মধ্যে ভগবদ্ভক্তির সঞ্চার হয়। যদি তা না হতো তবে বেশ্যাসক্ত বসুদেব থেকে কখনোই নৃসিংহদেবের প্রিয় ভক্ত প্রহ্লাদ হয়ে উঠত না। সেটা সম্ভব হয়েছে কেবলমাত্র ভগবানের চিন্ময় লীলা শ্রবণ করার মাধ্যমেই।


আমি বিগত সময়ে পোস্ট করা সবগুলো লীলা একত্রে দিয়ে দিয়েছি। তাই কৃপাপূর্বক ভক্তিভরে শ্রবণ করে নিন ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের অপ্রাকৃত দিব্য লীলাসমূহ।


                      ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❶

         ️           ━━️━━️━━️━━️━━️━

শ্রীনৃসিংহদেব যখন শ্রীধাম মায়াপুরে প্রথম এলেন, তখন নৃসিংহদেবের পূজারী শ্রী পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু একদিন স্বপ্নে দেখলেন যে, তৎকালীন মায়াপুর মন্দিরের পরিচালক তাঁকে কিছু ডিজেল আনতে বলছেন। তিনি বললেন, "ডিজেল দিয়ে তিনি একটি যজ্ঞ করবেন আর তাতে নৃসিংহদেবকে আহুতি দেওয়া হবে।"


উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করতে পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু পারলেন না, তাই তিনি কিছু ডিজেল নিয়ে এসে তাঁকে দিয়ে বললেন, "এবার আপনি যা কিছু তাই করুন, আমি কিছুই করতে পারব না।"


কিছুক্ষণ পরে পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু ফিরে এসে দেখলেন, নৃসিংহদেব পুড়ে সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গিয়েছেন। কেবলমাত্র তাঁর চরণ দু'খানা বাকী রয়েছে। এই অবস্থা দেখে শোকে দুঃখে তিনি বিহ্বল হয়ে পড়লেন।


এমতাবস্থায় তাঁর স্বপ্ন ভঙ্গ হয়। এই ঘটনা তিনি তাঁর দাদা জননিবাস প্রভুর কাছে বর্ণনা করলেন। জননিবাস প্রভু তা শ্রবণ করে কিছুক্ষণ চুপ থাকার পরে বললেন, "ও হ্যাঁ, গতকাল থেকে আমাদের শালগ্রামে জলদান শুরু হয়েছে (এক মাসের জন্য শালগ্রাম ও তুলসীর উপর জলের ধারা বাঁধা), আমরা কেউ তো তা করিনি। 


এর থেকে বোঝা যাচ্ছে ভগবান নৃসিংহদেব আমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন যাতে আমার অতি-সত্বর নৃসিংহদেব শালগ্রামে জলদান শুরু করি।


                  

                       ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❷

            ️         ━━️━━️━━️━━️━━️━

একবার প্রতিদিনের মতো সেদিনও নৃসিংহদেবের পূজা চলছিল। পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু লক্ষ্য করলেন যে, নৃসিংহদেবের গলার মালা থেকে একটি ফুল খসে পড়ল। এই দেখে তিনি দর্শনার্থীদের জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনারা কেউ কি নৃসিংহদেবের নিকট বিশেষ কোনও প্রার্থনা করছেন?" 


সামনের দিকের দর্শনার্থীরা কেউ কিছু বললেন না, কিন্তু পিছনের দিক থেকে এক মহিলা অশ্রুসজল চোখে এগিয়ে এলেন। তিনি বললেন, "আমার একমাত্র মেয়ের চার-পাঁচ বছর হল বিবাহ হয়েছে কিন্তু তার কোনও সন্তানাদি হয়নি। তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এটিকে অশুভ বলে মনে করছেন।"


তাই আমি নৃসিংহদেবের কাছে প্রার্থনা করছিলাম যে, তিনি যদি তাকে এই অসহায় অবস্থায় সাহায্য করেন। তারপর পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু বললেন, "আপনার প্রার্থনা নৃসিংহদেব মঞ্জুর করেছেন।" তার প্রমাণ হচ্ছে, তাঁর গলার মালা থেকে এই ফুলটি খসে পড়েছে। 


পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু মাতাজীকে বললেন, "আপনি এটি নিয়ে যান, ভাল করে রাখবেন। আপনি এই ফুল ধুয়ে সেই জল আপনার মেয়েকে পান করাবেন।" 


একবছর পর সেই মহিলা তাঁর মেয়ে-জামাই এবং নবজাত শিশু-পুত্রকে নিয়ে হাসিমুখে নৃসিংহদেবের সামনে উপস্থিত হলেন। তিনি পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভুকে তাঁর আগের বছরের প্রার্থনা স্মরণ করিয়ে দিলেন এবং বললেন, "শ্রীনৃসিংহদেবের কৃপায় আমার মেয়ের এই পুত্র-সন্তান লাভ হয়েছে। আমরা তার নাম দিয়েছি #প্রহ্লাদ।"


এই বলে তাঁরা সকলে মিলে পুনরায় শ্রীশ্রীনৃসিংহদেবের নিকট খুব ভালভাবে পূজা দিলেন।


                  

                       ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❸

            ️         ━━️━━️━━️━━️━━️━

ইসকন ইয়ুথ ফোরামের একজন ভক্ত শ্রীল তমাল কৃষ্ণ মহারাজের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেছেন। তাঁর বাবার সঙ্গে তাঁর মাঝেমধ্যে তর্কাতর্কি হতো। তাঁর বাবা বলেন, "রাধা-মাধব থাকতে নৃসিংহদেবের পূজা করার কী দরকার?" ছেলেটি তাঁর বাবাকে বুঝাতে চেষ্টা করেছিলেন যে, শ্রীকৃষ্ণ এবং নৃসিংহদেব অভিন্ন।


কিন্তু তাতে তাঁর বাবার কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না। তিনি বলতে চাইছিলেন যে, নৃসিংহদেব হচ্ছেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণেরই অবতার। তবে ভিন্নভাবে নৃসিংহদেবের পূজা করার কী প্রয়োজন?


গত ২০০৩ সালের নৃসিংহ-চতুদর্শীর দিন তাঁর বাবাকে নিয়ে তিনি শ্রীধাম মায়াপুরে এসেছিলেন। শ্রীনৃসিংহদেবের অভিষেকের সময় তাঁরা শ্রীনৃসিংহদেবকে দর্শন করছিলেন। ইতিমধ্যেই ছেলেটির বাবা লক্ষ্য করলেন যে, নৃসিংহদেবের মুখের জায়গায় মাধবের মুখ। 


তিনি রাধা-মাধবের দিকে একবার তাকিয়ে দেখলেন, তারপর পুনরায় শ্রীনৃসিংহদেবের দিকে লক্ষ্য করলে তিনি আবার শ্রীনৃসিংহদেবের মুখের পরিবর্তে শ্রীমাধবের মুখ দর্শন করলেন। এইভাবে তাঁর প্রায় ২০ সেকেন্ড সময় অতিক্রান্ত হয়। এরপরে তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, "#শ্রীনৃসিংহদেব_এবং_শ্রীমাধবের_মধ্যে_কোনও_প্রার্থক্য_নেই।"


                  

                      ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❹

           ️         ━━️━━️━━️━━️━━️━

একবার এক গ্রামে মারামারি হয়েছিল এবং তাঁদের মধ্যে একজনের মুখে অ্যাসিড্ ছুঁড়ে মারা হয়েছিল। ফলে তাঁর চোখ-মুখ সবই বিকৃত হয়ে গিয়েছিল। তাঁর একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আর অন্যটির মাত্র ১০% ভালো ছিল।


ডাক্তাররা বলেছিলেন, যে চোখটির ১০ শতাংশ ভাল আছে সেটিও দুই-একদিনে নষ্ট হয়ে যাবে। তাঁরা পরামর্শ দিয়েছিলেন রোগীকে নিয়ে ভেলোরে (দক্ষিণ ভারতে) নিয়ে যেতে। সেখানকার ডাক্তাররা যদি এর কোনও কিছু ব্যবস্থা করতে পারেন।


ঐ সময় ওখানে একজন ভক্ত ছিলেন, তিনি তাঁদের পরামর্শ দিয়েছিলেন, "তোমরা নৃসিংহদেবের নিকট প্রার্থনা করতে পার। যাতে তাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পান।"


ভক্তের কথামতো সেইসব লোকেরা মায়াপুরের শ্রীনৃসিংহদেবের নিকট প্রার্থনা করেন। পরের দিন দেখা গেল রোগী বেশ পরিস্কার সবকিছুই দেখতে পাচ্ছেন আর ডাক্তাররা তা দেখে অত্যন্ত আশ্চর্য্যান্বিত হলেন।


            

                      ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❺

           ️         ━━️━━️━━️━━️━━️━

আমাদের নামহট্টের ভক্তমহিলা কল্যাণী দাসীর দুই মেয়ে। বড়টির নাম প্রতিভা আর ছোট মেয়েটির নাম অনুভা। উভয়েরই বিবাহ হয়েছে। এখন তাঁদের প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানাদি রয়েছে। তাঁরা উভয়েই একই শহরে অর্থাৎ বহরমপুরে থাকেন।


একবার প্রতিভার স্বামী খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়তে থাকেন। অন্যান্য সমস্ত আত্মীয়দের সঙ্গে ছোট বোন অনুভাও তাঁর জামাইবাবুর এই অবস্থার জন্য অত্যন্ত উদ্বেগে ছিলেন।


যেহেতু তিনি ভক্ত তাই তিনি ইসকন মায়াপুরের শ্রীনৃসিংহদেবের নিকট প্রার্থনা করতে থাকেন তাঁর জামাইবাবুর সুস্থতার জন্য। তিনি হাসপাতালে যান তাঁর জামাইবাবুকে দেখতে এবং ভারাক্রান্ত হৃদয়ে রাত্রে বাড়িতে ফিরে আসেন।


তারপর শেষরাত্রিতে তিনি স্বপ্নে দেখলেন নৃসিংহদেব তাঁর নিকটে এসে বলছেন, "তুমি দুশ্চিতা করো না। তোমার জামাইবাবু খুব শীঘ্রই ভাল হয়ে যাবেন।" ইতিমধ্যে তাঁর স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।


সেদিন সকালবেলায় হাসপাতাল থেকে খবর এলো যে, রোগী ভাল আছেন। তাঁর স্যালাইন এবং অক্সিজেন দুটোই খুলে নেওয়া হয়েছে এবং তিনি এখন কথা বলছেন।


                    

                      ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❻

             ️       ━━️━━️━━️━━️━━️━

২০০৪ সালে শ্রীল জয়পতাকা স্বামীর শিষ্যা দক্ষিণ কলকাতার কবিপ্রিয়া দেবী দাসী ভগবান শ্রীনৃসিংহদেবের জন্য ছয় গাছা বালা বানিয়েছিলেন। কোনও না কোন ভাবে তিনি শ্রীধাম মায়াপুরে আসতে এবং নৃসিংহদেবের হাতের বালাগুলি দিতে পারেননি। সে কথা একেবারে ভুলেই গিয়েছিলেন।


মাতাজী ক্রমশ বিভিন্নভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। অনেক ডাক্তারকে দেখিয়েও উপশমের কোনও লক্ষণ দেখা গেল না। শেষে ডাক্তার বললেন, ওনার টাইরয়েড্ হয়েছে। যার অর্থ হচ্ছে তিনি অত্যন্ত মোটা হয়ে যাবেন এবং তারপর চলাফেলা করাই একপ্রকার বন্ধ হয়ে যাবে। সেই কথা শুনে তাঁর মনে ভীষণ উদ্বেগ এবং দুশ্চিতা শুরু হয়ে গেল।


একদিন হঠাৎ তাঁর মনে পড়ল, শ্রীনৃসিংহদেবের হাতের বালাগুলো তো দেওয়া হয়নি। তৎক্ষণাৎ তিনি সেগুলি নিয়ে সেই অসুস্থ শরীরেই তাঁর স্বামীর সঙ্গে মায়াপুরে আসেন এবং নৃসিংহদেবের বালাগুলি তাঁকে অপর্ণ করে, এ ব্যাপারে দেরী হওয়ার জন্য তাঁর নিকটে ক্ষমা ভিক্ষা করেন।


সেদিন থেকে ঠিক তিন দিনের মধ্যেই তাঁর যাবতীয় ব্যাধি সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হয়ে গেল।


                       

                       ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❼

             ️        ━━️━━️━━️━━️━━️━

অন্ডরূপা দেবী দাসী, যিনি ১৯৭৫ সালে শ্রীল প্রভুপাদের কাছ থেকে ফ্লোরিডায় দীক্ষা প্রাপ্ত হোন। হঠাৎ তিনি হেপাটাইটিস্-সি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে পড়েন। ৪৮ সপ্তাহ যাবৎ উনার চিকিৎসা চলছিল কিন্তু তাতে নিরাময় হওয়ার সম্ভাবনা ছিল মাত্র ৪৫ শতাংশ।


তারপর ২০০৪ সালে ফ্লোরিডার আলাচুয়াস্থিত নবরমনরেতি মন্দিরে শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের শুভাগমন হয়েছিল। তখন গুরুমহারাজের নিকট মাতাজী প্রার্থনা করেন, তিনি যেন ভালভাবে ইহজগত ত্যাগ করতে পারেন।


জয়পতাকা গুরুমহারাজ তখন বলেছিলেন, "এই দন্ডখানা দেখছ, এটি মায়াপুরের শ্রীনৃসিংহদেবকে স্পর্শ করেছে।" তারপর গুরুমহারাজ সেটি মাতাজীর মস্তে স্পর্শ করান।


সেই রাত্রে মাতাজী স্বপ্নে দেখলেন, তাঁর কুষ্ঠব্যাধি হয়েছে, আর তা আস্তে আস্তে নিরাময় হচ্ছে। পরেরদিন সকালে ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটি থেকে মাতাজীর কাছে ফোন আসল। তখন ডাক্তাররা বললেন,


"অভিনন্দন গ্রহণ করুন, আপনি এখন হেপাটাইটিস্-সি থেকে মুক্ত। মাত্র ৮ সপ্তাহে আপনার জীবাণুগুলি নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছে।"


                      

                      ɴʀɪꜱɪᴍʜᴀʟɪʟᴀ-❽

            ️        ━━️━━️━━️━━️━━️━

২২শে এপ্রিল ২০০৫, রচিতাম্বরা মাতাজীর ৮ বছরের নাতনী রেবতী সুন্দরী দেবী দাসী ইসকন মায়াপুরের গৃহস্থ পাড়ায় পার্কে খেলার সময় হঠাৎ ছাদ ভেঙ্গে তাঁর মাথার উপর পড়ে যায়। এতে সে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। তারপর গুরুকুলের হোমিও ডাক্তার গৌরবাবুর কাছে নিয়ে গেলে তাঁকে স্ক্যান্ করানোর জন্য পরামর্শ দেন।

তার ঠিক তিনদিন পরই রেবতী রাত্রে জেগে উঠে কালো রক্ত বমি করতে থাকে। তারপর তাকে তাড়াতাড়ি কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা তাঁর সি.টি. স্ক্যান্ করান। তাঁরা বলছিলেন, ওর নাক দিয়ে যে লালা বেরোচ্ছে তা মস্তিষ্ক থেকেই আসছে। কারণ তাঁর মস্তিষ্কের সামান্য ফাটল রয়েছে। তা থেকেই ঐ লালা বেরোচ্ছে।

পরিস্থিতি আস্তে আস্তে গুরুতর হয়ে উঠতে থাকে। রেবতীর মস্তিষ্ক ফুলে যায় এবং সেখানেই রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে। ওর চোখের সাদা অংশগুলি সম্পূর্ণ লাল হয়ে গিয়েছে, দিনদিন রেবতী অসাড় হয়ে পড়তে থাকে।

রচিতাম্বরা মাতাজী নিরুপায় হয়ে তৎক্ষণাৎ পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভুকে ফোন করে সমস্ত ঘটনা জানান এবং তাঁকে অনুরোধ করেন নৃসিংহদেবের নিকট এ বিষয়ে প্রার্থনা করতে। যে সময় রেবতীর অপারেশন হওয়ার কথা ছিল অর্থাৎ সকাল ৫ থেকে ৭ টা পর্যন্ত, তখন পঙ্কজাঙ্ঘ্রী প্রভু নৃসিংহদেবের অভিষেকসহ বিশেষ পূজা অর্পণ করেন।

পরেরদিন ডাক্তাররা অদ্ভুত কিছু লক্ষ্য করলেন। তাঁরা দেখলেন অলৌকিকভাবে রেবতীর সবকিছু সেরে গেছে। শুধু তাই নয় তাঁর বিশেষ লক্ষণ যেমনঃ নাক দিয়ে রক্ত বের হয়ে আসা, মস্তিষ্ক থেকে লালা ঝরা, বমি ইত্যাদি সবকিছুই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যখন রেবতীকে সবাই দেখতে গেল সে তখন বিছানায় দিব্যি সুস্থ এবং চোখের সাদা অংশগুলিও স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।

সর্বশেষ রেবতী তার দিদাকে বলল, "দিদা! পরেরবার যদি আমার এই ধরনের কিছু ঘটে, দয়া করে তুমি ডাক্তারের কাছে আমাকে নিয়ে গিয়ে সময়ের অপচয় করো না। #আমাকে_তোমরা_সোজা_ভগবান_নৃসিংহদেবের_কাছে_নিয়ে_যেও।


জয় ভক্তবৎসল ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব !! 🙌


#সংগৃহীত

Post a Comment

0 Comments