ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের বর্নিত রথযাত্রা থেকে শিক্ষা


 

ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের বর্নিত রথযাত্রা থেকে শিক্ষা


দ্বাপরে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে, কুরুক্ষেত্রে যখন সবাই স্নান করতে গিয়েছিল তখন বৃন্দাবন থেকে রাধারাণী সহ গোপ গোপীরা এসেছিল। সেখানে উপস্থিত ছিল দ্বারকার রাজা কৃষ্ণ। আর কৃষ্ণ এসেছে শুনে বৃন্দাবনবাসীরা তারা তাদের কানাই কে দেখার জন্য ছুটল। কিন্তু কৃষ্ণকে যখন এভাবে  রাজ বেশে দেখল তখন  রাধারাণীসহ সকলের মন খারাপ হয়ে গেল। বলল এটা আমাদের বৃন্দাবনের কৃষ্ণ না। কারন বৃন্দাবনের কৃষ্ণের ছিল গোচারন বেশ আর এখানে দেখা যাচ্ছে রাজবেশ। তাই তারা ঠিক করল কৃষ্ণকে আবার বৃন্দাবনে নিয়ে যাবে।  

তখন রাধারাণী সহ গোপীরা সবাই কৃষ্ণের রথ টেনে কুরুক্ষেত্র থেকে বৃন্দাবন নিয়ে আসে। এর থেকে জগন্নাথের রথযাত্রা শুরু হয়। এখনো জগন্নাথ পুরীতে, রথে করে জগন্নাথ বলদেব, সুভদ্রা জগন্নাথ মন্দির থেকে গুন্ডিচা মন্দিরে আসে। যা বৃন্দাবন স্বরূপ। তাই জগন্নাথ মেইন মন্দিরকে কুরুক্ষেত্রে সাথে তুলনা করা হয়। আর গুন্ডিচা মাসির বাড়ী হচ্ছে বৃন্দাবনস্বরূপ।


ভক্তি বিনোদ ঠাকুর তিনি লিখেছেন, আমরা যারা রাধারাণীকে অনুসরন করি বা রাধারাণীর দাস তাদের অবশ্যই বৃন্দাবন থেকে বের হয়ে কুরুক্ষেত্রে যেতে হবে। কারন ঐ জায়গায় রাধারাণী সহায়তা চেয়েছিল কৃষ্ণকে বৃন্দাবনে আনার জন্যে। তাই আমাদের রাধারাণীকে সাহায্য করার দরকার। সেজন্যে আমাদের সকলেই বের হওয়া উচিত, প্রচার করা উচিত, এই জগন্নাথের বিশেষ কৃপা পাওয়ার জন্য বিশেষ করে রাধারানীকে সাহায্য করার জন্য। 


তাই শ্রীল প্রভুপাদ এই রথযাত্রাকে সারা বিশ্বে প্রচার করেছেন। জগতের সকলেই যাতে জগতের নাথ জগন্নাথের বিশেষ কৃপা পায় আর তাদের মনুষ্য জন্ম স্বার্থক করে। আর সেজন্যে আমাদের সকলকেই এই রথযাত্রাকে প্রচার করা উচিত।


Post a Comment

0 Comments