শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সময় থাকতে সঠিক পথে চলা উচিত!

                      শিক্ষানীয় বিষয়

# একটি জলাশয়ে এক ভয়ানক সাপ ছিল।ওই জলাশয়ে অনেক কচ্ছপ ছিল।সাপটি তাদের কাছে খুব ফোঁস ফাঁস করে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াতো।একদিন তাদের মধ্যে থেকে একটি কচ্ছপ এগিয়ে এলো সাপের সাথে বন্ধুত্ব করতে।মোটামুটি বন্ধুত্ব হলো,কিন্তু সাপের ভীষন ঔদ্ধত্ব!

একদিন দুইজনে মিলে একসাথে একটি সরু নালা দিয়ে একটি অন্য জলাশয়ে যেতে যেতে কচ্ছপ বললো - "তুমি সোজা পথে চলো,এতো বেঁকে বেঁকে গেলে আমার অসুবিধা হচ্ছে",

সাপটি রেগে গিয়ে খুব দম্ভ ভরে বললো - আমি বাঁকা পথেই চলি,আমার ইচ্ছা!আমি কাউকে ভয় পাই নাকি!লোক আমার ভয়ে থাকে,আমার বিষ সাংঘাতিক,আমি বাঁকা হয়েই চলবো,তুই আমার বন্ধু হবার যোগ্য নয়,দূর হ এখান থেকে" -

এই কথা বলে সাপটি কচ্ছপকে ধিৎকার দিয়ে অন্য পথে চলে গেলো।কচ্ছপটি বাধা দিলো, ওই পথে যেতে নিষেধ করলো।সাপটি শুনলো না।

         কিন্তু সাপটি যে দিকে গেলো সেখানে কেউ আটল বসিয়ে ছিলো, সাপটি আটলে ধরা পড়ে গেল।পরে কিছু লোক এসে সাপটিকে দেখে লাঠিপেটা করে মেরে একটি দড়ি দিয়ে বেঁধে ঝুলিয়ে দিলো গাছের ডালে।এখন সোজা হয়ে ঝুলছে!!

কচ্ছপটি সব দেখে অন্য কচ্ছপদের উদ্দেশ্যে বললো - "দেখো,বেচারা সাপ!অহংকারেই গেলো!বেঁচে থাকতে কোনোদিন সোজা হলো না,এখন মরে গিয়ে সোজা হয়েছে,কিন্তু সব শেষ"!!!


গল্পটির সার কথাটি হলো,

আজ লাখো লাখো মানুষ ওই সাপের মতোই ঔদ্ধত্ব নিয়ে বাঁকা পথে চলছে  - সাধু সন্ত বৈষ্ণবের কথা নেয় না।বেঁচে থাকতে থাকতে গীতা পড়ে না,গৃহে হরিনাম করেনা, কিন্তু মরে যাবার পর তাদের বুকে গীতা চাপানো হয়,তুলসীপাতা দেওয়া হয়, হরিনাম করা হয় ।

Post a Comment

0 Comments