কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ শুরু হবে। চারিদিকে যুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে। এমন সময়ে দেবর্ষি নারদ শ্রীকৃষ্ণের কাছে এসে বললেন, প্রভু সবাই বলছে আপনি পান্ডবদের পক্ষ গ্রহন করে, কৌরবদের সাথে পক্ষপাতীত্ব করছেন। 


শ্রীকৃষ্ণ হাসলেন, কিছু বললেন না। তিনটি মালা নিয়ে দেবর্ষি নারদের হাতে দিলেন। বললেন দুই পক্ষে যাবে এই মালা তিনজনকে পরাবে। কাকে পরাবে ? -- একটা পড়াবে উত্তম জনকে, একটা মধ্যম জনকে আর একটা অধম জনকে।


দেবর্ষি নারদ মালা তিনটি নিয়ে কৌরবদের কাছে আসলেন ও মালার কথা বললেন। দুর্যোধন সভায় বললেন আমি উত্তম, আমার ভাই দুঃশাসন মধ্যম। আর অধম সভায় যে কেউ হতে পারে। কিন্তু কেউ অধম হতে চাইল না। তখন রাস্তা থেকে এক জেলেকে ডাকা হল, অধম স্বীকার করে মালা নিতে। জেলে বলল, ছোট আছি ছোট থাকব কিন্তু হীন হতে পারব না। তিনজনকে না পাওয়ায় দুর্যোধন মালা পেল না। 


এবার দেবর্ষি নারদ যুধিষ্ঠিরের সভায় গেলেন। মালার কথা ও তিনজনের কথা বলতেই যুধিষ্ঠির বললেন, দেবর্ষি পুরুষোত্তম শ্রীকৃষ্ণ ঐ আসনে বসেন। উত্তম মালা ওখানে থাকুক। মধ্যম মালাটা আপনার। কারণ আপনি ভক্তশ্রেষ্ঠ। আর অধম তো আপনার সমানে আমি যুধিষ্ঠির অধম। 


দেবর্ষি নারদ ভগবানের কাছে ফিরে এলেন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন, ওখানে দুর্যোধন প্রধান। আমার স্থান নেই। যুধিষ্ঠিরের ওখানে আমার স্থান পাতা আছে। আমি আর কোথায় যাব বল ?  তাই পান্ডবের সাথে আছি। ওরা আমাকে ভালবাসে। 


ভগবান ভালবাসার কাঙ্গাল। ভালবাসা ছাড়া আর কিছু চাই না ভগবানের। ভালবাসাতে মা যশোদার কাছে বাঁধা। ভালবাসাতে গোপীদের ঘরে ঘুরে ফিরে বার বার। ভালবাসাতে চিরদিন বাঁধা ভগবান।

 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে 

হরে রাম  হরে রাম  রাম রাম  হরে হরে

  (সংগৃহীত)

Post a Comment

0 Comments