জয়পতাকা মহারাজের প্রনাম মন্ত্রের শক্তি......!!!
'আমাদের বীরভূম জেলায় একজন ভক্ত ছিলেন। পূর্ব জীবনে তিনি কালী সাধক/তান্ত্রিক ছিলেন। তিনি তাঁর গুরুর থেকে তন্ত্রবিদ্যা শিখেছিলেন। সেই তন্ত্রশক্তির বলে তিনি উপরে উঠে যেতে পারতেন। মন্ত্র বলে যে কোন জিনিস তৎক্ষনাৎ নিয়ে আসতে পারতেন।কিন্তু মন্ত্রের অপব্যবহার দেখে তাঁর গুরুদেব তাঁকে বলেছিলেন,"তুমি আর এসব করো না। তুমি বৈষ্ণব হয়ে যাও।" কিন্তু তিনি তার গুরুদেবের কথা অগ্রাহ্য করে নিজে নিজেই এসব তন্ত্রবিদ্যা চালিয়ে যেতে থাকেন। তো এমনি একদিন তিনি তন্ত্রের দ্বারা কিছু একটা করছিলেন । তখন এক পর্যায়ে দেখা গেল তিনি মন্ত্রের দ্বারা উপরে উঠে আটকে গেলেন। তিনি আর নিচে নামতে পারছিলেন না। তখন তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পারলেন। গুরুদেবের কথা স্মরণ করে অনুশোচনা করলেন এবং বললেন,"আমি ভুল করেছি। আর এগুলো করবো না।" তখন তিনি নিচে নেমে আসেন। তারপর থেকেই তিনি বৈষ্ণব গুরু অন্বেষণ করতে থাকেন। একদিন ইসকনের ভগবত দর্শন গ্রন্থটি তাঁর হাতে আসে এবং সেখানে শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজের একটি প্রবচন পড়েন। তখন তিনি মায়াপুর চলে আসেন এবং নামহট্টের ভক্তদের সাথে থাকতে শুরু করেন। তারপর ভক্তদের মাধ্যমে তিনি গুরুমহারাজ সম্পর্কে জানতে লাগলেন এবং গুরুমহারাজের প্রণাম-মন্ত্রসহ অন্যান্য মন্ত্রও শিখতে শুরু করেন। একদিন হঠাৎ তিনি ভাবছিলেন,"আমি তো আগে মন্ত্র বলে জল গরম করতাম। তাহলে জয়পতাকা মহারাজ যদি বৈষ্ণব হয় তবে তাঁর প্রণাম মন্ত্রেও জল গরম হয়ে যাবে।" তারপর তিনি একটি গ্লাসে জল নিয়ে গুরুমহারাজের প্রণাম মন্ত্র উচ্চারণ করতে লাগলেন —"নমো ওঁ বিষ্ণুপাদায় কৃষ্ণপ্রেষ্ঠায় ভূতলে। শ্রীমতে জয়পতাকা স্বামীন্ ইতী নামিনে"(তখন এই দুই লাইন ছিল গুরুমহারাজের প্রনাম মন্ত্র) এবং সাথে সাথে জল গরম হয়ে গেল। তখন তিনি বুঝলেন যে শ্রীমৎ জয়পতাকা স্বামী মহারাজ হচ্ছেন একজন প্রকৃত বৈষ্ণব।"💞🙏
গুরুমহারাজের সন্ন্যাসী শিষ্য
শ্রীমৎ ভক্তি বিলাস গৌরচন্দ্র স্বামী মহারাজ
0 Comments