শুক্রবারের স্মৃতিচারণ-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজের সাথে
এই লীলাকাহিনীটি শ্রীল অভয়চরণারবিন্দ ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদের শিষ্যা শ্রীমতি রচিতাম্বরা দেবী দাসী বলেছিলেন-
এই ছবিটি দেখে, আমার তৎক্ষণাৎ মনে পড়ল যখন শ্রীল জয়পতাকা স্বামী একবার মায়াপুরে আমাদের গৃহে দুপুরের প্রসাদ পেতে এসেছিলেন। এটা এখন থেকে কমপক্ষে ৪০ বছর পূর্বের কাহিনী। আমরা তখন গোশালায় বসবাস করতাম। আমার পতি, শ্রী চৈতন্য সিংহ দাস সেই সময়ে একটা সুন্দর ধনুক এবং কিছু তীর নির্মান করেছিলেন যা আমাদের কক্ষের এককোনায় খাড়াভাবে রাখা ছিল। জয়পতাকা মহারাজ, সেটা দেখেছিলেন এবং তাঁর নিকট নিয়ে এসেছিলেন। আমার পতি, যিনি ছিলেন একজন বলবান ব্যক্তি তিনি ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, তিনি ধনুকটি এত দৃঢ় করে তৈরি করেছিলেন যে তিনি নিজেই ধনুকের জ্যা বাঁধতে সক্ষম ছিলেন না। জয়পতাকা মহারাজ ধনুকটি তুলে নিলেন এবং সহজেই জ্যা বাঁধলেন! তারপর তিনি ব্যবহারের চেষ্টা করতে পারেন কিনা জিজ্ঞেস করলেন। আমরা সবাই সিড়ি থেকে বাইরে এসে ভিড় করলাম। সেইসময় গোশালার নিকটবর্তী কেবলমাত্র অনেকদূর বিস্তৃত মাঠ ছিল। সেখানে গাভীদের খাওয়ার জন্য অনেক লম্বা লম্বা ঘাস জন্মেছিল। মহারাজ, একটা তীর ধনুকে সংযোজন করে, আমাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, তিনি কোন লক্ষ্য ভেদ করবেন। মাঠের লম্বা ঘাসের দিকে তাকিয়ে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম কিন্তু তারপর আমি দেখেছিলাম মাঠের একটু দূরে একটা লাঠি যা ঘাসগুলো থেকে কিছুটা লম্বা ছিল এবং সোজা দাড়িয়ে ছিল। আমি সেটাকে ইঙ্গিত করেছিলাম এবং কৌতুকভরে বলেছিলাম, “ঐ লাঠিটিকে লক্ষ্য ভেদ করুন, মহারাজ!” তিনি সোজা বাতাসে অনেক উচুঁতে তীরটি নিক্ষেপ করেছিলেন যে, আমারা সেটার গতিপথ হারিয়েছিলাম এবং তারপর এটা নিচে নামলো, আরো নিচে, নিচে...তারপর সরাসরি ঐ লাঠিটার শীর্ষে আঘাত করল!!!
তিনিই আপনাদের গুরুমহারাজ, সর্বদা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থিত!
রচিতাম্বরা দেবী দাসী হলেন শ্রীল প্রভুপাদের একজন শিষ্যা। তিনি অনেকদিন মায়াপুরে ছিলেন এবং বিদ্যালয়ের দেখাশোনায় সাহায্য করতেন। তাঁর কন্যা এবং দোহিত্রী উভয়ই গুরুমহারাজের শিষ্যা।
৬ই ডিসেম্বর, ২০১৮l
0 Comments