"আমার মনে আছে,শ্রীল প্রভুপাদ একবার তিনি মন্দিরে প্রবেশ করে, দর্শনের পর পূজারীকে জিজ্ঞাসা করলেন,'বিগ্রহগণ' কেমন আছেন.? 'বিগ্রহেরা' আজ কেমন অনুভব করছেন.? পূজারীকে এই প্রশ্ন শুনে কিছুটা হতভম্ব মনে হলো। তুমি জানো না.! পূজারীকে অবশ্যই জানতে হবে বিগ্রহগণ কেমন অনুভব করছেন। পূজারীকে এতোটা আন্তরিক হতে হবে, যেনো বিগ্রহ তাঁর মনোভাব তাকে প্রকাশ করেন। যেহেতু পূজারী বিগ্রহের নিকট নিজের মনের কথা প্রকাশ করেছেন,বিগ্রহও পূজারীর কাছে তাঁর ভাব ব্যক্ত করে থাকেন। ঠিক যেমন যখন সনাতন গোস্বামী তাঁর বিগ্রহের সেবা করছিলেন, তিনি বললেন,তুমি আমাকে রুটির মধ্যে একটু লবণ দাও না কেন.? কেনোনা সনাতন গোস্বামী কেবল আটার গোলা বানাতেন আর সেগুলো সেভাবেই আঙ্গারে ছুড়ে দিতেন। তাই বিগ্রহ বলছিলেন,আমি যদি কেবল একটু লবণ পেতাম,আমি জানি তুমি খুব দরিদ্র,মাখন জোগাড় করা খুব কঠিন হবে,শুধু একটু লবণ.!

সনাতন গোস্বামী বললেন:-আমি যদি লবণ দেওয়া শুরু করি,তারপর হবে মাখন,এরপর তুমি সবজি চাইবে আর তখন আমাকে চাকরি নিতে হবে,এর কোন শেষ নেই। সুতরাং তুমি ক্ষমা করো,নতুবা পরিণতি এমন হবে যে,আমি আর অন্য কোন সেবাই করতে পারবো না। আমাকে লিখতে হবে, আমাকে আমার গুরুদেবের আজ্ঞা পালন করতে হবে। আমাকে এই ধামগুলির নানান বিশেষত্ব প্রকাশ করতে হবে।

যদি আমাকে বাইরে গিয়ে লবণ আর অন্য সবকিছু নিয়ে আসতে হয়,তবে খুব কঠিন হবে। তো এর পরই ঘটনাক্রমে,ভগবান শ্রীকৃষ্ণ একটি লবণ পূর্ণ জাহাজসহ একজন লবণের ব্যবসায়ীকে পাঠিযেছিলেন। যেনো সনাতন গোস্বামী তার রুটিতে একটু লবণ দিতে পারেন। আর সেই লবণ ব্যবসায়ী সেখানে আটকা পড়েছিলেন এবং সনাতন গোস্বামীর কৃপায় তিনি মুক্ত হতে পেরেছিলেন। তারপর তিনি মদনমোহনের জন্য তিনি একটি বিশাল মন্দির নির্মাণ করেন।

শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ,

৩০শে এপ্রিল, ১৯৮০

Post a Comment

0 Comments