অনেকে মনে করে ইসকনে আসা মানে নিজের লাইফ আর ক্যারিয়ার দুটোই বরবাদ করা। দয়া করে এটি একবার দেখুন ...


নাম: ড: বিবেক বিন্দ্রা


➡️ ভারতের সবচেয়ে বড় এবং প্রখ্যাত বিজনেস ইনফ্লুয়েন্সার কোম্পানি Bada business ink. এর সিইও এবং ফাউন্ডার। সারা ভারত জুড়েই এই কোম্পানির দেড়শ টিরও বেশি ব্রাঞ্চ রয়েছে।


➡️ তিনি একাধারে সারা বিশ্বের প্রথম ১০ জনের মধ্যে অন্যতম একজন লাইফ কোচ , বিজনেস কোচ এবং মোটিভেশনাল স্পিকার।


➡️ সারা বিশ্বের প্রথম ১০ জনের মধ্যে অন্যতম একজন লিডারশিপ কনসালটেন্ট।


➡️ লিডারশিপ এবং ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস সাইটে যার রয়েছে বিশ্বের নাম্বার ওয়ান ইউটিউব চ্যানেল ।


➡️ বর্তমানে তার ইউটিউবে সাবস্ক্রাইবার রয়েছে 19.6 মিলিয়ন(প্রায় ১ কোটি ৯৬ লক্ষ) এবং ফেসবুকে ফলোয়ার রয়েছে ১০ মিলিয়ন(১কোটি) (সার্চ করে দেখতে পারেন)।


➡️ যিনি ভারতের প্রায় দেড় হাজার কর্পোরেট জায়ান্ট কোম্পানির গ্লোবাল অ্যাডভাইজার ।


➡️ ভারতের জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন নীতি নির্ধারণী বিষয় সমূহের ক্ষেত্রে তার সিদ্ধান্তকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করা হয়।


➡️দিল্লি ইউনিভার্সিটি কর্তৃক তাকে পিএইচডি ডিগ্রী প্রদান।


পুরস্কার ও সম্মাননা :-


➡️ বিশ্ববিখ্যাত আন্তর্জাতিক সংস্থা ইকোনমিক টাইমস কর্তৃক "দা গেম চেঞ্জার অফ ইন্ডিয়া" অ্যাওয়ার্ড প্রদান।


➡️ ভারত ভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রকাশনা সংস্থা "দা টাইমস অফ ইন্ডিয়া" কর্তৃক ভারতের "সর্বশ্রেষ্ঠ সিইও কোচ" হিসেবে সম্মাননা প্রদান।


➡️ ভারত সরকার কর্তৃক অসামান্য অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার  "ভারতরত্ন" প্রদান।


এছাড়াও আরো ৪০টি বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যায়ের অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন তিনি।


➡️ তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার আটটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অর্জনের রেকর্ড রয়েছে।


➡️কার কালেকশনে রয়েছে:-


       1. BMW X5 (75 lac)

       2. Audi Q7 (85 lac)

       3. Volvo xc90 (1.5 crore)

       4. Mercedes Benz S-Class (7 crore)


➡️ মাসিক আয় :-

যদিও তার আয়ের উৎস বিভিন্ন ধরনের রয়েছে, তবুও ভারতীয় গণমাধ্যম অনুসারে তার প্রতিমাসে আয় হচ্ছে বাংলাদেশী টাকায়, প্রায় ৭০ লক্ষ থেকে ৭৫ লক্ষের মতো। উল্লেখ্য , শুধুমাত্র তার ইউটিউব চ্যানেল থেকেই প্রতি মাসে বাংলাদেশী টাকায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ এর মত রেভিনিউ আসে।


এবার বলি ভেতরের কথা,

 ড: বিবেক বিন্দ্রার প্রকৃত নাম তথা দীক্ষিত নাম বেনু মাধব দাস। তিনি ২০০৫ সালে ইসকনের অন্যতম দীক্ষাগুরু ও জিবিসি, শ্রীল প্রভুপাদের অত্যন্ত প্রিয় এবং প্রথম ভারতীয় শিষ্য শ্রী শ্রীমদ্ গোপালকৃষ্ণ গোস্বামী মহারাজের কাছ থেকে দীক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি প্রায় চার বছর শ্রীধাম বৃন্দাবনে, কৃষ্ণ বলরাম মন্দিরে কঠোরভাবে ব্রহ্মচর্য আশ্রম পালন করেন। সে সময় তিনি তার গুরুদেবের সঙ্গে থেকে, অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে তার সেবা করেন এবং সেই সাথে অন্যান্য সকল ভক্তদের সেবা করতেন। সে সময় তিনি ছিলেন ভারতের এম আই টি বিজনেস ইউনিভার্সিটি থেকে এমবিএ পাশ করা একজন যুবক ছেলে। যখন তিনি বুঝতে পারছিলেন না তিনি ভবিষ্যতে কি করবেন, তখন তিনি তার গুরুদেবের শরণাপন্ন হন। এবং তার গুরুমহারাজই তাকে শ্রীমদ্ভগবদ গীতার আঁধারে, সারা পৃথিবীতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও টেকনিক্যাল জায়ান্টদের কর্পোরেট দুনিয়ায় বিজনেস টেকনিক উপস্থাপন করতে বলেন। গুরুদেবের আদেশে আজ পর্যন্ত তিনি এটিই করে চলেছেন।

 অতএব আমরা যেন না ভাবি ইসকনে ভক্ত হলে আমাদের ক্যারিয়ার স্টপ করে দিতে হবে বা ধুতি কুর্তা পড়ে মন্দিরে উঠে যেতে হবে। আপনি আপনার ক্যারিয়ার যেভাবে চান যে উচ্চতায় নিয়ে যেতে চান সে উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন ;  সর্বোচ্চ তুংগে উঠতে পারেন ;  সে সঙ্গে সমস্ত সম্মান, সমস্ত সাফল্য, সমস্ত পুরস্কার আপনি গ্রহণ করতে পারেন ; কোন সমস্যা নেই। শুধুমাত্র সেই সাফল্য, সে সম্মানকে আপনি আপনার গুরুদেবের কাছে অর্পণ করবেন। শুধুমাত্র কৃষ্ণকে যুক্ত করবেন। এবং এভাবে করেই আপনি ভক্তি মার্গের সর্বোচ্চ উচ্চতায় পৌঁছে যেতে পারবেন।


তাই আসুন আমরা আমাদের কয়েকগাছা বন্ধুদের কাছে সস্তা টিকটক বা instagram superstar না হয়ে নিজের জীবনকে এবং সেই সাথে ইসকনকে সারা পৃথিবীর সামনে বৃহৎ ভাবে তুলে ধরি এবং প্রভুপাদের এই মিশনে সহায়তা করি।


🌿🌿Collected Haribol

Post a Comment

0 Comments