একটি শিক্ষনীয় গল্প 

বিশেষ করে যারা কথায় কথায় রাগ দেখান 


একটি ছোট্ট ছেলে ছিল প্রচণ্ড রাগী। রেগে গেলে তার মুখে যা আসতো তাই বলে দিত। তাই দেখে বাবা তাকে একটা পেরেক ভর্তি ব্যাগ দিল এবং বলল যে, যতবার তুমি রেগে যাবে ততবার একটা করে পেরেক আমাদের বাগানের কাঠের বেড়াতে লাগিয়ে দিয়ে আসবে।


প্রথম দিনেই ছেলেটিকে বাগানে গিয়ে ৩৫ টি পেরেক মারতে হলো। পরের কয়েক সপ্তাহে ছেলেটি তার রাগকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে পারে, তাই প্রতিদিন কাঠে নতুন পেরেকের সংখ্যাও দিনে দিনে কমে এলো। সে বুঝতে পারলো হাতুড়ী দিয়ে কাঠের বেড়ায় পেরেছে তারা রাগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা অনেক বেশি সহজ।


শেষ পর্যন্ত সেই দিনটি এলো যেদিন তাকে একটি পেরেকও মারতে হলো না। সে তার বাবাকে এই কথা জানালো। তার বাবা তাকে বলল খুব ভালো তবে এখন তোমায় আরো একটি কাজ করতে হবে। এখন তুমি যেসব দিনে তোমার রাগকে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রন করতে পারবে.... সেইসব দিনে একটি একটি করে পেরেক খুলে ফেলো।


অনেক দিন চলে গেল। ছেলেটি একদিন তার বাবাকে জানালো যে সব পেরেকই সে খুলে ফেলতে সক্ষম হয়েছে। তার বাবা এবার তাকে নিয়ে বাগানে গেল এবং কাঠের বেড়াটি দেখিয়ে বলল....


"তুমি খুব ভালোভাবে তোমার কাজ সম্পন্ন করেছ, এখন তুমি তোমার রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে পারো কিন্তু দেখো, প্রতিটা কাঠে পেরেকের গর্ত গুলো এখনো রয়ে গিয়েছে। কাঠের বেড়াটি কখনো আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না...


যখন তুমি কাউকে রেগে গিয়ে কোন কিছু বলো, তখন তার মনেও ঠিক এমন একটা আঁচড় পড়ে যায়। তাই নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রন করতে শেখো। মানসিক ক্ষত অনেক সময় শারীরিক ক্ষতের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ঙ্কর হতে পারে..


তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার শ্রীমৎ ভাগবদ গীতাতে উল্লেখ করেছেন মানুষের এই অন্যতম প্রধান শত্রু ক্রোধকে সর্বদা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। না হলে সেই ক্রোধই তার পতনের কারন হয়।

তাই আসুন নিজেকে অকারণে রাগান্বিত করার থেকে দূরে থাকি


ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন 


  🙏🙏হরে কৃষ্ণ 🙏

 

Post a Comment

0 Comments