চাঁদকাজীর গো-হত্যা বন্ধে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু।

চাঁদকাজীর গো-হত্যা বন্ধে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু। 

"প্রভু কহে গোদুগ্ধ খাও গাভী তোমার মাতা।
বৃষ অন্ন উপজাত তাতে তেহ পিতা।।
পিতা মাতা মারি খাও এবা কোন ধর্ম।
কোন বলে কর তুমি এমত বিকর্ম।।"
(চৈতন্য চরিতামৃত)
[বৃষ=ষাঁড় বা বলদ]
৫৩৪ বছর পূর্বে ভারতভূমির নদীয়ার নবদ্বীপের মায়াপুরের শ্রীযোগপীঠে সংকীর্ত্তন পিতা শ্রীভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভু অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। সেইসময় নদীয়ায় চাঁদকাজীর অত্যাচারে সনাতন ধর্মাবলম্বীগন (হিন্দুদের) ধন, প্রান, ধর্ম রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শুধু সেই কু-শাসন বন্ধ করেছিলেন তাই নয়, কাজীর মনুষ্যত্ব জাগিয়ে দিয়েছিলেন ।
বলদ ও গোহত্যা প্রসঙ্গে মহাপ্রভু সেইসময় কাজীকে বলেছিলেন যে, যেহেতু বৃষ বা বলদ উদয় অস্ত লাঙল টেনে শস্য উৎপাদনে সাহায্য করে, তাই সে পিতৃতুল্য। আর দুগ্ধজাত বস্তু দ্বারা আমাদের প্রতিপালন করে বলে গাভী মাতৃ তুল্য।
তাই এদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এদের হত্যা না করে ভালবেসে সেবা করা উচিত। মহাপ্রভুর যুক্তি কাজী মেনে নেন ও সনাতন হিন্দুত্বের আদর্শ গ্রহন করে এক সিদ্ধ পুরুষে পরিনত হন। তাঁর মাজার আজ হিন্দু-মুসলিম---উভয় সম্প্রয়দায়ের কাছে তীর্থ স্বরূপ।
"দয়া, মমতা, করুনা, প্রেম, কৃতজ্ঞতা, বিনয়---এইসব মানবিক গুণ অর্জন করা হিন্দু ধর্মের মূল লক্ষ্য। গোহত্যা না করে, গো-সেবা করে হিন্দু এইসব সদ বৃত্তির অনুশীলন করে।"
বর্তমান সময়ে বিশ্বে গো-হত্যা বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আইন করতে হচ্ছে। তাই গো-হত্যা করলেই ১০ বছর জেল সাথে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানার বিধান করে উত্তরপ্রদেশে নতুন আইন আনলেন যোগী আদিত্যানাথ।
বিশ্বব্যপি গো-হত্যা তথা প্রাণী হত্যা বন্ধ হউক। এটাই কামনা করি।।

Post a Comment

0 Comments